জলপাইগুড়ি, 29 মার্চ: ভুয়ো বিল বানিয়ে পৌরসভার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ । জলপাইগুড়ি পৌরসভার পেনশন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নামছে সিআইডি (Pension Scam at Jalpaiguri Municipality)। ইতিমধ্যেই সিআইডির হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে (CID Investigate Pension Corruption of Jalpaiguri Municipality)। জলপাইগুড়ি পৌরসভার পেনশন বিলিতে কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরই পৌরসভার পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
অভিযোগে বলা হয়, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে পেনশনের টাকা সরিয়ে তা আত্মসাৎ করেন এক কর্মী । সম্প্রতি তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন । সেই কর্মী বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে । অভিযোগ ছিল, পৌরসভার পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির সঙ্গে পৌরসভারই বড় বড় মাথারা জড়িত । পেনশন দুর্নীতির মামলায় জামিনের আবেদন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে হয়েছে । সার্কিট বেঞ্চের সরকারি আইনজীবীর দাবি, ভুয়ো পেনশন বিলে তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুরও সই ছিল । আর্থিক দুর্নীতিতে ধৃত পৌরসভার কর্মী অরিঞ্জিৎ ঘোষের পুলিশকে দেওয়া বয়ানকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় জলপাইগুড়িতে ।
পৌরসভার লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে, পৌরকর্মী অরিঞ্জিৎ ঘোষ জলপাইগুড়ি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন । জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ভুয়ো বিল বানানোর ক্ষেত্রে পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহন বসু ও তৎকালীন কাউন্সিলর পাপিয়া পালের হাত রয়েছে ৷ এই দুটি নামই করেছেন অরিঞ্জিৎ ঘোষ ৷ এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের এপিপি অদিতি শঙ্কর চক্রবর্তী ।
পৌরসভার আর্থিক দুর্নীতির সময়কালের বিলের 65টা নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ । বিলে মোহন বসু ও পাপিয়া পালের স্বাক্ষর পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । পৌরসভার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কোতোয়ালি থানায় অরিঞ্জিৎ ঘোষ, তার ছেলে অনির্বাণ ঘোষ ও স্ত্রী সর্বাণী ঘোষের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল । পৌরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে । এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খন্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন, "নির্দেশমতো তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । পৌরসভার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে এবার সিআইডি তদন্ত করবে ।"
আরও পড়ুন : জলপাইগুড়ি পৌরসভার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি