ETV Bharat / state

Domestic violence against Rajganj MLA : পুত্রবধূর উপর নির্যাতন, বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ আদালতের

author img

By

Published : May 12, 2022, 9:57 PM IST

রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের পুত্রবধূর উপর বহুদিন ধরে চলছে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন ৷ বারবার থানায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি ৷ তাই নির্যাতিতা এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ তারপরই আদালত থানাকে বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে (Court Case to be filed against Rajganj MLA) ৷

Jalpaiguri News
বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ আদালতের

জলপাইগুড়ি, 12 মে : বিধায়ক শ্বশুর, স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও থানা কেস রেজিস্টার করেনি । আদালতের দ্বারস্থ হলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের শাসকদলের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায় । তারপরই সংশ্লিষ্ট থানাকে কেস রেজিস্টার করার নির্দেশ দিল আদালত (Court Case to be filed against Rajganj MLA) । তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক খগেশ্বর রায় ৷

এর আগে রাজগঞ্জ থানা ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেও কেস রেজিস্টার হয়নি । বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন বিধায়কের পুত্রবধূ । রাজগঞ্জ থানাকে কেস রেজিস্টার করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক । তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে ৷ এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ৷

বিধায়কের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়ের অভিযোগ, "গত বছর 8 জানুয়ারি আমার উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে বিধায়ক খগেশ্বর রায়, তাঁর পুত্র দিবাকর রায় ও শাশুড়ি প্রতিমা রায়ের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছিলাম । কিন্তু রাজগঞ্জ থানা কেস রেজিস্টার না করে লিগ্যাল এইডে বিষয়টি পাঠিয়ে দেয় অভিযোগটি । লিগ্যাল এইডে মীমাংসা না হওয়ায় ফের রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাই ৷ সেই কেস রেজিস্টার না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হই ৷"

পিঙ্কি জানান, বিধায়ক শ্বশুর তাঁকে কখনও মারধর করেননি ৷ তবে ছেলেকে একতরফা সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন সবসময় ৷ তাই তাঁর মতে পুরো বিষয়টিতে তাঁর শ্বশুরও সমানভাবে দায়ী ৷ কারণ তিনি কখনও কোনও প্রতিবাদ করেননি ।

কেস রেজিস্টার করে আগামী 12 জুনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত

আরও পড়ুন : Salary Deduction of Cancer Patient Teacher : ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকার কাটা বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

পিঙ্কির অভিযোগ, 2019 সালের মার্চ মাসে রাজগঞ্জের পাতিলাভাষায় সামাজিকভাবে খগেশ্বর রায়ের ছেলে দিবাকরের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । বিয়ের পর থেকেই তাঁর ওপর অত্যাচার চলছে ৷ 2021 সালের 8 জানুয়ারি রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানান তিনি ৷ অভিযোগ দায়ের করলেও তার রিসিভ কপি তখন তাঁকে দেওয়া হয়নি ৷ এরপর মাঝে একবার ব্ল্যাঙ্ক স্টাম্প পেপার নিয়ে গিয়ে তাতে সই করিয়ে সংসার করার কথাও নাকি পিঙ্কিকে বলা হয়েছিল । পিঙ্কির প্রশ্ন, "শাসকদলের বিধায়ক বলে তাঁর বিরুদ্ধে কি আমি কেন অভিযোগ করতে পারব না ? তিনি প্রভাবশালী বলে পুলিশ কিছু করেনি । তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ হলাম । আদালত আমার পুরানো অভিযোগের ভিত্তিতেও কেস রেজিস্টার করার নির্দেশ দিয়েছে । আদালতের নির্দেশে আমি খুশি ৷"

এদিকে খগেশ্বর রায় আগেই জনিয়েছিলেন, ছেলের সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে হলেও বউমা তাঁর বাড়ি থেকে চলে যান । তাঁকে বাড়িতে আনার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি । পুত্রবধূ বাড়িতে আসছিলেন না । উলটে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন, যা ভিত্তিহীন ।

পিঙ্কির আইনজীবী সৌজিৎ সিং জানান, পিঙ্কি শুরু থেকেই শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হচ্ছেন ৷ তাই গত দেড় বছর ধরে পিঙ্কি বাপের বাড়িতেই রয়েছেন ৷ রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানোর পরও কেস রেজিস্টার না হওয়ায় পিঙ্কি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন ৷ তারপরও কোন কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ এদিন সিজেএম-কে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয় ৷ আজ মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত নির্দেশ দিয়েছে কেস রেজিস্টার করার জন্য । পুলিশ সুপারকে যে অভিযোগ করা হয়েছিল সেটাকে ধরে যথাযথ সেকশনে রাজগঞ্জ থানাকে ক্রিমিনাল কেস রেজিস্টার করতে হবে । 12 জুনের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে পুলিশের তদন্ত অতদূর এগোল ৷

জলপাইগুড়ি, 12 মে : বিধায়ক শ্বশুর, স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও থানা কেস রেজিস্টার করেনি । আদালতের দ্বারস্থ হলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের শাসকদলের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায় । তারপরই সংশ্লিষ্ট থানাকে কেস রেজিস্টার করার নির্দেশ দিল আদালত (Court Case to be filed against Rajganj MLA) । তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক খগেশ্বর রায় ৷

এর আগে রাজগঞ্জ থানা ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেও কেস রেজিস্টার হয়নি । বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন বিধায়কের পুত্রবধূ । রাজগঞ্জ থানাকে কেস রেজিস্টার করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক । তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে ৷ এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ৷

বিধায়কের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়ের অভিযোগ, "গত বছর 8 জানুয়ারি আমার উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে বিধায়ক খগেশ্বর রায়, তাঁর পুত্র দিবাকর রায় ও শাশুড়ি প্রতিমা রায়ের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছিলাম । কিন্তু রাজগঞ্জ থানা কেস রেজিস্টার না করে লিগ্যাল এইডে বিষয়টি পাঠিয়ে দেয় অভিযোগটি । লিগ্যাল এইডে মীমাংসা না হওয়ায় ফের রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাই ৷ সেই কেস রেজিস্টার না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হই ৷"

পিঙ্কি জানান, বিধায়ক শ্বশুর তাঁকে কখনও মারধর করেননি ৷ তবে ছেলেকে একতরফা সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন সবসময় ৷ তাই তাঁর মতে পুরো বিষয়টিতে তাঁর শ্বশুরও সমানভাবে দায়ী ৷ কারণ তিনি কখনও কোনও প্রতিবাদ করেননি ।

কেস রেজিস্টার করে আগামী 12 জুনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত

আরও পড়ুন : Salary Deduction of Cancer Patient Teacher : ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকার কাটা বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

পিঙ্কির অভিযোগ, 2019 সালের মার্চ মাসে রাজগঞ্জের পাতিলাভাষায় সামাজিকভাবে খগেশ্বর রায়ের ছেলে দিবাকরের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । বিয়ের পর থেকেই তাঁর ওপর অত্যাচার চলছে ৷ 2021 সালের 8 জানুয়ারি রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানান তিনি ৷ অভিযোগ দায়ের করলেও তার রিসিভ কপি তখন তাঁকে দেওয়া হয়নি ৷ এরপর মাঝে একবার ব্ল্যাঙ্ক স্টাম্প পেপার নিয়ে গিয়ে তাতে সই করিয়ে সংসার করার কথাও নাকি পিঙ্কিকে বলা হয়েছিল । পিঙ্কির প্রশ্ন, "শাসকদলের বিধায়ক বলে তাঁর বিরুদ্ধে কি আমি কেন অভিযোগ করতে পারব না ? তিনি প্রভাবশালী বলে পুলিশ কিছু করেনি । তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ হলাম । আদালত আমার পুরানো অভিযোগের ভিত্তিতেও কেস রেজিস্টার করার নির্দেশ দিয়েছে । আদালতের নির্দেশে আমি খুশি ৷"

এদিকে খগেশ্বর রায় আগেই জনিয়েছিলেন, ছেলের সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে হলেও বউমা তাঁর বাড়ি থেকে চলে যান । তাঁকে বাড়িতে আনার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি । পুত্রবধূ বাড়িতে আসছিলেন না । উলটে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন, যা ভিত্তিহীন ।

পিঙ্কির আইনজীবী সৌজিৎ সিং জানান, পিঙ্কি শুরু থেকেই শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হচ্ছেন ৷ তাই গত দেড় বছর ধরে পিঙ্কি বাপের বাড়িতেই রয়েছেন ৷ রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানোর পরও কেস রেজিস্টার না হওয়ায় পিঙ্কি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন ৷ তারপরও কোন কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ এদিন সিজেএম-কে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয় ৷ আজ মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত নির্দেশ দিয়েছে কেস রেজিস্টার করার জন্য । পুলিশ সুপারকে যে অভিযোগ করা হয়েছিল সেটাকে ধরে যথাযথ সেকশনে রাজগঞ্জ থানাকে ক্রিমিনাল কেস রেজিস্টার করতে হবে । 12 জুনের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে পুলিশের তদন্ত অতদূর এগোল ৷

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.