জলপাইগুড়ি, 10 জুন : কৃষক আন্দোলনের কাছে আগেই হার মেনেছিল রাজ্য সরকার । সেইমতো রাজ্য সরকারের 'ভোরের আলো' প্রকল্পের আওতায় গজোলডোবার জমিতে হেলিপ্যাডের জন্য লাগানো সাইনবোর্ড খুলে নিয়েছিল দু'দিন আগে । আজ সেই জমিতে জয়শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে গেরুয়া আবির খেলে লাঙল চাষ করল কৃষকরা । ভূমি রক্ষা কমিটি ও কিষাণ মোর্চার সদস্যরা আজ দাঁড়িয়ে থেকে সেখানে চাষাবাদ করান ।
রাজ্য সরকারের 'ভোরের আলো' প্রকল্পের জন্য গজোলডোবার মিলনপল্লিতে হেলিপ্যাড তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য সরকার । সেইমতো কাজ শুরু করে প্রশাসন । কিন্তু তখনই বেঁকে বসেন জমির কৃষকরা । তাঁদের অভিযোগ, সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই সেই জমিতে জোর করে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ করছে প্রশাসন । এরপরেই BJP-র ছাতার তলায় এসে ভূমি রক্ষা কমিটির নাম দিয়ে আন্দোলনে নামেন কৃষকরা । আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ময়দানে নামে ভারতীয় কিষাণ মোর্চা । শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে কোনও সুরাহা না হওয়ায় 3 জুন বৈঠকে বসেন স্থানীয় কৃষকরা । উপস্থিত ছিলেন BJP-র কিষাণ সভার রাজ্য নেতারাও । সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অধিগৃহীত জমিতে থাকা সরকারি খুঁটি উপড়ে চাষবাস শুরু করা হবে ।
8 জুন সেখানে গৌতম দেব গেলে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় । তিনি জানান, কৃষকদের পাট্টা সঠিক থাকলে এক ইঞ্চি জমি নেওয়া হবে না । এরপরেই জমির কোনও পাট্টা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয় । বেশ কিছু জায়গায় রাজ্য সরকারের তরফে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় । তাই সরকারি খাস জমিতে প্রকল্পের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর । তারপরেই প্রশাসনের তরফে প্রকল্পের সাইনবোর্ড খুলে নেওয়া হয় । আজ সেই জায়গায় চাষাবাদ শুরু করল কৃষকরা ।
গজোলডোবা ভূমিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান নকুল দাস বলেন, "কৃষকদের পাট্টা থাকা জমিতে রাজ্য সরকার হেলিপ্যাড তৈরি করছিল । আমরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলাম । আজ সেখানে চাষ করল কৃষকরা । আমরা কৃষকদের পাট্টা পাওয়া জমি কিছুতেই রাজ্য সরকারকে নিতে দেব না । কৃষকদের পাশে BJP-র কিষাণ মোর্চা আছে ও থাকবে ।"