ETV Bharat / state

জলপাইগুড়িতে হাসপাতালের বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, সমস্যায় রোগীরা - Bio Medical Waste

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হওয়ার পরে জেলা হাসপাতালে থেকে মেডিসিন বিভাগ, সার্জিক্যাল বিভাগ, অর্থোপেডিক বিভাগ, চর্ম বিভাগ সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । 500 বেডের এই হাসপাতালে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পাশের জেলার কয়েকটি জায়গা থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন ৷

জলপাইগুড়িতে হাসপাতালের বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, সমস্যায় রোগীরা
জলপাইগুড়িতে হাসপাতালের বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, সমস্যায় রোগীরা
author img

By

Published : May 8, 2021, 8:16 PM IST

জলপাইগুড়ি, 8 মে : বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য-সহ প্ল্যাস্টিকের ব্যাগের গন্ধে বিপাকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসা রোগীরা । তার কোনওটি থেকে বেরিয়ে আসছে পচা গন্ধ যুক্ত নোংরা জল । ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রক্ত মাখা-গজ সহ অন্যান্য সামগ্রী । এর সামান্য দূরেই লম্বা লাইনে নাকে রুমাল দিয়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ । যাঁরা করোনা পরীক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে ।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একধিক পদক্ষেপের পাশাপাশি যেখানে সরকারি পক্ষ থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে গত কয়েকদিন থেকে এমনই চিত্র নজরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গেল করোনা পরীক্ষা করাতে আসা একাধিক ব্যাক্তিকে । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া আছে । তারাই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে না ।

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হওয়ার পরে জেলা হাসপাতালে থেকে মেডিসিন বিভাগ, সার্জিক্যাল বিভাগ, অর্থোপেডিক বিভাগ, চর্ম বিভাগ সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । 500 বেডের এই হাসপাতালে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পাশের জেলার কয়েকটি জায়গা থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন ৷ এছাড়াও দৈনিক 5 থেকে 7 টি অস্ত্রোপচার করা হয় এই হাসপাতালে । স্বাভাবিক ভাবেই বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যে পরিমাণ যেমন বেশী হয়, অন্যদিকে রোগীদের উচ্ছিষ্ট খাবার-সহ অন্যান্য বর্জ্যও বেশী পরিমাণে বেরিয়ে থাকে ।

জলপাইগুড়িতে হাসপাতালের বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, সমস্যায় রোগীরা

হাসপাতালে সুত্রে খবর, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যগুলি লাল এবং হলুদ প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়ে থাকে । এছাড়া অন্যান্য বর্জ্য রাখা হয় কালো প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে । এই বর্জ্যগুলি রাখার জন্য হাসপাতালে পাশে একটি ঘর তৈরি করা হলেও প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি বাইরে ফেলে রাখা হচ্ছে । যেখান থেকে পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে । এর কিছু দূরেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে করোনার আরটিপিসিআর এবং র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র । যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ।

সেখানে এক আত্মীয়কে নিয়ে কোভিড টেস্ট করাতে এসেছিলেন অজয় শর্মা । কিন্তু এসে যা চিত্র দেখলেন, তাতে হাসপালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি । অন্য এক রোগীর আত্মীয় সুজিত দাস বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি খারাপ । তার ওপরে যেখানে কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার পাশেই হাসপাতালের সমস্ত আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে । কেন এখানে এই ভাবে রাখা হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তর দেওয়া হয় না ।’’

অন্যদিকে স্বামীকে নিয়ে কোভিড পরীক্ষা করাতে এসেছেন প্রতিমা মালাকার । তিনি জানান, হাসপাতালের নোংরার গন্ধে লাইনে পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না । একটা নারকীয় পরিস্থিতি । স্বাস্থ্য বিভাগ যখন বলছে করোনা আবহে পরিষ্কার থাকতে, তখন হাসপাতালের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন : মানা হচ্ছে না আংশিক লকডাউন, নির্দিষ্ট সময় পর দোকান খোলা রায়গঞ্জে

এদিকে এই বিষয়ে জেলা হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘ওই সংস্থার প্রতিদিন বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা । কিন্তু তারা সেটা করে না । যার ফলে এই পরিস্থিতি । হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ।’’

জলপাইগুড়ি, 8 মে : বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য-সহ প্ল্যাস্টিকের ব্যাগের গন্ধে বিপাকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসা রোগীরা । তার কোনওটি থেকে বেরিয়ে আসছে পচা গন্ধ যুক্ত নোংরা জল । ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রক্ত মাখা-গজ সহ অন্যান্য সামগ্রী । এর সামান্য দূরেই লম্বা লাইনে নাকে রুমাল দিয়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ । যাঁরা করোনা পরীক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে ।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একধিক পদক্ষেপের পাশাপাশি যেখানে সরকারি পক্ষ থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে গত কয়েকদিন থেকে এমনই চিত্র নজরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গেল করোনা পরীক্ষা করাতে আসা একাধিক ব্যাক্তিকে । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া আছে । তারাই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে না ।

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হওয়ার পরে জেলা হাসপাতালে থেকে মেডিসিন বিভাগ, সার্জিক্যাল বিভাগ, অর্থোপেডিক বিভাগ, চর্ম বিভাগ সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । 500 বেডের এই হাসপাতালে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পাশের জেলার কয়েকটি জায়গা থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন ৷ এছাড়াও দৈনিক 5 থেকে 7 টি অস্ত্রোপচার করা হয় এই হাসপাতালে । স্বাভাবিক ভাবেই বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যে পরিমাণ যেমন বেশী হয়, অন্যদিকে রোগীদের উচ্ছিষ্ট খাবার-সহ অন্যান্য বর্জ্যও বেশী পরিমাণে বেরিয়ে থাকে ।

জলপাইগুড়িতে হাসপাতালের বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, সমস্যায় রোগীরা

হাসপাতালে সুত্রে খবর, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যগুলি লাল এবং হলুদ প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়ে থাকে । এছাড়া অন্যান্য বর্জ্য রাখা হয় কালো প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে । এই বর্জ্যগুলি রাখার জন্য হাসপাতালে পাশে একটি ঘর তৈরি করা হলেও প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি বাইরে ফেলে রাখা হচ্ছে । যেখান থেকে পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে । এর কিছু দূরেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে করোনার আরটিপিসিআর এবং র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র । যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ।

সেখানে এক আত্মীয়কে নিয়ে কোভিড টেস্ট করাতে এসেছিলেন অজয় শর্মা । কিন্তু এসে যা চিত্র দেখলেন, তাতে হাসপালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি । অন্য এক রোগীর আত্মীয় সুজিত দাস বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি খারাপ । তার ওপরে যেখানে কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার পাশেই হাসপাতালের সমস্ত আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে । কেন এখানে এই ভাবে রাখা হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তর দেওয়া হয় না ।’’

অন্যদিকে স্বামীকে নিয়ে কোভিড পরীক্ষা করাতে এসেছেন প্রতিমা মালাকার । তিনি জানান, হাসপাতালের নোংরার গন্ধে লাইনে পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না । একটা নারকীয় পরিস্থিতি । স্বাস্থ্য বিভাগ যখন বলছে করোনা আবহে পরিষ্কার থাকতে, তখন হাসপাতালের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন : মানা হচ্ছে না আংশিক লকডাউন, নির্দিষ্ট সময় পর দোকান খোলা রায়গঞ্জে

এদিকে এই বিষয়ে জেলা হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘ওই সংস্থার প্রতিদিন বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা । কিন্তু তারা সেটা করে না । যার ফলে এই পরিস্থিতি । হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ।’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.