ETV Bharat / state

বাড়িতে থাকা চিতাবাঘের চামড়া বন দপ্তরকে দিয়ে বিতর্কে ব্যবসায়ী - leopard skin

বন দপ্তরকে ডেকে বাড়িতে থাকা চিতাবাঘের চামড়া তুলে দেন জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী অনিমেষ দেব । এরপরই বন বিভাগের পদ্ধতি গত ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বন্যপ্রাণী সংগঠনের সদস্যরা ।

চিতাবাঘের চামড়া
author img

By

Published : Sep 15, 2019, 2:10 AM IST

Updated : Sep 15, 2019, 10:03 AM IST

জলপাইগুড়ি, 15 সেপ্টেম্বর : চিতাবাঘের চামড়া বন দপ্তরকে হস্তান্তর করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী অনিমেষ দেব । গতকাল বন দপ্তরকে ডেকে তিনি চিতাবাঘের চামড়া তুলে দেন । এদিকে ওনোরারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন এমনভাবে চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার করে নিয়ে এল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে । বন বিভাগের পদ্ধতি গত ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বন্যপ্রাণী সংগঠনের সদস্যরা ।

অনিমেষ দেব দাবি করেছেন, এই চিতাবাঘের চামড়াটি তাঁর বাবার আমলের ৷ সম্প্রতি তিনি বাড়ি সংস্কার করেছেন ৷ বাড়িতে একটি কাঠের বাক্স ছিল । সেই বাক্স ভেঙে চিতাবাঘের চামড়া পাওয়া যায় ৷ তিনি বলেন, "এই চামড়া প্রায় 60 বছরের পুরোনো ৷ আমার বাবা আদিত্যচন্দ্র দেব ডুয়ার্সে কাঠের ব্যবসা করতেন৷ সেই সময় তিনি চিতা বাঘটি মেরেছিলেন বলে শুনেছি ৷ তারপর থেকে বাড়ির পুরোনো কাঠের বাক্সতে রাখা ছিল ৷ চামড়াটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ছিল । চিতা বাঘের চামড়াটি বন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে পেরে আমার পরিবার খুশি ।"

এদিকে এই চামড়াটি পুরনো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? প্রশ্ন তুলেছেন স্পোর নামক বন্যপ্রাণী সংগঠনের সদস্য শ্যামাপ্রসাদ পাণ্ডে । তিনি বলেন, " যদি বাড়িতে চিতাবাঘের চামড়া থাকে তাহলে বন দপ্তরকে লিখিত জানাতে হয় । এরপর বন দপ্তর তদন্ত করবে সেটা কত পুরোনো । তারপর বন দপ্তর তা নেবে । "

বনদপ্তরের অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরি বলেন, "চিতাবাঘের চামড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে । আমি বনদপ্তরের আধিকারিকের কাছে এটা তুলে দেব। সবাইকে বলব আপনাদের বাড়িতে কোনও বন্যপ্রাণীর দেহাংশ থাকলে তা আমাদের হাতে তুলে দিন ৷ আমরা সহযোগিতা করব।

এদিকে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, "এই চিতাবাঘের চামড়া আগেই জমা দেওয়া উচিত ছিল ৷ একটা সময় ছিল যখন ডিক্লেয়ার করলেই হত যে, "আমার কাছে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ আছে" । আমরা সেটা জমা নিয়ে নিতাম । কিন্তু সেই সময়টা চলে গেছে। এখন এভাবে নেওয়া যায় না ৷ তবে আজ কী হয়েছে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। অফিসায়লি আর ডিক্লেয়ারেশনের স্কোপ নেই ।"

জলপাইগুড়ি, 15 সেপ্টেম্বর : চিতাবাঘের চামড়া বন দপ্তরকে হস্তান্তর করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী অনিমেষ দেব । গতকাল বন দপ্তরকে ডেকে তিনি চিতাবাঘের চামড়া তুলে দেন । এদিকে ওনোরারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন এমনভাবে চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার করে নিয়ে এল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে । বন বিভাগের পদ্ধতি গত ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বন্যপ্রাণী সংগঠনের সদস্যরা ।

অনিমেষ দেব দাবি করেছেন, এই চিতাবাঘের চামড়াটি তাঁর বাবার আমলের ৷ সম্প্রতি তিনি বাড়ি সংস্কার করেছেন ৷ বাড়িতে একটি কাঠের বাক্স ছিল । সেই বাক্স ভেঙে চিতাবাঘের চামড়া পাওয়া যায় ৷ তিনি বলেন, "এই চামড়া প্রায় 60 বছরের পুরোনো ৷ আমার বাবা আদিত্যচন্দ্র দেব ডুয়ার্সে কাঠের ব্যবসা করতেন৷ সেই সময় তিনি চিতা বাঘটি মেরেছিলেন বলে শুনেছি ৷ তারপর থেকে বাড়ির পুরোনো কাঠের বাক্সতে রাখা ছিল ৷ চামড়াটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ছিল । চিতা বাঘের চামড়াটি বন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে পেরে আমার পরিবার খুশি ।"

এদিকে এই চামড়াটি পুরনো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? প্রশ্ন তুলেছেন স্পোর নামক বন্যপ্রাণী সংগঠনের সদস্য শ্যামাপ্রসাদ পাণ্ডে । তিনি বলেন, " যদি বাড়িতে চিতাবাঘের চামড়া থাকে তাহলে বন দপ্তরকে লিখিত জানাতে হয় । এরপর বন দপ্তর তদন্ত করবে সেটা কত পুরোনো । তারপর বন দপ্তর তা নেবে । "

বনদপ্তরের অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরি বলেন, "চিতাবাঘের চামড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে । আমি বনদপ্তরের আধিকারিকের কাছে এটা তুলে দেব। সবাইকে বলব আপনাদের বাড়িতে কোনও বন্যপ্রাণীর দেহাংশ থাকলে তা আমাদের হাতে তুলে দিন ৷ আমরা সহযোগিতা করব।

এদিকে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, "এই চিতাবাঘের চামড়া আগেই জমা দেওয়া উচিত ছিল ৷ একটা সময় ছিল যখন ডিক্লেয়ার করলেই হত যে, "আমার কাছে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ আছে" । আমরা সেটা জমা নিয়ে নিতাম । কিন্তু সেই সময়টা চলে গেছে। এখন এভাবে নেওয়া যায় না ৷ তবে আজ কী হয়েছে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। অফিসায়লি আর ডিক্লেয়ারেশনের স্কোপ নেই ।"

Intro:জলপাইগুড়ি ঃ- বাড়িতে থাকা চিতাবাঘের চামড়া বন দপ্তরকে ডেকে হস্তান্তর করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন জলপাইগুড়ির এক ব্যবসায়ী।বন দপ্তরের মুখ্য বনপাল জানালেন এই ভাবে চিতাবাঘের চামড়া দেওয়া যায় না।

ব্যবসায়ী অনিমেষ দেব বাবার আমলের চিতাবাঘটিকে মারা হয়েছিল।তখন থেকেই চিতাবাঘের চামড়াটি বাড়িতে ছিল।আজ বন দপ্তর ও ওনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনকে ডেকে তিনি চামড়া বন দপ্তরের হাতে তুলে দেন। এদিকে ওনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন কি করে এমন ভাবে চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার করে নিয়ে এলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।বন বিভাগের পদ্ধতি গত ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বন্যপ্রাণী প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা।অন্যদিকে চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধারের বিষয়টি বন্যপ্রাণী বিভাগের উর্দ্ধতন কেউ জানতেনই না বলে অভিযোগ । Body:এদিন জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী অনিমেষ দেব দাবি করেছেন এই চিতাবাঘের চামড়াটি তার বাবার আমলের তার জন্মের আগের।তিনি ছোট বেলায় মাকে শুকওতে দিতে দেখেছেন । কিন্তু সম্প্রতি তিনি বাড়ি বানিয়েছেন। বাড়িতে অউরনো কাঠের বাক্স ছিল।সেই বাক্স ভাঙা হয়।আর তাতেই দেখা যায় চিতাবাঘের চামড়া।আর তা দেখেই নাকি কার্যত ঘুম উবে গিয়েছিল দেব পরিবারের।কি করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না।বন দপ্তরকে খবর দিলে যদি তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় সেই ভয়টাই বেশি হচ্ছিল।কিন্তু অভয় দেন বাড়ির গৃহবধূ। অবশেষে আজ ওনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরীকে ডেকে চিতাবাঘের চামড়া বনদফতরের হাতে তুলে দিলেন জলপাইগুড়ি শহরের তেলি পাড়ার ট্রেম্পল স্ট্রিটের বাসিন্দা অনিমেষ দেব।

কিন্তু এই চামড়াটি আদৌও পুরনো নাকি তার কোন তদন্ত হয়েছে কিনা।তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্পোর নামক বন্যপ্রাণী প্রেমী সংগঠনের সদস্য শ্যামা প্রসাদ পান্ডে। তিনি বলেন যদি তার বাড়িতে চিতাবাঘের চামড়া থাকে তাহলে বন দপ্তরকে লিখিত জানাতে হবে।এরপর বন দপ্তর তদন্ত করবে সেটা কত পুরনো।তারপর বন দপ্তর তা নেবে।কিন্তু আজ যা হল তা নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।অনিমেষ বাবু বন দপ্তরকে জানিয়েছেন জিনা জানা নেই।তবে অনিমেষ দেব ও সীমা চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান শ্যামা প্রসাদ পান্ডে। তিনি বলেন সরকারি নিয়ম মেনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলেই কোন জটিলতা থাকবে না।

অনিমেষ দেব জানান তার জন্মের আগে প্রায় ৬০ বছর আগের এই চিতাবাঘের চামড়া। জলপাইগুড়ির অনিমেশ বাবুর বাবা মৃত আদিত্য চন্দ্র দেব চিতা বাঘটি মেরেছিলেন বলে অনুমান দেব পরিবারের। তারপর থেকে বাড়ির পুরান বাক্সতে মজুত করে রেখেছিলেন। এদিন পুজোর জন্য বাড়ি পরিস্কার করতে গিয়ে পুরোন বাক্স থেকে বের হয়ে আসে চিতা বাঘের চামড়াটি। সেটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ছিল।

অনিমেশ দেব বলেন, ৬০ বছর আগে বাবা ডুয়ার্সে কাঠের ব্যবসা করতে গিয়ে হয়ত চিতাবাঘটি মারে। চিতা বাঘের চামড়াটি তুলে দিতে পেরে আমার পরিবার খুশি। উত্তরবঙ্গে অনেক বাড়িতেই এমন চিতাবাঘের চামড়া আছে। আমিও চাই সবাই বনবিভাগের হাতে এসব তুলে দিক। এখন তো এসব বাড়িতে রাখা বে আইনি।Conclusion:এদিকে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ জানান,এমন ঘটনা শুনেই অবাক।তিনি বলেন এই চিতাবাঘের চামড়া আগেই জমা দেওয়া উচিৎ ছিল।উনি কেন জমা দেন নি বলে প্রশ্ন তোলেন উজ্জ্বল ঘোষ একটা সময় ছিল আগেই ডিক্লেয়ার করে দেওয়া উচিৎ ছিল।আমার কাছে এইটা আছে। আমরা সেটা জমা নিয়ে নিতাম।কিন্তু সেই টাইমটা চলে গেছে। আজ কি হয়েছে ঘটনাটি আমার জানা নেই।আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।অফিসায়লি আর ডিক্লেয়ারেশন আর স্কোপ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন উজ্জ্বল ঘোষ।

এদিকে বনদফতরের অনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, চিতাবাঘের চামড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে।আমি বন দপ্তরের আধিকারিকের কাছে এটা তুলে দেব। আমি সবাইকে বলব আপনাদের বাড়িতে কোন বন্যপ্রাণীর দেহাংশ থাকলে আপনারা আমাদের হাতে তুলে দিন আমরা সহযোগিতা করব।




Last Updated : Sep 15, 2019, 10:03 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.