জলপাইগুড়ি, 31 জানুয়ারি: স্ত্রীকে খুন করে প্রায় এক কিলোমিটার কাঁধে করে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে পুঁতল স্বামী (Husband Murder His Wife)। পর পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জড়িয়েছে স্ত্রী। সেই সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করে স্বামী। এরপর গভীর জঙ্গলে স্ত্রীকে পুঁতে রেখেও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে, পুলিশের জালে ধরা পড়ল মিঠুন ওড়িয়া। পুলিশকে নিয়ে গিয়ে দেখাল জঙ্গলের কোথায় পুঁতে রেখেছে স্ত্রীকে।
জলপাইগুড়ি জেলার লাটাগুড়ির এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হতবাক পুলিশও। জলপাইগুড়ি জেলার মালাবাজারের ক্রান্তি ফাঁড়ির অন্তর্গত এমন ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসীরাও। নিখোঁজ হওয়ার 5 দিন পর গভীর জঙ্গলের ভিতরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল গৃহবধূর মৃতদেহ। গৃহবধূকে খুন করে বাড়ি থেকে প্রায় 800 মিটার কাঁধে করে মৃতদেহ লোপাট করতে জঙ্গলের মাঝে গর্ত খুঁড়ে পুতে রাখা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাটাগুড়ি ডাঙ্গাপাড়ার পেশায় দিনমজুর মিঠুন ওড়িয়ার স্ত্রী সঞ্চারি ওঁরাও গত 25 তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সঞ্চারির দিদি অনিতা ওঁরাও বোনের নিখোঁজের অভিযোগ ক্রান্তি ফাঁড়িতে জানায়। এরপর তদন্তে নামে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ। সঞ্চারির নিখোঁজের পর থেকে তাঁর স্বামী মিঠুন ওড়িয়াও বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। পুলিশ তদন্তে নেমে মিঠুনকে বড়দিঘি চাবাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারে যে সে তাঁর স্ত্রীকে খুন করে জঙ্গলে মাটি চাপা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনের ফুলকি দেখতে পেয়েছিলেন স্টেশন মাস্টার, ভাইরাল অডিয়ো ঘিরে হইচই
এরপরেই পুলিশ ক্রান্তির বিডিও প্রবীর কুমার সিনহা, মালের এসডিপিও রবিন থাপা, ক্রান্তি ফাঁড়ির ওসি সুব্রত গুন ও জলপাইগুড়ি বনবিভাগের লাটাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার শুভ্রশঙ্খ দত্ত অভিযুক্তকে নিয়ে লাটাগুড়ির জঙ্গলে যান। মিঠুনের দেখানো জঙ্গলের সুরশ্রুতি 5 নম্বর কম্পার্টমেন্ট থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ। পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের বাড়িতে খুন করে স্ত্রীকে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই জঙ্গলে পুঁতে দিয়েছিল স্ত্রীর মৃতদেহ। মালবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবিন থাপা জানান, মিঠুন ওড়িয়া তাঁর স্ত্রীকে খুন করে মৃতদেহ জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সে এই কথা স্বীকার করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার মিঠুনকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।