ETV Bharat / state

Durga Ouja 2022: জলপাইগুড়ির খয়েরখালের সোনার দুর্গা পূজিত হন নবমীতে

author img

By

Published : Sep 30, 2022, 9:51 PM IST

দুর্গাপুজোর নবমীর দিন দুর্গা প্রতিমা এনে পুজো করা হয় । জলপাইগুড়ির খয়েরখালের গ্রামের বিশেষ আর্কষণ সোনার দুর্গা (Jalpaiguri Golden Durga) । প্রতিমা সোনার হওয়ায় মাকে রাখা হয় ট্রেজারিতে ৷

Jalpaiguri khairkhal Durga puja
জলপাইগুড়ির খয়েরখালের সোনার দুর্গা

জলপাইগুড়ি, 30 সেপ্টেম্বর: সারা বছর মা থাকেন ট্রেজারিতে । আর শুধুমাত্র নবমীর দিন পূজিত হন মা (Jalpaiguri Golden Durga)। দুর্গাপুজোয় জলপাইগুড়ি জেলার খয়েরখালের গ্রামের বিশেষ আর্কষণ সোনার দুর্গা প্রতিমা । নিরাপত্তার খাতিরে মায়ের বিগ্রহ সারা বছর ট্রেজারিতে রাখা হয় । নবমীর দিন মা পূজিত হন মা গোসানী নামে ।

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের পদমতি 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েত খয়েরখাল গ্রামটি অবস্থিত । খয়েরখালের মা গোসানীদেবীর মন্দির টিনের চাল দেওয়া । দুর্গাপুজোয় কেবলমাত্র নবমীর দিন পুজিত হন মা দুর্গা । এই পুজোকে ঘিরেই উৎসাহ উদ্দিপনা তুঙ্গে ।

খয়েরখালের মা গোসানীদেবীর মন্দিরের পেছনেই রয়েছে একটি বিরাট খাল ৷ যা খয়ের খাল নামে পরিচিত । খালের চারপাশে প্রচুর খয়ের গাছ ছিল বলে এই খালটির নাম হয়েছিল খয়ের খাল । খালটি দেখে মনে হয় যেন একটা সবুজ খেত । কিন্তু ঘাসের আস্তরণ সরালেই জল দেখা যায় ।

আরও পড়ুন: কেউ নজর কাড়ছে থিমে, কারও মূলমন্ত্র সাবেকিয়ানা ! একনজরে রাজ্যের উল্লেখযোগ্য দুর্গাপুজো

মা গোসানীদেবী মন্দিরের পুরোহিত অনেশ্বর রায় জানান, শতাব্দী বছর আগে এই খয়েরখাল থেকেই সোনার দুর্গা প্রতিমাটি উদ্ধার করা হয়েছে । সেই তখন থেকেই সোনার দুর্গা গ্রামে পুজাে করা হয় । মায়ের মূর্তিতে দুইটি সিংহ রয়েছে । অসুর ও মহিষের মাথা রয়েছে । দুর্গাদেবীর সঙ্গে আর কোনও দেবদেবীর মূর্তি নেই । গ্রামবাসীরা জানান, প্রথম থেকেই মা গোসানীদেবীর হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না । সোনার দুর্গা মূর্তিটির উচ্চতা 7 ইঞ্চি । দেবী দুর্গাকে দেখে মনে হয় তিনি যেন অসুর বধের ভঙ্গিমায় বসে আছেন । তাই দেবীর বসার জন্য রুপোর সিংহাসন তৈরি করা হয় এবং গোসানীদেবীর হাতে রুপোর তৈরি অস্ত্র দেওয়া হয়েছে ।

দুর্গাপুজোর নবমীর দিন সোনার দুর্গা প্রতিমা এনে পুজো করা হয় । নবমীর দিন বিগ্রহকে স্নান করিয়ে মন্দিরে এনে পুজো করা । পুজোয় পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়া হয় । পুজাে কমিটির তরফ থেকে মন্দির চত্বরে মেলা বসানো হয় । এই দুর্গা পুজো ঘিরে গ্রামবাসীদের উৎসাহের শেষ নেই । ওইদিনই সূর্যাস্তের আগেই ঘটে জল ঢেলে বিগ্রহকে চুবিয়ে প্রতিকী বিসর্জন দেওয়া হয় । তারপর মায়ের সোনার মূর্তিটি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখা হয় ।

আরও পড়ুন: 53তম বর্ষে হায়দারপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব, থিম 'আমরা গাই প্রকৃতির গান, বাঁচাব সবুজ হাসবে প্রাণ'

নবমিতে এই পুজো দিতে গ্রামবাসী ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন । পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয় । খয়েরখালের এই সোনার মূর্তিটির সঙ্গে জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি ও কোচবিহার রাজবাড়ির মন্দিরের মা দুর্গার মূর্তির সঙ্গে যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে দাবিও করা হয় ।

জলপাইগুড়ি, 30 সেপ্টেম্বর: সারা বছর মা থাকেন ট্রেজারিতে । আর শুধুমাত্র নবমীর দিন পূজিত হন মা (Jalpaiguri Golden Durga)। দুর্গাপুজোয় জলপাইগুড়ি জেলার খয়েরখালের গ্রামের বিশেষ আর্কষণ সোনার দুর্গা প্রতিমা । নিরাপত্তার খাতিরে মায়ের বিগ্রহ সারা বছর ট্রেজারিতে রাখা হয় । নবমীর দিন মা পূজিত হন মা গোসানী নামে ।

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের পদমতি 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েত খয়েরখাল গ্রামটি অবস্থিত । খয়েরখালের মা গোসানীদেবীর মন্দির টিনের চাল দেওয়া । দুর্গাপুজোয় কেবলমাত্র নবমীর দিন পুজিত হন মা দুর্গা । এই পুজোকে ঘিরেই উৎসাহ উদ্দিপনা তুঙ্গে ।

খয়েরখালের মা গোসানীদেবীর মন্দিরের পেছনেই রয়েছে একটি বিরাট খাল ৷ যা খয়ের খাল নামে পরিচিত । খালের চারপাশে প্রচুর খয়ের গাছ ছিল বলে এই খালটির নাম হয়েছিল খয়ের খাল । খালটি দেখে মনে হয় যেন একটা সবুজ খেত । কিন্তু ঘাসের আস্তরণ সরালেই জল দেখা যায় ।

আরও পড়ুন: কেউ নজর কাড়ছে থিমে, কারও মূলমন্ত্র সাবেকিয়ানা ! একনজরে রাজ্যের উল্লেখযোগ্য দুর্গাপুজো

মা গোসানীদেবী মন্দিরের পুরোহিত অনেশ্বর রায় জানান, শতাব্দী বছর আগে এই খয়েরখাল থেকেই সোনার দুর্গা প্রতিমাটি উদ্ধার করা হয়েছে । সেই তখন থেকেই সোনার দুর্গা গ্রামে পুজাে করা হয় । মায়ের মূর্তিতে দুইটি সিংহ রয়েছে । অসুর ও মহিষের মাথা রয়েছে । দুর্গাদেবীর সঙ্গে আর কোনও দেবদেবীর মূর্তি নেই । গ্রামবাসীরা জানান, প্রথম থেকেই মা গোসানীদেবীর হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না । সোনার দুর্গা মূর্তিটির উচ্চতা 7 ইঞ্চি । দেবী দুর্গাকে দেখে মনে হয় তিনি যেন অসুর বধের ভঙ্গিমায় বসে আছেন । তাই দেবীর বসার জন্য রুপোর সিংহাসন তৈরি করা হয় এবং গোসানীদেবীর হাতে রুপোর তৈরি অস্ত্র দেওয়া হয়েছে ।

দুর্গাপুজোর নবমীর দিন সোনার দুর্গা প্রতিমা এনে পুজো করা হয় । নবমীর দিন বিগ্রহকে স্নান করিয়ে মন্দিরে এনে পুজো করা । পুজোয় পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়া হয় । পুজাে কমিটির তরফ থেকে মন্দির চত্বরে মেলা বসানো হয় । এই দুর্গা পুজো ঘিরে গ্রামবাসীদের উৎসাহের শেষ নেই । ওইদিনই সূর্যাস্তের আগেই ঘটে জল ঢেলে বিগ্রহকে চুবিয়ে প্রতিকী বিসর্জন দেওয়া হয় । তারপর মায়ের সোনার মূর্তিটি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে রাখা হয় ।

আরও পড়ুন: 53তম বর্ষে হায়দারপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব, থিম 'আমরা গাই প্রকৃতির গান, বাঁচাব সবুজ হাসবে প্রাণ'

নবমিতে এই পুজো দিতে গ্রামবাসী ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন । পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয় । খয়েরখালের এই সোনার মূর্তিটির সঙ্গে জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি ও কোচবিহার রাজবাড়ির মন্দিরের মা দুর্গার মূর্তির সঙ্গে যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে দাবিও করা হয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.