হাওড়া, 2 নভেম্বর : ভারতীয় রেলের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে ৷ সম্প্রতি ভারত সরকারের রেল মন্ত্রক এক নির্দেশিকা জারি করে । যে নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়, উন্নতমানের যাত্রী পরিষেবার লক্ষ্যে 150টি ট্রেন এবং 50টি স্টেশনকে বেসরকারিকরণ করা হবে । একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ NITI আয়োগের CEO-কে ওই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে । এছাড়া ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রকের তিন উচ্চপদস্থ অফিসার এবং রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে । এই কমিটি রেলের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার যাবতীয় দেখভাল করবে ।
কী কী শর্তে দেওয়া হবে ট্রেন ও স্টেশনগুলিকে এবং কীভাবে নিলামের মাধ্যমে বেসরকারি অপারেটরদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে তা ঠিক করবে কমিটি । এছাড়া ওই কমিটির দায়িত্ব থাকবে এই প্রক্রিয়া সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্নর উত্তর দেওয়া । গঠনের কমিটির মেয়াদ থাকবে এক বছর। এদিকে রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে পথে নেমে আন্দোলনে বাম এবং ডান দু'ধরনের সংগঠনগুলি । অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে ফেডারেশনের পাশাপাশি ভারতীয় মজদুর সংঘ অনুমোদিত পূর্ব রেলওয়ে কর্মচারী সমিতিও আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি দিচ্ছে ।
হাওড়া ডিভিশনের পূর্ব রেলওয়ে কর্মচারী সমিতির সেক্রেটারি সুব্রত দে বলেন, "ভারতীয় রেলওয়ে তো শুধুমাত্র ভারতীয় রেলওয়ে কর্মচারীদের পরিষেবা দেয় না, গোটা দেশের মানুষকে পরিষেবা দেয় । কোথাও যুদ্ধ লাগলে মিলিটারি মুভমেন্ট থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এরকম পরিষেবার কাজে লাগে রেল । তাই আমরা বিষয়টি বিরোধিতা করতাম করছি । এরকম একটি পরিষেবা মূলক শিল্পকে আমরা কোনদিনই প্রফিট আর্নিং শিল্পে রূপান্তরিত হতে দিতে পারি না ।"

একইভাবে রেলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে ইউনিয়ন অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে ফেডারেশন । তাদের বক্তব্য, বেসরকারিকরণের ফলে বাড়বে যাত্রী ভাড়া, ক্যানসার, বিশেষভাবে সক্ষম এবং বয়স্কদের টিকিটের বিশেষ ছাড় দেওয়া হয় তাও উঠে যেতে পারে । এর পাশাপাশি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে । আরও উন্নতমানের পরিষেবা রেল চাইলেই দিতে পারে ৷ তবে, এই প্রক্রিয়া নিয়ে যাত্রীরা কার্যত দু'ভাগ । এক শ্রেণির যাত্রী বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করলেও অন্যরা এটাকে স্বাগত জানাচ্ছেন ।