জলপাইগুড়ি, 29 সেপ্টেম্বর : 24 ঘণ্টার মধ্যে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও শিশু মৃত্যুর খবর জানেন না জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । আর অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার বলছেন, এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে । এদিকে, সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বলছেন ময়নাগুড়ি ও ধুপগুড়ি ব্লকের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে গত 24 ঘণ্টায় ৷
চিকিৎসাধীন দুই শিশুর মৃত্যুর প্রকৃত তথ্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দাঁনা বেঁধেছে জলপাইগুড়িতে ৷ জলপাইগুড়ি জেলার শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনার প্রথম দিন থেকেই স্বাস্থ্য দফরের বিরুদ্ধে তথ্য লুকানোর অভিযোগ উঠছিল । অভিযাগ, উত্তরবঙ্গের জন স্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি সুশান্তকুমার রায়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে তথ্য দিচ্ছেন না । এমনকি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিকৃতভাবে তথ্য পরিবেশনের অভিযোগও তোলা হয়েছে । প্রকৃত তথ্য কী তা জানার জন্য ওএসডি-কে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন । দেখাও করতে চাননি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ।
আরও পড়ুন : Child Fever : ফের 2 শিশুর মৃত্যু, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে 9
বুধবার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন, "শিশু মৃত্যুর কোনও খবর আমার কাছে নেই ।" এদিকে সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ গয়ারাম নস্কর বলেন, "একজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে । শিশুটি ময়নাগুড়ির পানবাড়ির বাসিন্দা ।" হয়তো রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ভুল করেছেন বলে দাবি তাঁর । কিন্তু, সদর হাসপাতালের সুপারের কথা মতো এক শিশুর মৃত্যু হলে কেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান 24 ঘণ্টায় দুইজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । তাহলে কি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না ।
এ প্রসঙ্গে সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন বলেন, " 24 ঘণ্টায় দুইজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে । একটি শিশু ধুপগুড়ির আর আরেকজন ময়নাগুড়ির । আমাকে হোয়াটস অ্যাপে 24 ঘণ্টার যা তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটাই বলেছি । আমাকে সকাল দশটায় যে রিপোর্ট পাঠানো হয় সেটাই আমি জানি । তাতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে । 125 জন শিশু ভর্তি আছে । 3 জন শিশুকে রেফার করা হয়েছে । " এদিকে জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন, " শিশু মৃত্যুর খবর আমার কাছে নেই ।"