দার্জিলিং, 19 অগস্ট: দু’টি পৃথক ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে । একটি ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন খড়িবাড়ি এলাকায়। অন্যটি ঘটেছে শিলিগুড়ি শহরে। আর দু’টি ক্ষেত্রেই নির্যাতিতা নাবালিকা। দুটি ঘটনাতেই নবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রথম ঘটনায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোবাইলে কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ৷ ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খড়িবাড়ি ব্লকের বুড়াগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা মা দু’জনেই দিনমজুরের কাজ করেন । বাড়িতে প্রায় সারাদিন একাই থাকত ওই নাবালিকা ৷ সেই সুযোগে অভিযুক্ত যুবক বাড়িতে ঢুকে মোবাইলে কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নির্যাতন করে বলে পুলিশের অনুমান ৷ বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভয়ে প্রথমে কিছু না জানালেও পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গোটা ঘটনা তাঁর দিদাকে জানায়। এরপরই গভীর রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ।
তদন্তে নেমে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ । শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা পুলিশের ডিএসপি (গ্রামীণ) অচিন্ত্য গুপ্ত বলেন, "ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণ! নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস জিআরপির
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি শহর এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বছর আট চল্লিশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে প্রধান নগর থানার পুলিশ ৷ অভিযোগ, কিছুদিন আগে 11 বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী পরেশ রায় । এমনকী ওই বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে নাবালিকাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি হলে অভিযোগ।
যদিও পরে মা’কে পুরো বিষয়টি জানায় ওই নাবালিকা । এরপরই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে প্রধাননগর থানার পুলিশ । শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকেও তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রধাননগর থানার পুলিশ।