জলপাইগুড়ি, 20 জুলাই: ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে যেতে হবে শূন্যয়। একজনও যাতে আর মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত না-হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু করল জলপাইগুড়ি পৌরসভা। জলপাইগুড়ি পৌরসভার 25টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি সার্ভে টিম নামানো হয়েছে। পাশাপাশি এবছর ডেঙ্গি কনঞ্জারভেন্সি টিম নামে নতুন দল গঠন করা হয়েছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে অব্যবহৃত সামগ্রী যেখানে জল জমতে পারে তা সরিয়ে ফেলার কাজ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যারা সার্ভের কাজ করছেন, তাদেরও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। পাশাপাশি মশার লার্ভা নির্মূল করতে প্রাথমিকভাবে 45 হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নালা-নর্দমায়।
জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল জানান, গতবার আগাম বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়ায় পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গি অনেকটাই প্রতিরোধ করা গিয়েছিল। সুতরাং এবার জিরো ডেঙ্গির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। শহরের নিত্যদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বহুতল ভবন। সুতরাং জমে থাকা জলে ডেঙ্গি স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণ চালাতে পারে। 2019 সালে জলপাইগুড়ি পৌরসভা এলাকায় 6 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরের বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন 4 জন। গত বছরে সেই সংখ্যাটা নেমেছিল দু'য়ে ৷ গতবছর একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ সেই সংখ্যাকেই শূন্য করতে ডেঙ্গি প্রতিরোধে নেমেছে পৌরসভা।
জানা গিয়েছে, এবছর প্রতিটি ওয়ার্ডে দু'জন করে 3টি ডেঙ্গি সার্ভে টিম তৈরি করে কাজে লাগানো হচ্ছে। পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন," এই টিম এবার নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। ডেঙ্গি সার্ভে টিম, ডেঙ্গি কনঞ্জারভেন্সি টিম এবং সাফাই কর্মী, এই পুরোটাই একটি চেন অনুসারে কাজ করবে। প্রতিদিনের রিপোর্ট তাঁরা জমা করবেন পৌরসভার নির্দিষ্ট বিভাগে। যারা সার্ভের কাজ করছেন, তাঁরা অনেকসময় বাড়িতে না-ঢুকেই রিপোর্ট করে দিচ্ছেন। এই বিষয় বন্ধ করতে, যে বাড়িয়ে যাবে সেই বাড়িতে কাজের ছবি এবং বাড়ির কর্তার স্বাক্ষর আবশ্যিক করা হয়েছে।" সকলে সঠিকভাবে কাজ করলে পৌরসভা এলাকায় জিরো ডেঙ্গির লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে বলেই মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই ডেঙ্গি ঘিরে আগাম সতর্ক স্বাস্থ্যভবন