জলপাইগুড়ি, 2 এপ্রিল: দম্পতির রহস্যমৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল ! কাঠগড়ায় এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত দম্পতির নাম সুবোধ ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্য ৷ শনিবার পাণ্ডাপাড়ার বাড়িতে থেকেই তাঁদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ সুবোধের দিদি শিখা চট্টোপাধ্য়ায়ের দাবি, তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ আর এই ঘটনার জন্য জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়-সহ বেশ কয়েকজনকে দায়ী করেছেন তিনি ৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৈকত ৷
রবিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিখা ৷ পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানান, তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর উপর লাগাতার জুলুম চালিয়ে যাচ্ছিলেন সৈকত ও তাঁর অনুগামীরা ! সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হন ভট্টাচার্য দম্পতি ! তাঁরা চার পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোটও লিখে রেখে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিখা ৷ সেই সুইসাইড নোটে চারজনকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ৷ এঁরা হলেন সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়, টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি তথা 14 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ এবং সোনালী বিশ্বাস ও মনোময় সরকার ৷ এঁদের চারজনের বিরুদ্ধেই এদিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিখা ৷ তাঁর দাবি, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে ৷
আরও পড়ুন: স্বামী, স্ত্রী'র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ করেছেন সৈকত ৷ তাঁর পালটা দাবি, তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বলেই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ এমনকী, ভট্টাচার্য দম্পতির সুইসাইড নোটটি আসল কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সৈকত ৷ উলটে তাঁর দাবি, এই ঘটনার মূলচক্রী শিখা চট্টোপাধ্য়ায় নিজেই ! আইনের হাত থেকে বাঁচতেই তিনি তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে তোপ দেগেছেন সৈকত ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷