জলপাইগুড়ি, 15 জুলাই: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাওয়াই । পাইলট কার ছেড়ে দিলেন সৌরভ চক্রবর্তী । জেলার দায়িত্বে চলে এসেছি বলে বড় কেউকেটা হয়ে গিয়েছি । আমার সামনে দুটি পুলিশের গাড়ি, পেছনে দুটো পুলিশের গাড়ি । নিরাপত্তা ছাড়াই ঘুরতে হবে । এসব চলবে না । ধূপগুড়ির সভাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতাদের এমনই দাওয়াই দিয়েছিলেন ৷ পাইলট কার ছেড়ে দিলেন সৌরভ চক্রবর্তী (Sourav Chakraborty Quit Pilot Car) । 12 তারিখ ধূপগুড়ির জনসভাতে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করতে হবে ।
নেতাদের সামনে পেছনে চারটে করে গাড়ি । এসব বন্ধ । যাঁরা বিধানসভায় ভালো ফল করতে পারেননি, তাঁরা রুলিং পার্টির নেতা নয় । তাঁরা বিরোধী দলের নেতার মত কাজ করুন । পুলিশ ছাড়া, নিরাপত্তা ছাড়া ঘুরতে হবে। কয়েকটা মানুষের মুখ দেখে ভোট দিতে চায় না আমাদের । আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা এসব নেতাদের টিকিট দেব না । শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী নিজে আর পুলিশের দেওয়া পাইলট ব্যবহার করছেন না । এদিন জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে আসেন পাইলট কার ছাড়াই ।
আরও পড়ুন : বাংলাভাগ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই পাইলট কার ছেড়ে দিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, কখনও কখনও পুলিশ আমাদের গার্ড করে, তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে । আজ পর্যন্ত আমি কোনও সহযোগিতা চাইনি । পুলিশি নিরাপত্তা আমি নিজে থেকে চাইনি, কোনও চিঠি দিয়েও চাইনি । মৌখিকভাবেও চাইনি । কখনও কখনও পুলিশ দেয় । কীসের ভয় আছে আমাদের । আমরা জলপাইগুড়ির মানুষ । মানুষই আমাদের নিরাপত্তা দেবে । এখন ওসব নিয়ে ভাবছি না । সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করতে চাই ।"
এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, "আমাদের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করতে হবে । আমরা সবাই অতি সাধারণ মানুষ হয়েই মানুষের কাজ করতে চাই তাতে করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ সবাই মেনে চললে আমাদেরই ভালো ।"