জলপাইগুড়ি, 26 সেপ্টেম্বর: 26 লক্ষ টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে দুই কিলোমিটার রাস্তা । 7 দিনের মধ্যেই পিচের চাদর উঠেতে শুরু করেছে । নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে । নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা । ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা । নিম্নমানের কাজের ক্ষেত্রে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি (Allegation of Poor quality work of road against TMC contractor) ।
জেলাপরিষদের ইঞ্জিনিয়ারও স্বীকার করে নিয়েছেন যে নিম্নমানের কাজ হয়েছে । কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ইঞ্জিনিয়ারদের নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে এত নিম্নমানের কাজ হল। দুই কিলোমিটার রাস্তার জন্য 26 লক্ষ টাকা খরচ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ।
জানা গিয়েছে, 5 কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা থাকলেও করা হয়েছে মাত্র 2 কিলোমিটার । শুধু তাই নয়, ওই দুই কিলোমিটার রাস্তার মান অত্যন্ত নিম্নমানের ৷ রাস্তা তৈরি করার কয়েক দিনের মধ্যে রাস্তার পিচ উঠে পাথর দেখা যাচ্ছে । ফলে সরকারি এই কাজের মান নিয়ে সরব হল জালপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন গণ্ডার মোর এলাকার বাসিন্দারা ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মে মাস থেকে শুরু করে চলতি মাসের 25 তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল । কিন্তু 2 কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করার পরেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় । স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, "এই রাস্তা খড়িয়া এবং মণ্ডলঘাট দুটি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে । সেই দিক থেকে প্রচুর মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন । অথচ দেড় দশকের বেশি সময় থেকে রাস্তার অবস্থা বেহাল । এই পরিস্থিতিতে বহুবার বলার পরে জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদ রাস্তাটি তৈরি করার জন্য টেন্ডার করে । কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডারে যেভাবে রাস্তার কাজ করা কথা ছিল, সেটা করা হয়নি । আবার তিন মিটার রাস্তা চওড়া করার কথা থাকলেও তার থেকে কম চওড়া করা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: কাটমানি না দেওয়ায় পাথর ব্যবসায়ীকে হুমকির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
এদিকে জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন স্বীকার করে নেন নিম্নমানের কাজ হয়েছে । তিনি বলেন, "আড়াইশো মিটার রাস্তা ভালো হয়নি । কাজের তদারকি করতে ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানো হয়েছে । সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভালোভাবে কাজ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । আমরা যাকে কাজ দিয়েছি তিনি যদি ঠিক মত কাজ না করে তাহলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করব ।" কাজের ঠিকাদার সন্দীপ সান্যালের (পার্থ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে এড়িয়ে যান ।