ETV Bharat / state

Jalpaiguri Suicide Controversy: আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বিজেপি বিধায়ক - Jalpaiguri Municipality

দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না বলে দাবি করলেন মৃতার বোন তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় ৷

ETV Bharat
শিখা চট্টোপাধ্যায়
author img

By

Published : Apr 5, 2023, 10:38 PM IST

জলপাইগুড়িতে দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক ও পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বক্তব্য

জলপাইগুড়ি, 5 এপ্রিল: আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেবার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করছে না পুলিশ । প্রভাবশালী জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মৃতার বোন তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় । তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে সৈকত অবৈধ কার্যকলাপ করছেন । প্রভাবশালী হবার কারণে তিনি তদন্তে প্রভাব খাটাচ্ছেন । তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে না দিলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না । তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলছেন শিখা চট্টোপাধ্যায় ।

বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখাও করেন বিধায়ক । এদিন জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন,"আত্মহত্যার প্ররোচনা দেবার ঘটনায় যারা মূল অভিযুক্ত তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না । আমি 2013 সালে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলেও বিধায়ক ছিলাম না । চাকরি দেবার ক্ষমতা আমার ছিল না । আর আমি জলপাইগুড়ি পৌরসভাতে চাকরিও করতাম না । আমি থাকতাম ডাবগ্রামে । ফলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে । পুলিশের তদন্তের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই । এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুরনো তারিখ দিয়ে অভিযুক্তদের দিয়ে মামলা করানো হচ্ছে । আমরা দাবি রাখছি যে তারিখে অভিযোগ করা হয়েছে সেই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ও সুইসাইডের দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক ।" অন্যদিকে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করার আবেদন জানিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয় জেলা নেতৃত্ব ।

এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী অভিযোগ করে বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের জমি মাফিয়া ও গুণ্ডাদের অত্যাচারে দু'জন সমাজসেবী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন । পুলিশ অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরকে বাঁচাতে চাইছে ও আড়াল করার চেষ্টা করছেন । অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য পুলিশ পুরনো তারিখে অভিযোগ করছে । পুলিশ যদি নিরপেক্ষ কাজ না করেন, তাহলে আমাদের আইনজীবীদের নিয়ে আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব । বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে এটা হলে গ্রেফতার হত । পুরনো মিথ্যা কেস দেওয়ানো হচ্ছে । আইসি ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আমরা মামলা করব । সৈকত চট্টোপাধ্যায় শিশু পাচারের কাজে যুক্ত । তিনি আজ বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷"

এদিকে অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন । যারা বলছেন আমি জমি মাফিয়া আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব । মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায় 21 লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে । 4 এপ্রিল আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেছেন মনোময় সরকার । আমি চাই নিরপেক্ষ তদন্তে হোক । এই আত্মহত্যার পেছনে শিখা চট্টোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে ।"

এদিন সৈকত চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁর পাশে দলের সবাই রয়েছেন । কিন্তু এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ জানান, এই জোড়া আত্মহত্যার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই । এখানে রাজনীতির কিছু নেই । সৈকত নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি আইনজীবী হিসেবে এদের সঙ্গে কথা বলেছেন ।

আরও পড়ুন : আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগ, সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের পাশে নেই তৃণমূল

জলপাইগুড়িতে দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক ও পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বক্তব্য

জলপাইগুড়ি, 5 এপ্রিল: আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেবার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করছে না পুলিশ । প্রভাবশালী জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মৃতার বোন তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় । তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে সৈকত অবৈধ কার্যকলাপ করছেন । প্রভাবশালী হবার কারণে তিনি তদন্তে প্রভাব খাটাচ্ছেন । তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে না দিলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না । তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলছেন শিখা চট্টোপাধ্যায় ।

বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখাও করেন বিধায়ক । এদিন জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন,"আত্মহত্যার প্ররোচনা দেবার ঘটনায় যারা মূল অভিযুক্ত তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না । আমি 2013 সালে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলেও বিধায়ক ছিলাম না । চাকরি দেবার ক্ষমতা আমার ছিল না । আর আমি জলপাইগুড়ি পৌরসভাতে চাকরিও করতাম না । আমি থাকতাম ডাবগ্রামে । ফলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে । পুলিশের তদন্তের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই । এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুরনো তারিখ দিয়ে অভিযুক্তদের দিয়ে মামলা করানো হচ্ছে । আমরা দাবি রাখছি যে তারিখে অভিযোগ করা হয়েছে সেই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ও সুইসাইডের দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক ।" অন্যদিকে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করার আবেদন জানিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয় জেলা নেতৃত্ব ।

এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী অভিযোগ করে বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের জমি মাফিয়া ও গুণ্ডাদের অত্যাচারে দু'জন সমাজসেবী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন । পুলিশ অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরকে বাঁচাতে চাইছে ও আড়াল করার চেষ্টা করছেন । অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য পুলিশ পুরনো তারিখে অভিযোগ করছে । পুলিশ যদি নিরপেক্ষ কাজ না করেন, তাহলে আমাদের আইনজীবীদের নিয়ে আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব । বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে এটা হলে গ্রেফতার হত । পুরনো মিথ্যা কেস দেওয়ানো হচ্ছে । আইসি ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আমরা মামলা করব । সৈকত চট্টোপাধ্যায় শিশু পাচারের কাজে যুক্ত । তিনি আজ বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷"

এদিকে অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন । যারা বলছেন আমি জমি মাফিয়া আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব । মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায় 21 লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে । 4 এপ্রিল আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেছেন মনোময় সরকার । আমি চাই নিরপেক্ষ তদন্তে হোক । এই আত্মহত্যার পেছনে শিখা চট্টোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে ।"

এদিন সৈকত চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁর পাশে দলের সবাই রয়েছেন । কিন্তু এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ জানান, এই জোড়া আত্মহত্যার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই । এখানে রাজনীতির কিছু নেই । সৈকত নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি আইনজীবী হিসেবে এদের সঙ্গে কথা বলেছেন ।

আরও পড়ুন : আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগ, সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের পাশে নেই তৃণমূল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.