জলপাইগুড়ি, 3 এপ্রিল: আবহাওয়ার তারতম্যে ফলন কম। তার সঙ্গে চাহিদা কম থাকায় বাজারে নেই তরমুজের দেখা। কেজি প্রতি দাম 5-8 টাকা।সরকারি ও বেসরকারিভাবে ঋণ নিয়ে নদীর অস্থায়ী চরে তরমুজ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন ধূপগুড়ি ব্লকের চাষিরা। তরমুজ চাষ করতে গিয়ে এই মুহূর্তে আকাশের কালো মেঘ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কৃষকদের।
ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষয়েরবাড়ি অঞ্চলের জলঢাকা নদীর মাঝে অস্থায়ী চরে এই তরমুজ চাষ করে থাকেন নকুল মণ্ডল, তপন সরকার, প্রদীপ সরকাররা। প্রতিবছরই ফলন ভালোই হয়ে থাকে। গতবছর চাহিদা ও দাম দুইই ভালো থাকলেও এবছর ফলন অনেকটাই কম।তার সঙ্গে বাজারে চাহিদা না-থাকায় দাম পড়ে রয়েছে। যা দিয়ে খরচের পয়সা জোগানো চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত মরশুমের এই দিনগুলিতে তরমুজ পূর্ণ রূপ এবং বাজারোপযোগী হয়ে থাকে। কিন্তু ফি বছর বাজারোপযোগী হতে আরও দিন দশেক সময় লাগে ৷ আর সেই দিনগুলোতে লাভ হবে কি না, তা নিয়েই সংশয়ে রয়েছেন তাঁরা ৷
যদিও এর পিছনে তরমুজ চাষিরা সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে নদীর জল বেড়ে যাওয়া এবং রোদ না-পাওয়াকেই দায়ী করেছেন। এই এলাকার চাষিরা এখন আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন ৷ তাঁদের কথা, যদি টানা ভারী বৃষ্টিতে নদীর জল বেড়ে যায় তাহলে ফলন জলের তোড়ে ভেসে যাবে। তরমুজ চাষি প্রদীপ সরকার বলেন, "প্রতিবছর ফলন ভালো হলেও এবছর ফলন অনেকটাই কম। 1 হাজার খাল (ডরি) নিয়ে চাষ করেছেন। মালের চাহিদা কম থাকায় পাইকারদের ফোন করে তাঁদের দাম অনুযায়ী মাল দিতে হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: সরকার ন্যায্যমূল্যে আলু কিনলেও লাভের আশা নেই, দাবি কৃষকদের
তিনি আরও বলেন, "তাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে গাড়ির। আলুর ফলন স্টোরেজ সংরক্ষণ করতে গিয়ে গাড়ি মেলা ভার হয়ে পড়ছে। বাজার থেকে 16 হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তরমুজ লাগিয়েছিলাম। জানি না এখন কী হবে। অপর এক চাষি নকুল মণ্ডলের কথায়, দিন কয়েক আগের বৃষ্টিতে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। ফলন কম হওয়ায় বাজারও নেই। ব্যাংক থেকে 25 হাজার টাকা ঋণে এই ফলন করেছি। এবার যদি দাম না-পাই তাহলে কী করব বুঝতে পারছি না। সরকারিভাবে যদি তরমুজ কিনে নেওয়া হত বা বাজারে ন্যায্যমূল্য ধার্য করে দেওয়া হত, তাহলে বাঁচতে পারতাম।