ETV Bharat / state

তান্ত্রিকের কথায় প্রতি সোমবার মারত স্বামী, আত্মঘাতী মহিলা

সংসারে শান্তি ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে তান্ত্রিকের কথায় স্ত্রীকে মারধর করত ব্যক্তি । অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী মহিলা ।

মায়া সাহানি
author img

By

Published : Aug 22, 2019, 7:00 AM IST

নাজিরগঞ্জ, 22 অগাস্ট : স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার । কিন্তু সংসারে শান্তি নেই । আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যেরও অভাব । তাই সমাধান পেতে তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজু সাহানি । তান্ত্রিক নিদান দিয়েছিল, সংসারে শান্তি ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য আনতে প্রতি সোমবার স্ত্রীর স্নানের পর মারতে হবে । তান্ত্রিকের নিদান মেনে প্রতি সোমবার চলত স্ত্রীকে মারধর । এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সোমবার বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন রাজুর স্ত্রী মায়া । নাজিরগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের হাঁসখালি পোল এলাকার ঘটনা ।

শিবপুরের বাসিন্দা মায়া । রাজু পেশায় রেলের কর্মী । এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে হাঁসখালি পোলে নিজেদের বাড়ি তৈরি করে থাকেন । সংসারে আর্থিক অভাব দেখা দেয় । শুরু হয় অশান্তি । এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় এক তান্ত্রিকের সান্নিধ্যে আসেন রাজু । নিজের সমস্যার কথা তান্ত্রিককে জানান রাজু । সব কথা শুনে সমাধানও বলে দেয় তান্ত্রিক । কিন্তু সমাধানের কথা জানতে পারার পর থেকেই হতবাক এলাকার সকলে । কী ছিল সেই সমাধান ?

Raju
অভিযুক্ত স্বামী রাজু সাহানি

জানা যায়, ওই তান্ত্রিক না কি রাজুকে বলেছিল সংসারে শান্তি ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে প্রতি সোমবার স্ত্রীর স্নানের পর মারতে হবে । সংসারে শান্তি ফেরাতে উদগ্রীব রাজু তান্ত্রিকের এই নিদান মেনে নেন । প্রতি সোমবার মায়াকে মারধর করতে শুরু করেন । স্বামীর এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এর আগেও দু'বার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন মায়া । কিন্তু সন্তানদের কথা ভেবে প্রতিবারই পিছপা হন তিনি ।

সোমবার(19অগাস্ট) মায়াকে ফের মারধর করেন রাজু । এরপর কাজে বেরোবে বলে মায়ার থেকে চা চান । তখন রাজুকে মায়া বলেন, তিনি বিষ খেয়ে নিয়েছেন । তখনই মায়ার গলায় আঙুল দিয়ে বমি করান রাজু । পরে হাওড়ার রেল হাসপাতালে ভরতি করেন মায়াকে । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । মায়ার মৃত্যুর পর থেকেই পলাতক রাজু । যদিও বাবার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে সাহানি দম্পতির ছেলে । সে জানায়, 15 অগাস্ট তার বাবা মজা করে মাকে তান্ত্রিকের নিদানের কথা বলে । তারপর থেকেই রাজুর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন মায়া । সোমবার রাজু মায়াকে রান্নার কথা জিজ্ঞাসা করায় তিনি বিষ খাওয়ার কথা জানান ।

ঘটনায় সাঁকরাইল থানায় রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মায়ার বাবার বাড়ির লোক । রাজুর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ।

নাজিরগঞ্জ, 22 অগাস্ট : স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার । কিন্তু সংসারে শান্তি নেই । আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যেরও অভাব । তাই সমাধান পেতে তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজু সাহানি । তান্ত্রিক নিদান দিয়েছিল, সংসারে শান্তি ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য আনতে প্রতি সোমবার স্ত্রীর স্নানের পর মারতে হবে । তান্ত্রিকের নিদান মেনে প্রতি সোমবার চলত স্ত্রীকে মারধর । এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সোমবার বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন রাজুর স্ত্রী মায়া । নাজিরগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের হাঁসখালি পোল এলাকার ঘটনা ।

শিবপুরের বাসিন্দা মায়া । রাজু পেশায় রেলের কর্মী । এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে হাঁসখালি পোলে নিজেদের বাড়ি তৈরি করে থাকেন । সংসারে আর্থিক অভাব দেখা দেয় । শুরু হয় অশান্তি । এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় এক তান্ত্রিকের সান্নিধ্যে আসেন রাজু । নিজের সমস্যার কথা তান্ত্রিককে জানান রাজু । সব কথা শুনে সমাধানও বলে দেয় তান্ত্রিক । কিন্তু সমাধানের কথা জানতে পারার পর থেকেই হতবাক এলাকার সকলে । কী ছিল সেই সমাধান ?

Raju
অভিযুক্ত স্বামী রাজু সাহানি

জানা যায়, ওই তান্ত্রিক না কি রাজুকে বলেছিল সংসারে শান্তি ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে প্রতি সোমবার স্ত্রীর স্নানের পর মারতে হবে । সংসারে শান্তি ফেরাতে উদগ্রীব রাজু তান্ত্রিকের এই নিদান মেনে নেন । প্রতি সোমবার মায়াকে মারধর করতে শুরু করেন । স্বামীর এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এর আগেও দু'বার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন মায়া । কিন্তু সন্তানদের কথা ভেবে প্রতিবারই পিছপা হন তিনি ।

সোমবার(19অগাস্ট) মায়াকে ফের মারধর করেন রাজু । এরপর কাজে বেরোবে বলে মায়ার থেকে চা চান । তখন রাজুকে মায়া বলেন, তিনি বিষ খেয়ে নিয়েছেন । তখনই মায়ার গলায় আঙুল দিয়ে বমি করান রাজু । পরে হাওড়ার রেল হাসপাতালে ভরতি করেন মায়াকে । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । মায়ার মৃত্যুর পর থেকেই পলাতক রাজু । যদিও বাবার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে সাহানি দম্পতির ছেলে । সে জানায়, 15 অগাস্ট তার বাবা মজা করে মাকে তান্ত্রিকের নিদানের কথা বলে । তারপর থেকেই রাজুর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন মায়া । সোমবার রাজু মায়াকে রান্নার কথা জিজ্ঞাসা করায় তিনি বিষ খাওয়ার কথা জানান ।

ঘটনায় সাঁকরাইল থানায় রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মায়ার বাবার বাড়ির লোক । রাজুর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ।

Intro:তান্ত্রিকের নিদান মতো সংসারে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে প্রতি সোমবার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করতো রেল কর্মী রাজু সাহানি ।কিন্তু তা অসহ্য লাগলে পরপর দু বার আত্মহত্যা করতে গিয়ে ও ছেলেদের কথা ভেবে ফিরে আসে গৃহবধূ মায়া সাহানি।কিন্তু শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতীই হল মায়া ।জানা গিয়েছে মায়ার বাবার বাড়ি শিবপুরে ।স্বামী রাজূ রেলের কর্মী ।এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্র এলাকার হাঁসখালি পোলে বাড়ি করে থাকতে শুরূ করে তারা ।বাড়ি তৈরী করার পরে স্বাভাবিক ভাবেই সংসারে অভাব শুরু হয় এবং তার জেরে অশান্তি হয় ।এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে রাজু এক স্থানীয় তান্ত্রিকের কাছে যায় ।রাজুকে তান্ত্রিক নিদান দেয় যে প্রতি সোমবার সকালে স্নান করে স্ত্রীকে বেধড়ক মারলে তার সংসাথের সংসারের সমস্যা মিটবে ।এই কথায় বিশ্বাস করে রাজু গত আট বছর ধরে স্ত্রীকে প্রতি সোমবার সকালে স্নান সেরে মারতো।প্রথম প্রথম মায়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলেও পরে বিষয়টি জানতে পেরে চুপ করে যায় ।কিন্তু যত দিন যায় মারের পরিমান ততই বাড়তে থাকে ।একটা সময় অসহ্য লাগলে বাবার বাড়িতে জানায় মায়া ।কিন্তু তেমন কোনো লাভ হয়নি।হতাশ হয়ে পর পর দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মায়া ।শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের সহযোগিতায় বেঁচে যায় সে ।সোমবার ও একই ভাবে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে রাজু।এরপর সে চাকরীতে চলে যায় ।সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বিষ খায় মায়া ।পরে তার মেয়ে মামার বাড়িতে বিষয়টি জানায় ।তাকে ভর্তি করা হয় হাওড়ার রেলের হাসপাতালে ।সেখানে মৃত্যু হয় মায়ার ।মায়ার বাবার বাড়ির লোকজন রাজুর বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।কিন্তু অভিযুক্ত রাজু পলাতক ।এই ঘটনায় হতবাক সকলে । যখন চাঁদের মাটিতে পাড়ি দিয়েছে এদেশের মহাকাশ যান তখন এক কুসংস্কারের বলি হতে হল এক শিক্ষিত পরিবারের গৃহবধূ কে ।যা বাস্তবিক লজ্জার।Body: হConclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.