শিলিগুড়ি, 14 জানুয়ারি : জলপাইগুড়ি জেলার দোমহনিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷ আহতদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ময়নাগুড়ি হাসপাতালে পাঠানোর কাজ বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছিল, শুক্রবারও তা চলছে ৷ এই দুই হাসপাতালের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালেও পাঠানো হচ্ছে আহতদের ৷ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের হাসপাতালে আনতে ব্যবস্থা করা হল গ্রিন করিডরের ৷
গুরুতর জখমদের বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রিন চ্যানেল তৈরি করে ময়নাগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় (Injured persons in Guwahati Bikaner Express train accident are taken to the North Bengal Medical via Green Corridor ) ৷ প্রথম ধাপে রাতে বেশ কয়েকজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় । তাঁদের পরিচয় হল, কোচবিহারের নিশিগঞ্জের বাসিন্দা সুমন দে এবং অটল দে, রাজস্থানের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র চৌধুরী, নিউ কোচবিহারের বাসিন্দা হরি সাহানি, সোমনাথ রায় এবং লক্ষণ সিংহ ৷ এঁদের সকলকেই ময়নাগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ।
রাতে জখমদের দেখতে যান মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক, সার্জারি থেকে শুরু করে সমস্ত ওয়ার্ড ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই প্রস্তুত রাখা শুরু হয় । পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও ৷ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, " আমাদের সমস্ত বিভাগ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে । যাঁরা এখানে এসেছেন তাদের ইতিমধ্যে চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে । দুর্ঘটনার নিরিখে আরও আহতরা হাসপাতালে আসতে পারেন । সেইমতো আমরা প্রস্তুত থাকছি ।"
আরও পড়ুন : দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে কামরা, দোমোহানির বাতাসে কান্না আর স্বজন হারানোর হাহাকার...
ঘটনার মুহূর্তের কথা শোনা গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত আপ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেসের যাত্রী রিপন দাসের কথায় ৷ তিনি বলেন, "বিকট শব্দ করে আচমকা ট্রেন পাল্টি খেয়ে যায় । চারিদিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায় । আমি কোনমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি । তবে এখনও পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ ।" বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, " হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করলাম ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে আহতহের চিকিৎসায় যাতে কোনও খামতি না থাকে।"
আরও পড়ুন : আচমকা একটা ঝটকা, ট্রেন উল্টে যেতেই ধোঁয়ায় ভরে গেল চারিদিক...
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর আসতেই হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার এবং অতিরিক্ত নার্সিং স্টাফেরদেরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ।