জলপাইগুড়ি, 14 সেপ্টেম্বর : টেলিফোনের দফতর কিন্তু ফোন করতে গেলে পারবেন না । এসি চালালে বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে, তাই এসি বন্ধ রাখা হয়েছে । জল সরবারহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এমনই বেহাল অবস্থা বিএসএনএলের (BSNL) কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট । সারা মাসে এই কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার বা সিএসসিতে যত টাকার বিল জমা পড়ে সেই টাকা দিয়ে কর্মীদের বেতনও ওঠে না বলে অভিযোগ । কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন টেলিকমিউনিকেশন সংস্থাটির কর্মীরা ৷ এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদেরও ৷
জলপাইগুড়ি পোস্ট অফিস চত্বরে অবস্থিত বিএসএনএলের টেলিগ্রাম অফিস, বর্তমানে যা কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার হিসাবে চালানো হচ্ছে ৷ গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এখান থেকে কোনও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না ৷ গ্রাহকরা টেলিফোন বিল দিতে এসে খাবার জল চাইলেও পান না ৷ বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ কর্মী বা গ্রাহকদের পানীয় জল সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ । যদিও এমনটা হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন বিএসএনএলের জলপাইগুড়ির টেলিকম ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার বিমলেন্দু ভৌমিক ।
জলপাইগুড়ি জেলা শহরের বড় পোস্ট অফিস চত্বরে অবস্থিত বিএসএনএলের টেলিকমের সাব-ডিভিশনাল অফিস ৷ তার পাশেই অবস্থিত এই কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার । প্রতিদিন এই দফতরে অনেক মানুষ আসেন । কিন্তু তাঁদের ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ । আগে এসি চালানো হত, তা এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল, তা এখন নেই । পিসিও বুথে টেলিফোন রাখা থাকলেও তার ওপর ধুলো পড়ে, খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে । কেউ বিএসএনএল অফিসে এসে ফোন করার দরকার পড়লে সেটাও করতে পারবেন না ৷
সংস্থার কর্মী সুব্রত ঘোষ, বরুণ রায় বলেন, "বেহাল অবস্থা আমাদের এই কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের । জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ আমরা চাঁদা তুলে নিজেরা জল কিনে খাই । আগে প্রতিমাসে গড়ে 22 লক্ষ টাকা কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে জমা পড়ত টেলিফোনের বিল বাবদ ৷ কিন্তু এখন মাসে গড়ে চার লক্ষ টাকা বিল জমা পড়ে । আমাদের শৌচাগারের অবস্থাও বেহাল ৷ গাছ ভেঙে পড়ে একটি শৌচাগার বন্ধ হয়ে রয়েছে । আমরা এসি চালাই না যাতে বিল কম ওঠে । এখানে ইনভার্টার নেই । বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই ।"
সমস্যা কথা শুনে সংস্থার জলপাইগুড়ি জেলার ম্যানেজার বিমলেন্দু ভৌমিক বলেন, "আমার জানা ছিল না ওই সিএসসিতে জল সরবরাহ করা হচ্ছে না । অবস্থা বেহাল হওয়ার কথা নয় ৷"
আরও পড়ুন : MTNL-এর সঙ্গে মিলিয়ে ধুঁকতে থাকা BSNL-কে বাঁচানোর চেষ্টা কেন্দ্রের