জলপাইগুড়ি, 4 অক্টোবর: লাগাতার বৃষ্টির ফলে সিকিমের চুংথাং বাঁধ উপচে পড়ল ৷ জলের তোড়ে বেশ কিছু রাস্তা ডুবে গিয়েছে বলে খবর ৷ সিকিমের পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তা নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে ৷ বহু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর গাজোলডোবা ব্যারেজ দিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে ৷ এর জেরে জলপাইগুড়িতে বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তিস্তা নদীর ধারে বসবাসকারীদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷
আগাম সতকর্তা হিসেবে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করল সেচ দপ্তর। এছাড়া নদীর আশপাশে যাতে কেউ যেতে না পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকার দুই ডিএসপি এবং কোতোয়ালির থানার আইসি মাইকে প্রচার চালাচ্ছেন।
সূত্রের খবর, সিকিমের চুংথাং বাঁধ উপচে জল ঢুকছে জেলায় ৷ সিংতামের ইন্দ্রেনী ফুটব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ সাম্প্রতিককালে এমন ঘটনা ঘটেনি বলে মনে করা হচ্ছে ৷ সিকিমে বৃষ্টি হলে জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীতে জল বেড়ে বন্যার একটা আশঙ্কা সবসময় থেকে যায় ৷ তাই এবারও সিকিমে যেভাবে তিস্তা নদীতে জল বেড়েছে, তাতে নীচের অংশে জল নেমে এসে ব্যপাক ক্ষতি হবে, তা বলাই যায় ৷
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, তিস্তা নদীর জল বাড়ছে ৷ জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদীর ধারে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷ ভোর 3টে নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি, ময়নাগুড়ি এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ বিডিও, এসডিও, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ৷ প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালি তোলায় বন্যা পরিস্থিতি, দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনের পর দাবি বিজেপি সাংসদের