জলপাইগুড়ি, 14 জুলাই: 'সাদরী' ডুয়ার্সের চা-বলয়ের অন্যতম কথ্য ভাষা । স্বাধীনতার পরবর্তীকালে এই চা-বাগিচা এলাকায় তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পুঁজি বিনিয়োগ হয়নি । ফলে চা-শিল্পের অনুযারী শিল্প এই এলাকায় গড়ে ওঠেনি । তাই কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত থেকে সীমিততর হয়েছে । এই চা-বলয়ের পুরুষরা রুটি-রুজির আশায় ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে । সে কারণে মা-এর ওপর চেপে বসছে সাংসারিক দায় দায়িত্ব । মাকে একদিকে যেমন সংসার চালাতে হচ্ছে অন্যদিকে সংসার সন্ততিতে মানুষ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে । এই ভূমিকাতেই গান বাঁধলেন বানারহাটের চিকিৎসক ডঃ পার্থ প্রতিম । তাঁর কথায়, ডুয়ার্সের চা-বলয় মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত ।
'সে তো মন হারিয়েছে' এই গানটিতে একটা বেদনার পরিস্থিতি অডিয়ো-ভিডিয়োর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে । জলপাইগুড়ির মেয়ে প্রিয়া সেনগুপ্ত গানটি করেছেন । সুর দিয়েছেন দিপঙ্কর সেনগুপ্ত । বানারহাটের ছাত্রী স্থানীয় এক চা-বাগানের আদিবাসী মেয়ে সিমরন মুন্ডা বুধনির ভূমিকা পালন করছে ভিডিয়োটিতে । বুধনির স্বামী রুটি-রুজির তাগিদে পাড়ি দিয়েছে সুদূর দক্ষিণ ভারতে । বুধনি সন্তানসম্ভবা । ইতিমধ্যেই বহু যুগের ওপার হতে 'আষাঢ় এলো... ৷' বৃষ্টিধারায় স্নাত হচ্ছে চা-বাগিচার সবুজ গালিচা । বর্ষা বিরহের ঋতু । বুধনি প্রিয়জনের ভাবনায় ভাবায়িত হয়েছে । সে আকুতি মূর্ত হয়েছে এই গানটিতে । শুধুমাত্র চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই চা-এর স্বাদ নেওয়া যায় । কিন্তু যারা এই চা উৎপাদন করতে দিনরাত এক করে তাঁদের নিত্যদিনের ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে এই মিউজিক ভিডিয়োতে ।
আরও পড়ুন : পর্যটকদের তথ্য দ্রুত পেতে অ্যাপ আনছে জলপাইগুড়ি পুলিশ
বানারহাটের ছাত্রী স্থানীয় এক চা-বাগানের আদিবাসী মেয়ে সিমরন মুন্ডা জানান, আমাদের চা-বলয়ের চা শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশা আমরা মিউজিক ভিডিয়োর মাধ্যমে তুলে ধরেছি । মায়েদের যে কী কষ্ট তা তুলে ধরা হয়ছে । যাতে করে সবাই জানতে পারে তারা কী অবস্থায় আছে ।
এদিন জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মিউজিক ভিডিয়ো প্রকাশ অনুষ্ঠান করা হয় ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহাসিক ডঃ আনন্দ গোপাল গোষ, উমেশ শর্মা, বিজয় গোপাল চক্রবর্তী, শীলা দত্ত ঘটকা, বৈভাল দাশগুপ্ত-সহ অন্যান্যরা ।