ETV Bharat / state

Calcutta High Court: পুলিশি তদন্তের গাফিলতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, জামিন নিতে এসে ফেঁসে গেলেন দুই ভাই

author img

By

Published : Jun 15, 2023, 6:11 PM IST

একটি মামলায় জামিন নিতে এসেছিলেন দুইভাই । সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ ফলে দুই ভাইয়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ৷

Calcutta High Court
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ
জামিন নিতে এসে ফেঁসে গেলেন দুই ভাই

জলপাইগুড়ি, 15 জুন: জামিন নিতে এসে সিবিআই তদন্তে ফেঁসে গেলেন দুই ভাই । এনডিপিসি মামলায় 10 বছর ধরে পলাতক অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি । পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন । অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ৷

এপিপি অদিতিশঙ্কর চক্রবর্তী জানান, এক ট্রাক ফেসনিডিল উদ্ধার হয়েছিল । তাতে 51 কার্টুন ফেনসিডিল ছিল । ফেনসিডিল পাচারের অভিযোগে ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করেছিল কোচবিহার কোতোয়ালি থানা । এই ফেনসিডিল পাচারের ট্রান্সপোর্টার ছিল দমদমের বাসিন্দা । মূল অভিযুক্ত ছিল পবন আগরওয়াল ও রমেশ আগরওয়াল । এরা সম্পর্কে দুই ভাই । 51 কার্টুনে মোট 4550 বোতল কফ সিরাপ পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল । ট্রাকটি ধরা পরেছিল 16 মে 2013 তারিখে । কোচবিহারের শহরের 8 নম্বর ওয়ার্ড থেকে ধরা পরার পর ট্রাকের চালক সুশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

আরও পড়ুন: কোরক হোমকাণ্ডে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ও চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই

তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দুই ভাইয়ের নাম পাওয়া যায় । কোচবিহার কোতয়ালি থানায় মামলা রুজু হয় 16 জুন 2013 তারিখে । কোচবিহার পুলিশ কোতয়ালি থানায় মামলা করে । এই ঘটনায় বেশ কয়েকবার অভিযুক্তদের দুই ভাইয়ের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি । 24 ডিসেম্বর সালে, 16 ফেব্রুয়ারি 2019, 27 সেপ্টেম্বর 2019, 29 নভেম্বর 2019 সালে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় । তদন্তকারী আধিকারিকে ওয়ারেন্ট পেন্ডিং থাকার পর শোকজ করা হয় । এরপর তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিং পাঠায় জেলা পুলিশ ।

12 জুন 2023 তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিযুক্ত দুই ভাই জামিনের আবেদন করেন । বৃহস্পতিবার বিচারপতি নির্দেশ দেন পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে । দশ বছরেও গ্রেফতার করতে পারেনি অভিযুক্তদের । তাই পুরো মামলাটি সিবিআই তদন্ত করবে । বৃহস্পতিবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সার্কিট বেঞ্চে । এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রিন্সিপাল বেঞ্চেও জামিনের আবেদন নাকচ করা হয় ।

আরও পড়ুন: কোরক হোমকাণ্ডে জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের

কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের এপিপি আরও জানান, এই মামলায় পুলিশের তদন্তের আদালত খুশি নয় ৷ তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । তৎকালীন পুলিশ সুপারের গাফিলতির অভিযোগ আছে বলে কোর্ট জানিয়েছে । কারণ বর্তমান পুলিশ সুপার 2021 সালে এসেছেন । 2013 সালে যারা পুলিশের আধিকারিক ছিলেন সিবিআই যদি মনে করে তাহলে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও বর্তমান পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন । অভিযুক্ত পরেশ আগরওয়াল ও পবন আগরওয়ালের জামিন নামঞ্জুর করেছেন বিচারপতি ।

জামিন নিতে এসে ফেঁসে গেলেন দুই ভাই

জলপাইগুড়ি, 15 জুন: জামিন নিতে এসে সিবিআই তদন্তে ফেঁসে গেলেন দুই ভাই । এনডিপিসি মামলায় 10 বছর ধরে পলাতক অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি । পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন । অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ৷

এপিপি অদিতিশঙ্কর চক্রবর্তী জানান, এক ট্রাক ফেসনিডিল উদ্ধার হয়েছিল । তাতে 51 কার্টুন ফেনসিডিল ছিল । ফেনসিডিল পাচারের অভিযোগে ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করেছিল কোচবিহার কোতোয়ালি থানা । এই ফেনসিডিল পাচারের ট্রান্সপোর্টার ছিল দমদমের বাসিন্দা । মূল অভিযুক্ত ছিল পবন আগরওয়াল ও রমেশ আগরওয়াল । এরা সম্পর্কে দুই ভাই । 51 কার্টুনে মোট 4550 বোতল কফ সিরাপ পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল । ট্রাকটি ধরা পরেছিল 16 মে 2013 তারিখে । কোচবিহারের শহরের 8 নম্বর ওয়ার্ড থেকে ধরা পরার পর ট্রাকের চালক সুশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

আরও পড়ুন: কোরক হোমকাণ্ডে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ও চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই

তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দুই ভাইয়ের নাম পাওয়া যায় । কোচবিহার কোতয়ালি থানায় মামলা রুজু হয় 16 জুন 2013 তারিখে । কোচবিহার পুলিশ কোতয়ালি থানায় মামলা করে । এই ঘটনায় বেশ কয়েকবার অভিযুক্তদের দুই ভাইয়ের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি । 24 ডিসেম্বর সালে, 16 ফেব্রুয়ারি 2019, 27 সেপ্টেম্বর 2019, 29 নভেম্বর 2019 সালে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় । তদন্তকারী আধিকারিকে ওয়ারেন্ট পেন্ডিং থাকার পর শোকজ করা হয় । এরপর তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিং পাঠায় জেলা পুলিশ ।

12 জুন 2023 তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিযুক্ত দুই ভাই জামিনের আবেদন করেন । বৃহস্পতিবার বিচারপতি নির্দেশ দেন পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে । দশ বছরেও গ্রেফতার করতে পারেনি অভিযুক্তদের । তাই পুরো মামলাটি সিবিআই তদন্ত করবে । বৃহস্পতিবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সার্কিট বেঞ্চে । এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রিন্সিপাল বেঞ্চেও জামিনের আবেদন নাকচ করা হয় ।

আরও পড়ুন: কোরক হোমকাণ্ডে জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের

কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের এপিপি আরও জানান, এই মামলায় পুলিশের তদন্তের আদালত খুশি নয় ৷ তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । তৎকালীন পুলিশ সুপারের গাফিলতির অভিযোগ আছে বলে কোর্ট জানিয়েছে । কারণ বর্তমান পুলিশ সুপার 2021 সালে এসেছেন । 2013 সালে যারা পুলিশের আধিকারিক ছিলেন সিবিআই যদি মনে করে তাহলে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও বর্তমান পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন । অভিযুক্ত পরেশ আগরওয়াল ও পবন আগরওয়ালের জামিন নামঞ্জুর করেছেন বিচারপতি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.