জলপাইগুড়ি, 31 মার্চ : পুড়ে যাওয়া দেবী চৌধুরানী ও ভবানি পাঠকের মন্দির বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হল । তবে নতুন করে তৈরি দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের মূর্তির গঠন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক (Controversy over Devi Chaudhurani and Bhabani Pathak idol in Jalpaiguri ) । কারণ মূর্তি যেমন ছিল সেই মূর্তির সঙ্গে বর্তমানে বানানো মূর্তির অনেকাংশেই মিল নেই বলে অভিযোগ । দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের পুরনো মূর্তির যে মুখমণ্ডল ও অন্যান্য বিগ্রহগুলি তার সঙ্গে বর্তমানের তৈরি মূর্তির মিল নেই বলে অভিযোগ ।
ঐতিহাসিক এই মূর্তিগুলোকে তার প্রাচীন গঠন মেনেই করা উচিত ছিল বলে মনে করছেন ঐতিহাসিকরা । কারণ হেরিটেজ এই মূর্তিগুলি পুড়ে যাওয়ার পর যেভাবে বানানো উচিত ছিল তা করা হয়নি । প্রসঙ্গত জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুরে ঐতিহাসিক 2018 সালে 16 জানুয়ারী শিকারপুরে দেবী চৌধুরানী মন্দির পুড়ে যায় । তারপর সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের উদ্যোগে তৈরি করে দেওয়া হবে মন্দির । মন্দির নির্মাণের পর, একই ভাবে সরকারের পক্ষ থেকে দেবী চৌধুরানী ও ভবানি পাঠকের মূর্তি তৈরির কাজ করা হয় । দীর্ঘদিন পর গতকাল মন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা হয় । এদিন মন্দিরের পুজোতে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় সহ জিলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন।
আরও পড়ুন : গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও চাপড়ামারি অভয়ারণ্যে গন্ডার গণনা
জলপাইগুড়ির ইতিহাস গবেষক উমেশ শর্মা বলেন, "ইতিহাস কখনও বিকৃত করা যায় না। দেবী চৌধুরানী ও ভবানি পাঠকের মূর্তি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল । তা ফের বানানো হয়েছে । ইতিহাস যেখানে বিজড়িত সেখানে ইতিহাসকে অক্ষত রেখেই অর্থাৎ যেমন মূর্তি ছিল তেমন বানানোটাই শ্রেয় বলে মনে করি ।" তিনি আরও বলেন, "তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল । তবে কেমন হয়েছে আমি এখনও দেখিনি । যা ছিল তাই হওয়া উচিত।" তবে পুড়ে যাওয়া মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করায় খুশি হয়েছেন এলাকার মানুষ । এদিন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, "আমরা আজ খুব খুশি, এই পুড়ে যাওয়া মন্দিরটি তৈরির পর মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন । আজ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হল। তবে নতুন মূর্তি করা হয়েছে। বেশ ভাল লাগছে ৷ তবে শিল্পী চেষ্টা করেছেন অবিকল করার জন্য ।"