জলপাইগুড়ি, 18 অগস্ট: আশপাশের বাড়ির ক্ষতি করে মোবাইল টাওয়ারের কাজ করা হচ্ছে । এমনটাই অভিযোগ করেন স্থানীয়রা ৷ ফলে রুখে দাঁড়ান তাঁরা । এর প্রতিবাদ করলে শরীরের উপর দিয়ে জেসিবি চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল মোবাইল টাওয়ার সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে (company threats to Locals for protesting in Mobile Tower construction) । স্থানীয়দের বাধায় আপাতত বন্ধ রয়েছে মোবাইল টাওয়ার তৈরির কাজ ।
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার 2 নং ওয়ার্ডের উত্তর রায়কতপাড়ায় । স্থানীয়দের অনুমতি ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে টাওয়ার বলে অভিযোগ । টাওয়ার তৈরির জন্য গর্ত খোঁড়ার ফলে গার্ডওয়াল-সহ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলেও অভিযোগ ।
স্থানীয় বাসিন্দা সিতেশ সাহা বলেন, "আমাদের প্রতিবেশীদের কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজ করা হচ্ছে । কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না । আমরা ইতিমধ্যেই জেলাশাসক, জলপাইগুড়ি পৌরসভা,পুলিশ সুপার, কোতোয়ালি থানাকে লিখিত অভিযোগ করেছি । আমরা কোনওভাবেই এখানে টাওয়ারের কাজ করতে দেব না ।"
কাদম্বিনী দেবী সিং অভিযোগ করে বলেন, "আমি প্রথম থেকে এই কাজটির বাধা দিচ্ছিলাম । তখন আমাকে বলা হল তোমার উপর দিয়েই জেসিবি চালিয়ে দেব । এ দিকে টাওয়ারের জন্য গর্ত খোঁড়া হচ্ছে আমার বাড়ির দেওয়ালের পাশেই । দেওয়ালের গার্ডওয়াল ধসে গিয়েছে । ফাটল ধরেছে । শৌচাগারের পেছনে ফাটল হয়েছে । আমি বিষয়টি টাওয়ার কোম্পানিকে দেখাতে গেলে আমার কথা শোনেনি । আমার বাড়ির ক্ষতি হচ্ছে ৷ আমি এই কাজ করতে দেব না । আমার বাড়ির ক্ষতি হচ্ছে তাই আমি পৌরসভার কাছে অভিযোগ করেছি ।"
স্থানীয় বাসিন্দা অনিতা রায় বলেন, "আমার বাড়ির পাশে টাওয়ার হচ্ছে আমি জানি না । আমার জমিতে টাওয়ার তৈরির জন্য মাটি খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে । কিন্তু আমাকে কিছুই জানানো হয়নি । আমার জমির উপর কাজ হবে সেটারও কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি । আমাকে বলাও হয়নি কী কাজ হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মাঠে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাচীর দেওয়াতে বাঁধা স্থানীয়দের
এ দিকে টাওয়ার কোম্পানির সাইড সুপার ভাইজার রানা সিং বলেন, "আমাদের টাওয়ার তৈরির সব রকম অনুমতি আছে । কাজ শুরুর আগে কোনও সমস্যা হয়নি । কিন্তু এখন সমস্যা করছে স্থানীয়রা ।" অন্যদিকে জলপাইগুড়ি 2 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহুয়া দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "টাওয়ার তৈরির জন্য এলাকার মানুষের অনুমতি কেন লাগবে । আমার কাছে এসেছিল আমি অনুমতি দিয়েছি ।"