ETV Bharat / state

লকডাউনের জেরে বিপাকে জলপাইগুড়ির শশা চাষিরা

author img

By

Published : May 19, 2020, 3:30 PM IST

Updated : May 23, 2020, 2:06 PM IST

দিনের পর দিন জমিতে পড়ে রয়েছে শশা৷ খেত থেকে শসা তুলতে না পারায় বর্তমানে তা, তরমুজের আকার ধারণ করেছে৷ মাথায় হাত জলপাইগুড়ির শশা চাষিদের৷ উল্লেখ্য, সারা বছর তাঁরা এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন৷ তবে, এবারের চিত্রটা একেবারেই উলটো৷ শশা বিক্রি তো দূরের কথা, খরচের টাকাও এখনও পর্যন্ত ওঠেনি৷

farmers are in problem due to lockdown in Jalpaiguri
তরমুজের আকার নিয়েছে শশা, বিপাকে কৃষকেরা

জলপাইগুড়ি, 19 মেঃ কোরোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন৷ যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ৷ অপরদিকে, লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক৷ মাঠের ফসল নষ্ট হচ্ছে মাঠেই৷ লকডাউনের জেরে সবজি বিক্রি তো দূরের কথা, ফসলের খরচের টাকাই এখনও পর্যন্ত ওঠেনি৷ ঋণ শোধ করবেন কী ভাবে? এই চিন্তায় এখন দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক৷

জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অবস্থাও একই রকম৷ দিনের পর দিন জমিতে পড়ে রয়েছে শশা৷ জমি থেকে শশা তুলতে না পারায় বর্তমানে তা, তরমুজের আকার ধারণ করেছে৷ মাথায় হাত শশা চাষিদের৷ উল্লেখ্য, সারা বছর তাঁরা এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন৷ তবে, এবারের চিত্রটা একেবারে বিপরীত ৷ শশা বিক্রি তো দূরের কথা, খরচের টাকাও এখনও পর্যন্ত ওঠেনি৷

লকডাউনের জেরে বিপাকে জলপাইগুড়ির শশা চাষিরা

জলপাইগুড়ি কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, এই সময় জেলায় শশার উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়৷ বর্ষাকাল থেকেও এই সময় শশার উৎপাদন 1200 মেট্রিক টন বেশি হয়৷ বর্ষাকালে জেলায় 317 হেক্টর জমিতে 2300 মেট্রিক টন শশার ফলন হয়৷ যার জন্য খরচ হয় প্রায় 8 থেকে 10 হাজার টাকা৷ যদি শ্রমিক নিয়ে চাষ করা হয় তাহলে খরচের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, শীতকালেও জেলায় শশার উৎপাদন বেশ ভালোই হয়৷ জেলায় 250 হেক্টর জমিতে শীতকালীন শশা উৎপাদন হয় 3700 মেট্রিক টন৷

প্রতিবছর, এক এক বিঘা শশা চাষ করলে প্রায় 55 থেকে 70 হাজার টাকা লাভ করেন কৃষকেরা৷ তবে, এবছরের চিত্রটা একেবারেই উল্টো৷ বছরে সেই উৎপাদনের পরিমান ছাপিয়ে গেলেও শশার দাম না মেলায় বিপাকে কৃষকেরা৷

সময় মতো জমি থেকে শশা না তুলতে পারায় এখন তা তরমুজের মতো আকার নিয়েছে৷ কৃষকদের মতে, এই শশা গুলো বিক্রি হওয়া তো দূরের কথা, বর্তমানে তা গোরুকে খাওয়ানো ছাড়া কোনও উপায় নেই ৷ এবিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷

জেলার এক কৃষক আলি কুরিমুল্লা জানান, "লকডাউনের জেরে শশা বিক্রি করতে পারছি না৷ শশা চাষের জন্য অনেক টাকাই খরচ হয়ে গিয়েছে৷ এই কাজ করেই আমরা সংসার চালাই৷ শশা ছাড়াও অন্যান্য ফসলও নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ এবিষয়ে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই৷"

আর এক কৃষক আজিমুল হক জানান, "ফসল কোথাও নিয়ে যেয়ে বিক্রি করতে পারছি না আমরা৷ ঋণ নিয়ে আমরা কৃষি কাজ করছিলাম৷ কিন্তু, ফসল না বিক্রি করতে পারলে টাকা শোধ করবো কী ভাবে? তিন মাস ঋণ শোধ করা বন্ধ থাকলেও পরে তো শোধ করতে হবে৷ তখন তো চাপ আসবেই৷"

লকডাউন কবে উঠবে? কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? এখন সেদিকেই তাকিয়ে কৃষকেরা৷

জলপাইগুড়ি, 19 মেঃ কোরোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন৷ যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ৷ অপরদিকে, লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক৷ মাঠের ফসল নষ্ট হচ্ছে মাঠেই৷ লকডাউনের জেরে সবজি বিক্রি তো দূরের কথা, ফসলের খরচের টাকাই এখনও পর্যন্ত ওঠেনি৷ ঋণ শোধ করবেন কী ভাবে? এই চিন্তায় এখন দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক৷

জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অবস্থাও একই রকম৷ দিনের পর দিন জমিতে পড়ে রয়েছে শশা৷ জমি থেকে শশা তুলতে না পারায় বর্তমানে তা, তরমুজের আকার ধারণ করেছে৷ মাথায় হাত শশা চাষিদের৷ উল্লেখ্য, সারা বছর তাঁরা এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন৷ তবে, এবারের চিত্রটা একেবারে বিপরীত ৷ শশা বিক্রি তো দূরের কথা, খরচের টাকাও এখনও পর্যন্ত ওঠেনি৷

লকডাউনের জেরে বিপাকে জলপাইগুড়ির শশা চাষিরা

জলপাইগুড়ি কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, এই সময় জেলায় শশার উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়৷ বর্ষাকাল থেকেও এই সময় শশার উৎপাদন 1200 মেট্রিক টন বেশি হয়৷ বর্ষাকালে জেলায় 317 হেক্টর জমিতে 2300 মেট্রিক টন শশার ফলন হয়৷ যার জন্য খরচ হয় প্রায় 8 থেকে 10 হাজার টাকা৷ যদি শ্রমিক নিয়ে চাষ করা হয় তাহলে খরচের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, শীতকালেও জেলায় শশার উৎপাদন বেশ ভালোই হয়৷ জেলায় 250 হেক্টর জমিতে শীতকালীন শশা উৎপাদন হয় 3700 মেট্রিক টন৷

প্রতিবছর, এক এক বিঘা শশা চাষ করলে প্রায় 55 থেকে 70 হাজার টাকা লাভ করেন কৃষকেরা৷ তবে, এবছরের চিত্রটা একেবারেই উল্টো৷ বছরে সেই উৎপাদনের পরিমান ছাপিয়ে গেলেও শশার দাম না মেলায় বিপাকে কৃষকেরা৷

সময় মতো জমি থেকে শশা না তুলতে পারায় এখন তা তরমুজের মতো আকার নিয়েছে৷ কৃষকদের মতে, এই শশা গুলো বিক্রি হওয়া তো দূরের কথা, বর্তমানে তা গোরুকে খাওয়ানো ছাড়া কোনও উপায় নেই ৷ এবিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷

জেলার এক কৃষক আলি কুরিমুল্লা জানান, "লকডাউনের জেরে শশা বিক্রি করতে পারছি না৷ শশা চাষের জন্য অনেক টাকাই খরচ হয়ে গিয়েছে৷ এই কাজ করেই আমরা সংসার চালাই৷ শশা ছাড়াও অন্যান্য ফসলও নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ এবিষয়ে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই৷"

আর এক কৃষক আজিমুল হক জানান, "ফসল কোথাও নিয়ে যেয়ে বিক্রি করতে পারছি না আমরা৷ ঋণ নিয়ে আমরা কৃষি কাজ করছিলাম৷ কিন্তু, ফসল না বিক্রি করতে পারলে টাকা শোধ করবো কী ভাবে? তিন মাস ঋণ শোধ করা বন্ধ থাকলেও পরে তো শোধ করতে হবে৷ তখন তো চাপ আসবেই৷"

লকডাউন কবে উঠবে? কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? এখন সেদিকেই তাকিয়ে কৃষকেরা৷

Last Updated : May 23, 2020, 2:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.