জলপাইগুড়ি, 27 মে: জোড়া আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তে নতুন মোড় ৷ তদন্তের শুরুতেই রাজ্য পুলিশের এডিজি কে জয়রামন স্থানীয় কোতয়ালি থানার তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দিলেন ৷ এতদিন এই ঘটনার তদন্ত ভার সামলাচ্ছিলেন কোতয়ালি থানার এসআই শিবু কর ৷ তার থেকে তদন্ত চলে গেল জেলা পুলিশের ডিআইবি ইনস্পেকটর নিতেশ লামার কাছে । এই খবর জানিয়েছেন. জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডালবাহালে উমেশ গণপত ৷
গত এপ্রিল মাসের 1 তারিখ জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী অপর্না ভট্টাচার্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন । সুইসাইড নোটে জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, 14 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাস, মনোময় সরকারের নাম উঠে আসে । হাইকোর্টে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন সুবোধের দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত ভার হাতে আসতেই কলকাতা হাইকোর্টের নিয়োজিত এডিজি কে জয়রামন জলপাইগুড়ি এসে মৃত দম্পতির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন । মেয়ে তানিয়া ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে মৃতের দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন এডিজি কে জয়রামন ৷ শিখা বিজেপির বিধায়ক ৷
গত বুধবার শিখা, এডিজি কে জয়রামন-এর কাছে অভিযোগ জানান, রাজ্য সরকারের তদন্তে তাঁর আস্থা নেই ৷ তিনি অভিযোগ জানানোর পরেও দোষীদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ ৷ শিখা আরও বলেন, "আমি পরিস্কার বলেছি পুলিশ প্রভাবশালীদের কথা শুনছে । মামলা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে থাকলে তদন্ত হবে না ।" এরপরেই এডিজি কোতয়ালি থানার তদন্তকারী অফিসারের শিবু করের কাছ থেকে তদন্তভার সরিয়ে ডিআইবি ইনস্পেকটর নিতেশ লামার হাতে তুলে দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: স্বামী, স্ত্রী'র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার থাকাকালীন জয়রামনের কার্যকলাপ উত্তরবঙ্গের মানুষ দেখেছে । এলাকায় নির্ভিক সৎ অফিসার হিসাবে পরিচিত ছিলেন কে জয়রামন ৷ সে সময় এসজেডিএ-এর সিইও কিরন কুমার গোদারাকে শ্মশানের বিদ্যুতিন চুল্লি নির্মাণের দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছিলেন তিনি ।