ETV Bharat / state

বিপাকে উত্তরবঙ্গের 30-40 হাজার নাপিত, খাদ্য ও আর্থিক প্যাকেজের দাবি

রেড জো়ন হোক বা গ্রিন জো়ন এখনও পর্যন্ত নাপিতদের মেলেনি দোকান খোলার কোনও অনুমতি । কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেলুন থেকে কোরোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে । তাই সেলুন কর্মীদের কাজ একদমই বন্ধ রয়েছে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 13, 2020, 4:27 PM IST

Updated : May 14, 2020, 7:15 PM IST

জলপাইগুড়ি, 13 মে : লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের প্রায় 30-40 হাজার নাপিত । সরকারের কাছে খাদ্য ও আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা । আর দাবি আদায় না হলে ক্ষুর, কাঁচি নিয়ে ধর্নায় বসার হুমকিও শোনা গেল তাঁদের গলায় ।

রেড জো়ন হোক বা গ্রিন জো়ন এখনও পর্যন্ত নাপিতদের মেলেনি দোকান খোলার কোনও অনুমতি । কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেলুন থেকে কোরোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে । তাই সেলুন কর্মীদের কাজ একদমই বন্ধ রয়েছে । যার জেরে রোজগারে টান পড়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাপিতদের । এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গ ক্ষৌরকার শীলসমন্বয় সমিতি রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছে ।

সমিতির পক্ষ থেকে গৌরাঙ্গ শর্মা বলেন, " আনুমানিক আলিপুরদুয়ারে 6 হাজার, কোচবিহারের 9 হাজার, জলপাইগুড়িতে 9 হাজার , দার্জিলিঙের 6 হাজার, কালিম্পঙের 2 হাজার, উত্তর দিনাজপুরের 4 হাজার 500, দক্ষিণ দিনাজপুরে 5 হাজার 500 এবং মালদায় প্রায় 6000 নাপিত আছেন । সংখ্যাটা বেশিও হতে পারে । আনুমানিক একটা তথ্যের হিসাব আমরা করেছি । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের সমস্যা নিয়ে চিঠি দিয়েছি । কারণ আমাদের রোজগার বন্ধ । অনেকেই অনাহারে আছেন । অর্থাভাবের জন্য কেউ কেউ পেশা বদল করতে বাধ্যও হচ্ছেন । আমরা মাসিক 10 হাজার টাকার আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছি । খাদ্য সুরক্ষা নিরাপত্তা ও বিমার আওতায় আনার দাবি করছি । "

বিপাকে 30-40 হাজার ক্ষৌরকর্মী

অন্যদিকে, সেলুনকর্মী হরেকৃষ্ণ শর্মা বলেন, " কেন্দ্র বা রাজ্য নিষিদ্ধ করেছে তাই খুলতে পারছি না সেলুন । যে কারণে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি । যদি এমন ভাবে লকডাউন বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের মধ্যে অনেকেই অন্য পেশায় চলে যাবেন । সরকার যদি আমাদের কোনও অনুদান না দেয় তাহলে আমরাও কাজ বয়কট করতে বাধ্য হব । এই পেশার সঙ্গে আমরা যতজন যুক্ত আছি তাঁরা সকলে ক্ষুর , কাঁচি জমা দিয়ে আধিকারিকের দপ্তরে ধর্না দেব ।" আর এক কর্মী নিত্যানন্দ শীল বলেন, " এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন না খেয়ে মরছেন । তাঁরা আমাদের সমিতির কাছে আসছে সাহায্যের জন্য । আমাদেরও তো হাত-পা বাঁধা । আমরা প্রশাসনিক সবার কাছে যাচ্ছি । যাতে আমাদের অর্থ ও খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হয় । আমাদের দাবি যদি সরকার না মানে তাহলে আর কিছু করার থাকবে না । ধর্নায় বসব। আমরা কোনও সামাজিক কাজ যেমন শ্রাদ্ধ, বিয়ে সহ যে কোনও অনুষ্ঠান বয়কট করতে বাধ্য হব । "

জলপাইগুড়ি, 13 মে : লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের প্রায় 30-40 হাজার নাপিত । সরকারের কাছে খাদ্য ও আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা । আর দাবি আদায় না হলে ক্ষুর, কাঁচি নিয়ে ধর্নায় বসার হুমকিও শোনা গেল তাঁদের গলায় ।

রেড জো়ন হোক বা গ্রিন জো়ন এখনও পর্যন্ত নাপিতদের মেলেনি দোকান খোলার কোনও অনুমতি । কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেলুন থেকে কোরোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে । তাই সেলুন কর্মীদের কাজ একদমই বন্ধ রয়েছে । যার জেরে রোজগারে টান পড়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাপিতদের । এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গ ক্ষৌরকার শীলসমন্বয় সমিতি রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছে ।

সমিতির পক্ষ থেকে গৌরাঙ্গ শর্মা বলেন, " আনুমানিক আলিপুরদুয়ারে 6 হাজার, কোচবিহারের 9 হাজার, জলপাইগুড়িতে 9 হাজার , দার্জিলিঙের 6 হাজার, কালিম্পঙের 2 হাজার, উত্তর দিনাজপুরের 4 হাজার 500, দক্ষিণ দিনাজপুরে 5 হাজার 500 এবং মালদায় প্রায় 6000 নাপিত আছেন । সংখ্যাটা বেশিও হতে পারে । আনুমানিক একটা তথ্যের হিসাব আমরা করেছি । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের সমস্যা নিয়ে চিঠি দিয়েছি । কারণ আমাদের রোজগার বন্ধ । অনেকেই অনাহারে আছেন । অর্থাভাবের জন্য কেউ কেউ পেশা বদল করতে বাধ্যও হচ্ছেন । আমরা মাসিক 10 হাজার টাকার আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছি । খাদ্য সুরক্ষা নিরাপত্তা ও বিমার আওতায় আনার দাবি করছি । "

বিপাকে 30-40 হাজার ক্ষৌরকর্মী

অন্যদিকে, সেলুনকর্মী হরেকৃষ্ণ শর্মা বলেন, " কেন্দ্র বা রাজ্য নিষিদ্ধ করেছে তাই খুলতে পারছি না সেলুন । যে কারণে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি । যদি এমন ভাবে লকডাউন বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের মধ্যে অনেকেই অন্য পেশায় চলে যাবেন । সরকার যদি আমাদের কোনও অনুদান না দেয় তাহলে আমরাও কাজ বয়কট করতে বাধ্য হব । এই পেশার সঙ্গে আমরা যতজন যুক্ত আছি তাঁরা সকলে ক্ষুর , কাঁচি জমা দিয়ে আধিকারিকের দপ্তরে ধর্না দেব ।" আর এক কর্মী নিত্যানন্দ শীল বলেন, " এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন না খেয়ে মরছেন । তাঁরা আমাদের সমিতির কাছে আসছে সাহায্যের জন্য । আমাদেরও তো হাত-পা বাঁধা । আমরা প্রশাসনিক সবার কাছে যাচ্ছি । যাতে আমাদের অর্থ ও খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হয় । আমাদের দাবি যদি সরকার না মানে তাহলে আর কিছু করার থাকবে না । ধর্নায় বসব। আমরা কোনও সামাজিক কাজ যেমন শ্রাদ্ধ, বিয়ে সহ যে কোনও অনুষ্ঠান বয়কট করতে বাধ্য হব । "

Last Updated : May 14, 2020, 7:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.