জলপাইগুড়ি, 8 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের ইউপিএসসি পরীক্ষায় উৎসাহিত করতে কলকাতায় প্রথম শুরু হয় পুলিশি উদ্যোগে আলোচনা সভা ৷ যেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কর্তারা ৷ কলকাতায় সাফল্য মিলতেই জেলায় জেলায় এই আলোচনা সভা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তারপরই শুক্রবার জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বোধি ট্রি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করে জলপাইগুড়ি থানা(Jalpaiguri District police in discussion with students to encourage UPSC exam)৷
এদিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ সেন, বোধি ট্রি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিবশঙ্কর মুখোপাধ্যায়, আনন্দ চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দেবাশিস দাস, জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বারুই, জলপাইগুড়ি পৌরসভার উপ-পৌরপিতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ জেলার ডিএসপিরা ।
আরও পড়ুন : সংশোধনাগারে সাইরেন বাজিয়ে চলছে কয়েদি গোনার কাজ
এই আলোচনায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়ারা ৷ যেভাবে একাধিক সরকারি চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা তাতে তাঁদের প্রশ্ন পুলিশের চাকরিতে যাবে কি না !
এই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, খুব বেসিকভাবে বলতে গেলে পুলিশ এমন একটি সংস্থা যাকে দিয়ে সরকার তথা সমাজ কিছু সামাজিক ময়লা সাফ করে ৷ পুলিশ হল সমাজের ময়লা সাফ করার ঝাঁটা ৷ তাই ময়লা সাফ করতে গেলে ঝাঁটায় তো নোংরা লাগবেই ৷ যত বেশি ময়লা সাফ করবে তত নোংরা হবে ৷ যে ঝাঁটায় ময়লা সাফ হয় না, তা আলমারিতে তুলে রাখে সবাই ৷ কাজ করতে গেলে সমালোচনা তো হবেই ৷ তার জন্য ভয় পেলে চলবে না ৷ আম থাকে বলেই আমগাছে ঢিল মারা হয় ৷
আরও পড়ুন : মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশি বাধা, দাবি বিজেপির