জলপাইগুড়ি, 29 ডিসেম্বর: খেঁজুর গাছ থাকলেও খেঁঁজুরের রস থেকে গুড় বানানোর লোক ছিল না ৷ অথচ শীতকাল মানেই পিঠে, পায়েস ৷ খেঁজুরের গুড় ছাড়া শীতকালে পিঠে, পায়েস, পুলির কথা চিন্তাই করা যায় না ! এই সমস্যার সমাধান করলেন বাংলাদেশের আবদুর রহিম ৷ সুদূর বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে গাছ থেকে খেঁজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় বানাচ্ছেন কাকা ও ভাইপো(comes to India in every winter to prepare and sale Date jaggery ) ।
শীত পড়তেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের দুধিয়া গ্রামে আসেন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগথানার আবদুর রহিম (jalpaiguri news )। করোনারকালে 2 বছর ভারতে আসতে পারেননি ৷ তাই গ্রামে গুড়ের জোগান পায়নি । শিলিগুড়ি থেকে গুড় কিনে আনতে হয়েছে জলাপাইগুড়ির বাসিন্দাদের । তাই এই বছর শীত পড়তেই রীতিমতো ভিসা পাসপোর্ট বানিয়ে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুধিয়া গ্রামে চলে আসেন দু‘জনে । গাছ কেটে, খেজুর সর সংগ্রহ করে সেই রস জাল দিয়ে সুস্বাদু গুড় বানান তারা । সেই গুড় চলে যায় জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে ।
আরও পড়ুন: শীতের দেখা নেই, খেজুরের রসে ভাঁটা পড়ায় সমস্যায় শিউলিরা
মহঃ রহিম জানান, প্রতিদিন গড়ে 100টা খেঁজুর গাছ কেটে গড়ে 150 লিটার রস সংগ্রহ হয় । তারপর তা জাল করে তৈরি হয় প্রায় 70 কেজি গুড় ।দুপুরের পর গুড়ের গন্ধে মম করে গোটা গ্রাম । এই সব দেখতে এবং কিনতে ভিড় জমান আশপাশের মানুষ জন । আসেন গুড় ব্যবসায়ীরাও । আবার নিজেরাও গুড় নিয়ে পৌঁছে দেন দোকানে দোকানে ।
আরও পড়ুন: জয়নগরে শুরু হল মোয়া উৎসব
মহম্মদ রহিমের কথায়, বাংলাদেশে প্রচুর খেঁজুর গাছ থাকলেও গাছ কেটে হাঁড়ি নামিয়ে গুড় তৈরির লোকের অভাবও নেই সেখানে । তাছাড়া যার যার গাছ সেই মালিকই কাটেন । তাই সেখানে সুযোগ না পেয়ে চলে ভারতে আসেছেন মহম্মদ রহিম ওরফে আবদুর রহিম । এখানে তাঁরা নিজের মত করে কাজ করেন বিগত চার বছর ধরে এভাবেই চলছে । অক্টোবর মাসেই পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে নভেম্বরের শুরুতেই চলে আসেন দুধিয়া গ্রামে । গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে শুরু করে খেজুর সংগ্রহের কাজ । তাঁর তৈরি গুড়ের চাহিদা থাকলেও, এই বছর শীত না পরায় খেজুর রসের যোগান কম । তাই কয় মাস খেটে এই বছর পরিশ্রমের টাকা টুকু ঘরে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা সেই চিন্তায় আছেন আবদুর রহিম ৷