ETV Bharat / state

Murder for Rs 100: মাত্র 100 টাকার জন্য সহকর্মীকে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দোষীকে

author img

By

Published : May 19, 2023, 6:38 PM IST

100 টাকার জন্য বন্ধুকে খুন ৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দোষী গোবিন ওড়াওকে ৷ নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় গোবিন ৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি 20 হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে 1 বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷

Etv Bharat
খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জলপাইগুড়ি, 19 মে: মাত্র 100 টাকার । পাওনা না-পেয়ে সহকর্মীকে খুন করেছিল ৷ সেই অপরাধেই যাবজ্জীবন হল গোবিন ওড়াও নামে এক ব্যক্তির । ধারের 100 টাকা বারবার চেয়েও পাওয়া যাচ্ছিল না । উপরন্তু টাকা চাইলেই প্রতিবারই 500 টাকার নোট দেখাতেন নুর ইসলাম । নোটবন্দির সময়ে একাধিকবার টাকা চাইলেও, সেই টাকা দিচ্ছিলেন না নুর । ক্ষোভে নুরকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল গোবিন ওড়াও । সেই অপরাধেই বৃহস্পতিবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ফাস্টট্র‍্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক ।

জানা গিয়েছে, তিস্তা নদীর ধারে প্রেমগঞ্জের চড় এলাকায় মহিষের বাথানে পাহারাদার ছিলেন নুর ইসলাম ও গোবিন ওড়াও । নুর ছিলেন পাহাড়পুর চৌরঙ্গির বাসিন্দা । প্রতিদিনের মতো 2016 সালের 13 নভেম্বর রাতে নুর ইসলাম মহিষের বাথান পাহারার জন্য তিস্তা নদীর ওপারে প্রেমগঞ্জের নদীর চড়ে যান ৷ পরের দিন সকালে অর্থাৎ 14 তারিখ বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন নুর ইসলামের বাড়ির লোকজন । মহিষের বাথানে গিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন নুর । গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।

এরপরেই নুরের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেন জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানার অফিসার শিবু কর । কোতয়ালি থানায় 302 ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয় ৷ তদন্তে নেমেই অফিসার শিবু করের সন্দেহ হয় গোবিন ওড়াও-এর ওপর । জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পাওনা টাকার কারণেই নুর ইসলামকে খুন করেছে গোবিন ৷ তৎকালীন কোতয়ালী থানার আইসি আশিস রায় ও ডিএসপি (হেডকোয়াটার) মানবেন্দ্র দাস ঘটনার স্থলে যান । অভিযুক্ত গোবিনকে গ্রেফতার করা হয় ।

আরও পড়ুন: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ব্যক্তির বিরুদ্ধে

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গোবিন ওড়াও বলে, "নোটবন্দি চলছিল । আমার টাকার দরকার ছিল । নুরকে বারবার বলেও টাকা ফেরত পাইনি । তাই রাগে কুড়ুল দিয়ে মেরে দিয়েছিলাম । কিন্তু আমি নুরকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বাঁচাতে পারিনি ।" বর্তমান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ গণপত জানান, শিবু কর তদন্ত শেষ করে চার্জশিট সময় মতো দিয়ে দিয়েছিল । আদালত গোবিন ওড়াওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় । জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ফাস্টট্র‍্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর বৃহস্পতিবার গোবিন ওড়াওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ও 20 হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন । একই সঙ্গে নুর ইলসামের পরিবারকে 3 লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেবার নির্দেশ দিয়েছেন ।

জলপাইগুড়ি, 19 মে: মাত্র 100 টাকার । পাওনা না-পেয়ে সহকর্মীকে খুন করেছিল ৷ সেই অপরাধেই যাবজ্জীবন হল গোবিন ওড়াও নামে এক ব্যক্তির । ধারের 100 টাকা বারবার চেয়েও পাওয়া যাচ্ছিল না । উপরন্তু টাকা চাইলেই প্রতিবারই 500 টাকার নোট দেখাতেন নুর ইসলাম । নোটবন্দির সময়ে একাধিকবার টাকা চাইলেও, সেই টাকা দিচ্ছিলেন না নুর । ক্ষোভে নুরকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল গোবিন ওড়াও । সেই অপরাধেই বৃহস্পতিবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ফাস্টট্র‍্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক ।

জানা গিয়েছে, তিস্তা নদীর ধারে প্রেমগঞ্জের চড় এলাকায় মহিষের বাথানে পাহারাদার ছিলেন নুর ইসলাম ও গোবিন ওড়াও । নুর ছিলেন পাহাড়পুর চৌরঙ্গির বাসিন্দা । প্রতিদিনের মতো 2016 সালের 13 নভেম্বর রাতে নুর ইসলাম মহিষের বাথান পাহারার জন্য তিস্তা নদীর ওপারে প্রেমগঞ্জের নদীর চড়ে যান ৷ পরের দিন সকালে অর্থাৎ 14 তারিখ বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন নুর ইসলামের বাড়ির লোকজন । মহিষের বাথানে গিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন নুর । গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।

এরপরেই নুরের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেন জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানার অফিসার শিবু কর । কোতয়ালি থানায় 302 ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয় ৷ তদন্তে নেমেই অফিসার শিবু করের সন্দেহ হয় গোবিন ওড়াও-এর ওপর । জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পাওনা টাকার কারণেই নুর ইসলামকে খুন করেছে গোবিন ৷ তৎকালীন কোতয়ালী থানার আইসি আশিস রায় ও ডিএসপি (হেডকোয়াটার) মানবেন্দ্র দাস ঘটনার স্থলে যান । অভিযুক্ত গোবিনকে গ্রেফতার করা হয় ।

আরও পড়ুন: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ব্যক্তির বিরুদ্ধে

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গোবিন ওড়াও বলে, "নোটবন্দি চলছিল । আমার টাকার দরকার ছিল । নুরকে বারবার বলেও টাকা ফেরত পাইনি । তাই রাগে কুড়ুল দিয়ে মেরে দিয়েছিলাম । কিন্তু আমি নুরকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বাঁচাতে পারিনি ।" বর্তমান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ গণপত জানান, শিবু কর তদন্ত শেষ করে চার্জশিট সময় মতো দিয়ে দিয়েছিল । আদালত গোবিন ওড়াওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় । জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ফাস্টট্র‍্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর বৃহস্পতিবার গোবিন ওড়াওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ও 20 হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন । একই সঙ্গে নুর ইলসামের পরিবারকে 3 লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেবার নির্দেশ দিয়েছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.