জলপাইগুড়ি, 1 এপ্রিল: স্বামী, স্ত্রী'র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। মৃত ব্যক্তির নাম সুবোধ ভট্টাচার্য ও মৃতার নাম অপর্ণা ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, স্বামী ও স্ত্রী দু'জনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। জলপাইগুড়ি পৌরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ডের পাণ্ডাপাড়া রোড এলাকার ঘটনা। তবে খুন না-আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট করে বোঝা যাবে ।
ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর হিসেবে 2000 থেকে 2002 সাল পর্যন্ত পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অপর্ণা ভট্টাচার্য। যদিও তারপরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের চাইল্ডলাইনে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রাক্তন সদস্য ছিলেন সুবোধ ভট্টাচার্য। স্বামী ও স্ত্রী দু'জনেই সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন দির্ঘদিন থেকেই। কী কারণে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
জলপাইগুড়ি শিশু পাচার কাণ্ডে পর্দাফাঁসের ঘটনায় সুবোধ ভট্টাচার্য অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি জেলাশাসক-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপরেই সিআইডি (CID) শিশুপাচার কাণ্ডে বিমলা শিশু গৃহের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী-সহ জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকরা গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি তাঁরা ধুমধামের সঙ্গে মেয়ের বিয়েও দিয়েছিলেন। মেয়ের বিয়ের জন্য কোনও ঋণ অথবা কোনও মানসিক অশান্তি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: চেন্নাই আইআইটি-তে আত্মঘাতী বাংলার পিএইচডি পড়ুয়া
জলপাইগুড়ি পৌরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মণিন্দ্রনাথ রায় বলেন, "কী কারণে মৃত্যু তা জানা যায়নি। অপর্ণা ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্য দু'জনেই বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তদন্ত করছে । কেন মৃত্যু তা বাড়ির লোকেরাও বলতে পারছেন না।" স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর নারায়ণ সরকার বলেন, "আজ সকালে আমরা খবর পাই ৷ এরপর তাঁদের উদ্ধার করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমনটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। কী কারণে ওই মৃত্যুর ঘটনা তা এখনও বলা যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে আসল মৃত্যুর কারণ কী ৷" জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানান, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে না।