হাওড়া, 7 জুলাই: 24 ঘণ্টাও বাকি নেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৷ তার আগে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীরা ৷ হাওড়ার ডোমজুড়ে আজাদ হিন্দ কলেজের ডিসিআরসি-তে ভোটের দায়িত্বে রওনা দেওয়ার আগে তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ভোটকর্মীরা ৷ কেউ কেউ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না-থাকলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন না ৷ ফলে, প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে সুনিশ্চিত না-হলে ও ভোটকর্মীরা যদি সত্যিই কেন্দ্রে না-যান, তাহলে কি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন হবে না ?
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভোটকর্মীরা
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রতিটি বুথে একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং একজন রাজ্য পুলিশের সদস্য থাকবেন ৷ কিন্তু, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভোট পরিচালনায় কতটা কার্যকরী ? এই প্রশ্ন এবার তুলছেন স্বয়ং ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীরা ৷ শুক্রবার হাওড়া ডোমজুড়ে জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৈরি হওয়া ডিসিআরসি-তে তেমনই নানান কথা শোনা গেল ভোটের ডিউটিতে যোগ দিতে আসা সরকারি কর্মচারীদের মুখে ৷ তাঁরা জানালেন, নির্বাচন কেন্দ্রে তো যাচ্ছেন ৷ কিন্তু, অক্ষত অবস্থায় বা প্রাণে বেঁচে ফিরবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ৷
ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের
উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রথমে জানিয়েছিল, একজন করে রাজ্য পুলিশ বুথগুলিতে দেওয়া হবে ৷ আর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বাহ্যিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ৷ কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে প্রতি বুথে একজন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং একজন রাজ্য পুলিশের সদস্য থাকবে ৷ কিন্তু, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ভোটকর্মীরাই ৷ নির্বাচনী কেন্দ্রে যাওয়ার আগে, ভোট সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ডিসিআরসি'তে পৌঁছেছেন সরকারি কর্মচারীরা ৷
আরও পড়ুন: প্রতি বুথে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাফ সেকশন জওয়ান, কমিশনকে প্রস্তাব বিএসএফের
কিন্তু কেউ কেউ বলছেন নিরাপত্তায় সন্তুষ্ট না-হলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না ৷ তবে, শুধু ভোটকর্মীরা নন ৷ গতকাল কমিশনের নির্দেশেও আপত্তি জানিয়েছে বিএসএফ ৷ কমিশনকে তারা জানিয়েছে, বুথ প্রতি 1 জন করে বাহিনী মোতায়েন করবে না ৷ তাদের সাফ বক্তব্য, এতে ওই একজন জওয়ানের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে ? বিএসএফ-এর যুক্তি, কোনও ঝামেলা হলে একজন জওয়ানের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অসম্ভব ৷ এমনকী তাঁর নিজের নিরাপত্তার বিষয়টিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ৷
আরও পড়ুন: 24 ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ হাইকোর্টের
সেই কারণে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে যেখানে সর্বাধিক 2টি বুথ রয়েছে, সেখানে এক সেকশন অর্থাৎ, 4 জন করে আধাসেনা মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে বিএসএফ ৷ 24 ঘণ্টারও কম সময়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই প্রস্তাবে সায় দেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার ৷ আর কমিশন প্রস্তাবে সায় না দিলে কি হবে ? সেটাও বড় প্রশ্ন ৷