জলপাইগুড়ি, 15 সেপ্টেম্বর : চিতাবাঘের চামড়া বন দপ্তরকে হস্তান্তর করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী অনিমেষ দেব । গতকাল বন দপ্তরকে ডেকে তিনি চিতাবাঘের চামড়া তুলে দেন । এদিকে ওনোরারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন এমনভাবে চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার করে নিয়ে এল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে । বন বিভাগের পদ্ধতি গত ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বন্যপ্রাণী সংগঠনের সদস্যরা ।
অনিমেষ দেব দাবি করেছেন, এই চিতাবাঘের চামড়াটি তাঁর বাবার আমলের ৷ সম্প্রতি তিনি বাড়ি সংস্কার করেছেন ৷ বাড়িতে একটি কাঠের বাক্স ছিল । সেই বাক্স ভেঙে চিতাবাঘের চামড়া পাওয়া যায় ৷ তিনি বলেন, "এই চামড়া প্রায় 60 বছরের পুরোনো ৷ আমার বাবা আদিত্যচন্দ্র দেব ডুয়ার্সে কাঠের ব্যবসা করতেন৷ সেই সময় তিনি চিতা বাঘটি মেরেছিলেন বলে শুনেছি ৷ তারপর থেকে বাড়ির পুরোনো কাঠের বাক্সতে রাখা ছিল ৷ চামড়াটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ছিল । চিতা বাঘের চামড়াটি বন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে পেরে আমার পরিবার খুশি ।"
এদিকে এই চামড়াটি পুরনো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? প্রশ্ন তুলেছেন স্পোর নামক বন্যপ্রাণী সংগঠনের সদস্য শ্যামাপ্রসাদ পাণ্ডে । তিনি বলেন, " যদি বাড়িতে চিতাবাঘের চামড়া থাকে তাহলে বন দপ্তরকে লিখিত জানাতে হয় । এরপর বন দপ্তর তদন্ত করবে সেটা কত পুরোনো । তারপর বন দপ্তর তা নেবে । "
বনদপ্তরের অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরি বলেন, "চিতাবাঘের চামড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে । আমি বনদপ্তরের আধিকারিকের কাছে এটা তুলে দেব। সবাইকে বলব আপনাদের বাড়িতে কোনও বন্যপ্রাণীর দেহাংশ থাকলে তা আমাদের হাতে তুলে দিন ৷ আমরা সহযোগিতা করব।
এদিকে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, "এই চিতাবাঘের চামড়া আগেই জমা দেওয়া উচিত ছিল ৷ একটা সময় ছিল যখন ডিক্লেয়ার করলেই হত যে, "আমার কাছে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ আছে" । আমরা সেটা জমা নিয়ে নিতাম । কিন্তু সেই সময়টা চলে গেছে। এখন এভাবে নেওয়া যায় না ৷ তবে আজ কী হয়েছে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। অফিসায়লি আর ডিক্লেয়ারেশনের স্কোপ নেই ।"