জলপাইগুড়ি, 14 মার্চ: সাসপেন্ড করা হল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অফিসার-সহ 5 পুলিশকর্মীকে (Five Policemen Suspend at Jalpaigur)। ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে যাওয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা পুলিশ মহলে। কিন্তু কী কারণে তাঁদের সাসপেন্ড করা হল, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা পুলিশ সুপার। সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পুলিশ সুপার। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই সাসপেনসন অর্ডারের কপি ঘোরাঘুরিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সুত্রে খবর, জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার টাউনবাবু তথা সাদা পোশাকের পুলিশের ওসি অনিল রাই (SI), নারায়ণচন্দ্র ভৌমিক (ASI), শেখর বিশ্বাস (ASI)-সহ 2 জন কনস্টেবল সুমন বসু ও কনস্টেবল সন্তোষ রজককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের একাংশের দাবি, জলপাইগুড়ি শহরের লাগাতার চুরি, ছিনতাই বেড়ে চলেছে। কিন্তু সাদা পোশাকের পুলিশ কাজ করতে পারছিল না। কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে।
অফিসার-সহ 5 পুলিশকর্মী জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী হিসেবেই কাজ করতেন। জলপাইগুড়ি শহরের বেড়ে যাওয়া চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাদা পোশাকের পুলিশের ওপর ক্ষোভ বাড়ছিল। শুধু তাই নয়, জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কিছু চুরির কিনারা হয়নি বলেও অভিযোগও উঠেছে। তবে ঠিক কী কারণে এই সাসপেন্ড সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পুলিশ সুপার।
জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তকে কোতোয়ালি থানার 5 পুলিশ কর্মীর সাসপেন্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এটা বিভাগীয় বিষয়। সব কিছু সংবাদ মাধ্যমকে বলতে হবে নাকি?
এদিকে ঠিক কি কারণে সাসপেন্ড তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া পুলিশকর্মীরাও ৷