জলপাইগুড়ি, 9 জুলাই: ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছে শনিবার ৷ আর ভোটকেন্দ্রের পিছনের পানাপুকুর থেকে নাটকীয়ভাবে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হল রবিবার সকালে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাহাড়পুর হাকিমপাড়া বিএফপি বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল পর্যন্ত 13 নম্বর বুথের ব্যালট বক্সটি জেলার স্ট্রং রুমে জমা পড়েনি ৷ অভিযোগ, গতকাল সদর ব্লকের পাহাড়পুর হাকিমপাড়া বিএফপি বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তাণ্ডব চালিয়েছে শাসকদলের কর্মীরা ৷ দেদার ছাপ্পা দিয়েছে তারা ৷ এরপর নাকি ব্যালট বাক্স নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা ৷ যদিও শাসক প্রাার্থীর স্বামীই ব্যালট বাক্স উদ্ধার করলেন!
ব্যালট বাক্সের খোঁজ না-পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ জানা গিয়েছে, পুলিশ বাহিনী বাক্স খোঁজার চেষ্টা করেছে কিন্তু পায়নি ৷ পরে নাটকীয়ভাবে সেটি খুঁজে বার করেন তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী অমল রায় ৷ তিনি বলেন, "আমরা এখানে ভোটে ছিলাম ৷ হঠাৎ বিজেপির লোকজন এসে আক্রমণ করে এবং ভাঙচুর চালায় ৷"
আরও পড়ুন: বাসন্তীতে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর দিয়ে ক্ষমা চাইলেন প্রাক্তন মন্ত্রী
তিনি জানান, রাতে ব্যালট বাক্স না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ এরপর পুলিশ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বাক্সের সন্ধান পায়নি বলে জানান তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জিতা রায়ের স্বামী ৷ তাঁর দাবি, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না ৷ দু'জন পুলিশ ছিল ৷ পুলিশের সামনে থেকেই ব্যালট বাক্স নিয়ে যায় বিজেপি দুষ্কৃতীরা ৷
অমল আরও জানান, রবিবার সকালে স্কুল মাঠের পিছনে একটি ড্রেনের মধ্যে এই ব্যালট বাক্সগুলি পান তিনি ৷ ব্যালট বক্স 391 নম্বর খুঁজে বের করেন তিনি ৷ এরপর স্থানীয় একটি পুকুর ও নর্দমা থেকে উদ্ধার হয় ব্যালট বাক্স ৷ ঘটনা সম্পর্কে জেলাশাসক জানান, জেলায় 82.161 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ জেলায় 13টি বুথের রিপোটিং এখনও বাকি আছে ৷ 1 হাজার 660 টি বুথের মধ্যে 1 হাজার 647 টি বুথের রিপোর্ট এসেছে ৷ কেবলমাত্র রাজগঞ্জে 10টি বুথের ব্যালট বক্স এন্ট্রি হয়নি ৷ ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন 10 জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, জানালেন রাজীবা সিনহ