জলপাইগুড়ি, 10 মে: জলপাইগুড়িতে প্রৌঢ় দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় সুইসাইড নোটে যাদের নাম ছিল, সকলেই পলাতক ছিলেন এতদিন ৷ তাদের মধ্যে বুধবার পলাতক অভিযুক্ত যুব তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে পলাতক ছিল জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন ব্লক সভাপতি তথা পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ। গত 1 এপ্রিল জলপাইগুড়ি পাণ্ডাপাড়ার দম্পতি সুবোধ ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্যের ওপর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁদের বাড়ি থেকে চার পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়।
জোড়া আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়ানো 14 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ বুধবার কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করে। প্রায় এক মাস 9 দিন পর এদিন আত্মসমর্পণ করে ওই তৃণমূল নেতা ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও দুই। সার্কিট বেঞ্চের তরফে আপাতত সৈকতকে গ্রেফতার করা যাবে না-বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও পলাতক আরও বাকি দুই অভিযুক্ত।
গত 1 এপ্রিল জলপাইগুড়ি পাণ্ডাপাড়ায় দম্পতির অস্বভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। মারা যান প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। সেখানে সৈকত চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে। তাদের চাপেই অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয় সুইসাইড নোটে। অন্যদিকে, মৃত আইনজীবী তথা সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় থানায় চার জনের নামেই অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: স্বামী, স্ত্রী'র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে
অভিযুক্তরা পলাতক ছিল এতদিন। বুধবার অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। সন্দীপকে গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। আত্মসমর্পণ করার আগে সন্দীপ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, বিজেপির চক্রান্ত। আমি নির্দোষ। আমি এই মৃত্যুর জন্য দায়ী নই। আইনের প্রতি ভরসা আছে। এদিকে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন, "সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওবার অভিযোগ ছিল। তাকে আদালতে তুলে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে।"