শালিমার, 21 অগস্ট: শালিমারে জিআরপি থানার লক-আপ ভেঙে পালিয়ে গেল দুই দুষ্কৃতী । খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছিল রেল পুলিশ । রবিবার সকালে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় । গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Two Murder Accused Escaped from GRP Lockup) ।
রাজ্য ও কেন্দ্রের সমস্ত থানাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা থাকাটা বাধ্যতামূলক । রবিবার দুই বন্দির পালিয়ে যাওয়ার খবরের পর যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে চোখ কপালে উঠেছে অনেকের । শালিমারের এই জিআরপি থানাতে নেই কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা । পাশাপাশি লক-আপে বন্দিদের উপরে যে নজরদারি রাখার কথা, তাও এখানে সঠিকভাবে পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ ।
খুনের অভিযোগে আটক করেছিল উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা রাজু হরি ও শামিরুল শেখকে আটক করেছিল জিআরপি । দু'জনের বিরুদ্ধেই এক বন্ধুকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে । খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল 17 অগস্ট । ওই দিন আবাদা স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে সতেরো বছরের শুভম হরিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় রাজু ও শামিরুল । আহত শুভমকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে জিআরপি । কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার ।
আরও পড়ুন : টাকা নিয়ে ঝামেলা, যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ বন্ধুদের বিরুদ্ধে
এরপরই শুভমের বাড়ির লোকজন রাজু হরি ও সমিরুল মোল্লার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দু"জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করে শালিমার জিআরপি । শেষপর্যন্ত দু'জনকে গ্রেফতার করে রাখা হয় শালিমার জিআরপির লকআপে । সেখান থেকেই উধাও হয়ে যায় ওই দুই অভিযুক্ত । ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ উঠেছে লক-আপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জিআরপি কর্মীদের বিরুদ্ধে । শালিমার জিআরপির লক-আপটি বেশ পুরনো দিনের । একে তো কোনও সিসিটিভির নজরদারি ছিল না, পাশাপাশি লক-আপের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণও হয়নি বহুদিন।