ETV Bharat / state

মিলছে না দাম, চিন্তায় জলপাইগুড়ির লঙ্কা চাষিরা - জলপাইগুড়ির লঙ্কা চাষি

দাম নেই পাইকারি বাজারেও । আগে যে লঙ্কা কেজি প্রতি 50-60 টাকাতে বিক্রি হত, এখন সেই লঙ্কার দাম কমে হয়েছে 7-10 টাকা প্রতি কেজি ।

Chilly
ছবি
author img

By

Published : May 6, 2020, 6:51 PM IST

Updated : May 7, 2020, 9:41 PM IST

জলপাইগুড়ি, 6 মে : একদিকে লকডাউন । অন্যদিকে শিলাবৃষ্টি । আর এই দুইয়ের জাঁতাকলে মাথায় হাত লঙ্কাচাষিদের । লকডাউনের ফলে বাজারে বিক্রি নেই । ভিন রাজ্যের ক্রেতারাও লঙ্কা কিনতে আসছেন না । অন্যদিকে শিলাবৃষ্টির ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে লঙ্কা । কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না চাষিরা । কৃষি ঋণে কিছুটা ছাড় মিললে হয়তো এই যাত্রায় তাঁদের পরিবারটা বাঁচে ।

জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় 825 হেক্টর জমিতে লঙ্কার চাষ হয় । প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় 180 কুইন্টাল লঙ্কা । ফি বছরে 6 হাজার মেট্রিক টন লঙ্কার ফলন ধরে জেলায় । লকডাউনের আগে জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় 50 টন লঙ্কা বিহারসহ অন্য রাজ্যগুলিতে যেত । কিন্তু এখন লকডাউনে সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে অর্ধেকে । খুব বেশি হলে 25-30 টন লঙ্কা এখন বাইরে যাচ্ছে । দাম নেই পাইকারি বাজারেও । আগে যে লঙ্কা কেজি প্রতি 50-60 টাকাতে বিক্রি হত, এখন সেই লঙ্কার দাম কমে হয়েছে 7-10 টাকা প্রতি কেজি ।

লকডাউনে চিন্তায় জলপাইগুড়ির লঙ্কা চাষিরা

জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে লঙ্কার ফলন সবথেকে বেশি । প্রায় 250 হেক্টর জমিতে চাষ হয় লঙ্কা । সদর ব্লকের ধাপগঞ্জ, বেরুবাড়ি, পাহাড়পুর, বারোপেটিয়া এলাকায় লঙ্কা চাষ বেশি হয়ে থাকে । এক এক বিঘা লঙ্কা চাষ করতে লাগে প্রায় 10-12 হাজার টাকা । সেখানকার চাষিরা বিঘার পর বিঘা লঙ্কা চাষ করে বিপাকে পড়েছেন । শ্রমিক নিয়ে কাজ করলে সেই খরচটা দ্বিগুণ হয়ে যায় । এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে দাম পাচ্ছেন না লঙ্কা চাষিরা । ভিন রাজ্য থেকে ক্রেতার আসছেন না । ফলে বিক্রি হচ্ছে না লঙ্কা । গাছেই ধরে আছে লঙ্কা কিন্তু তুলতে পারছেন না । এমনকি বাড়তি খরচ হবে বলে গাছের পরিচর্চাও বন্ধ করেছেন অনেকে ।

জলপাইগুড়ির এক লঙ্কা চাষি অলিয়ার রহমান । 60 হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন । কিন্তু সব শেষ । শিলাবৃষ্টিতে ফসলের যেমন ক্ষতি, অন্যদিকে লকডাউনে দাম নেই বাজারে । বলেন, "লঙ্কার চাষ করেই আমাদের সারাবছরের সংসার চলে । লঙ্কা চাষের ওপরই আমরা নির্ভর করে থাকি । কিন্তু এই মুহুর্তে আমরা কী করব বুঝে উঠতে পারছি না । সরকার যদি কিছু ছাড় দেয় তাহলে কিছুটা ঋণ শোধ করতে পারব । না হলে মরে যাব । "

Chilly
মিলছে না লঙ্কার সঠিক দাম

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অন্য এক লঙ্কা চাষি সবিজুল হক । ঋণ রয়েছে 30 হাজার টাকা । তাঁর মুখেও একই কথা । বলেন, "লঙ্কা চাষ করেছিলাম । কিন্তু শিলাবৃষ্টি আর লকডাউনের ফলে সব শেষ । লকডাউনটা উঠলে খাওয়াতে পারব পরিবারকে । একবিঘা জমিতে নিজে একা লঙ্কা চাষ করলে 10-12 হাজার টাকা খরচ হয় । লোক দিয়ে করালে 20-25 হাজার টাকা খরচ হয় । এবার চারবিঘা লঙ্কা চাষ করেছি । এখন কী করব বুঝতে পারছি না । গাছ লঙ্কার ভারে পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে না ।"

জলপাইগুড়ি, 6 মে : একদিকে লকডাউন । অন্যদিকে শিলাবৃষ্টি । আর এই দুইয়ের জাঁতাকলে মাথায় হাত লঙ্কাচাষিদের । লকডাউনের ফলে বাজারে বিক্রি নেই । ভিন রাজ্যের ক্রেতারাও লঙ্কা কিনতে আসছেন না । অন্যদিকে শিলাবৃষ্টির ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে লঙ্কা । কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না চাষিরা । কৃষি ঋণে কিছুটা ছাড় মিললে হয়তো এই যাত্রায় তাঁদের পরিবারটা বাঁচে ।

জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় 825 হেক্টর জমিতে লঙ্কার চাষ হয় । প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় 180 কুইন্টাল লঙ্কা । ফি বছরে 6 হাজার মেট্রিক টন লঙ্কার ফলন ধরে জেলায় । লকডাউনের আগে জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় 50 টন লঙ্কা বিহারসহ অন্য রাজ্যগুলিতে যেত । কিন্তু এখন লকডাউনে সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে অর্ধেকে । খুব বেশি হলে 25-30 টন লঙ্কা এখন বাইরে যাচ্ছে । দাম নেই পাইকারি বাজারেও । আগে যে লঙ্কা কেজি প্রতি 50-60 টাকাতে বিক্রি হত, এখন সেই লঙ্কার দাম কমে হয়েছে 7-10 টাকা প্রতি কেজি ।

লকডাউনে চিন্তায় জলপাইগুড়ির লঙ্কা চাষিরা

জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে লঙ্কার ফলন সবথেকে বেশি । প্রায় 250 হেক্টর জমিতে চাষ হয় লঙ্কা । সদর ব্লকের ধাপগঞ্জ, বেরুবাড়ি, পাহাড়পুর, বারোপেটিয়া এলাকায় লঙ্কা চাষ বেশি হয়ে থাকে । এক এক বিঘা লঙ্কা চাষ করতে লাগে প্রায় 10-12 হাজার টাকা । সেখানকার চাষিরা বিঘার পর বিঘা লঙ্কা চাষ করে বিপাকে পড়েছেন । শ্রমিক নিয়ে কাজ করলে সেই খরচটা দ্বিগুণ হয়ে যায় । এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে দাম পাচ্ছেন না লঙ্কা চাষিরা । ভিন রাজ্য থেকে ক্রেতার আসছেন না । ফলে বিক্রি হচ্ছে না লঙ্কা । গাছেই ধরে আছে লঙ্কা কিন্তু তুলতে পারছেন না । এমনকি বাড়তি খরচ হবে বলে গাছের পরিচর্চাও বন্ধ করেছেন অনেকে ।

জলপাইগুড়ির এক লঙ্কা চাষি অলিয়ার রহমান । 60 হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন । কিন্তু সব শেষ । শিলাবৃষ্টিতে ফসলের যেমন ক্ষতি, অন্যদিকে লকডাউনে দাম নেই বাজারে । বলেন, "লঙ্কার চাষ করেই আমাদের সারাবছরের সংসার চলে । লঙ্কা চাষের ওপরই আমরা নির্ভর করে থাকি । কিন্তু এই মুহুর্তে আমরা কী করব বুঝে উঠতে পারছি না । সরকার যদি কিছু ছাড় দেয় তাহলে কিছুটা ঋণ শোধ করতে পারব । না হলে মরে যাব । "

Chilly
মিলছে না লঙ্কার সঠিক দাম

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অন্য এক লঙ্কা চাষি সবিজুল হক । ঋণ রয়েছে 30 হাজার টাকা । তাঁর মুখেও একই কথা । বলেন, "লঙ্কা চাষ করেছিলাম । কিন্তু শিলাবৃষ্টি আর লকডাউনের ফলে সব শেষ । লকডাউনটা উঠলে খাওয়াতে পারব পরিবারকে । একবিঘা জমিতে নিজে একা লঙ্কা চাষ করলে 10-12 হাজার টাকা খরচ হয় । লোক দিয়ে করালে 20-25 হাজার টাকা খরচ হয় । এবার চারবিঘা লঙ্কা চাষ করেছি । এখন কী করব বুঝতে পারছি না । গাছ লঙ্কার ভারে পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে না ।"

Last Updated : May 7, 2020, 9:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.