জলপাইগুড়ি, 4 অক্টোবর : প্রত্যেক শিশুকে আলাদা আলাদা বেডে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তার পরেও একই বেডে চারজন করে শিশুদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও বেডের কোনও সমস্যা নেই বলে আগেই সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়। তারপরেও কেন বেড নেই, আদৌ বেড কেনা হয়েছে কিনা তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, বেডের অভাব নেই। কিন্তু কেন শিশুরা বেড পাচ্ছে না সেটা আমি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব। গত কয়েকদিন ধরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি থাকা শিশুদের শয্যা পর্যাপ্ত নেই বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। একটি শয্যায় চারজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দিতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক শিশুর আত্মীয় জাকির হুসেন সরকার জানান, আমার ছ'মাসের ছেলে শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত অব্যবস্থা রয়েছে সে। লিমুলাইজার মেশিনে বাচ্চাকে লাগাতে হচ্ছে। একই বেডে তিন-চারজন করে শিশুদের রাখা হয়েছে। শিশুর সঙ্গে তাদের মায়েরাও রয়েছে। কী করে একই বেডে তিন-চারজন মা শিশুদের নিয়ে থাকবেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন জাকির হুসেন সরকার।
আরও পড়ুন: পুত্রবধূকে নিয়োগ, ছেলের জন্য হাসপাতালে পদ আটকে রাখায় অভিযুক্ত ওএসডি
অন্যদিনের তুলনায় এদিন হাসপাতালের আউটডোরে শিশুদের ভিড় উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শিশুদের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে তা খোঁজ খবর রাখছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত শিশু বিভাগে 121 জন শিশুর চিকিৎসা চলছিল। নতুন করে আরও 24 জন শিশু ভর্তি হয় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে। তিনজন শিশুর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়াতে তিনজন শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও স্বস্তির খবর 27 জন শিশু সুস্থ হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।