জলপাইগুড়ি, 21 জুন: গৃহবধূর শ্লীলতাহানি করতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের। যুবককে পিটিয়ে মেরে গ্রেফতার হলেন স্বামী ও স্ত্রী। রাতের অন্ধকারে স্ত্রী'র শ্লীলতাহানি করতে ঘরে ঢুকেছিলেন ওই যুবক। এই অভিযোগে তাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের মাঝিয়ালি এলাকার ঘটনা। এদিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করায় ওই যুবককে লাঠিপেটা করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু মেরে ফেলা হয়নি। এমনই দাবি করল গ্রেফতার হওয়া দম্পতি। ধৃতরা পাবনিখারি এলাকার বাসিন্দা। এদিন দু'জনকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ, রাজগঞ্জের মাঝিয়ালী অঞ্চলের পাবনিখারি এলাকায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম লক্ষ্মীরাম হেমব্রম (35)। অভিযোগ ছিল, সোমবার রাতে ধৃতদের ঘরে ঢোকে লক্ষ্মীরাম। এরপরেই বেধড়ক মারধর করা হয় লক্ষ্মীরামকে। মঙ্গলবার সকালে, নদীর পাশে লক্ষ্মীরামের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের বাড়ি সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের ব্রহ্মতল পাড়ায়। লক্ষ্মীরাম হেমব্রমের মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। পেশায় দিনমজুর ছিলেন লক্ষ্মীরাম। মৃতের পরিবারের তরফে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পর অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী'কে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঘর ভাড়া, 24 ঘণ্টার মধ্যে দেহ উদ্ধার মহিলার, উধাও স্বামী
খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী জানায়, সোমবার রাতে লক্ষ্মীরাম তাদের ঘরে ঢুকে স্ত্রী'র শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার তাগিদে ওই ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে মেরেছিলেন। কিন্তু তাকে মেরে ফেলেনি। পুরো ঘটনায় তদন্ত করে দেখছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার বলেন, "যুবককে খুনের অভিযোগে স্বামী ও স্ত্রী দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মতল পাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যাওয়ার পর পুলিশ প্রায় নিশ্চিত হয় যে তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।" ধৃত স্বামী ও স্ত্রী'কে পরবর্তীতে জেরা করে ঘটনার কিনারা করতে পারবে বলে পুলিশের অনুমান ৷