হাওড়া, 29 সেপ্টেম্বর: কুড়মি আন্দোলনের জেরে কাজের দিনে স্তব্ধ শহর ৷ অফিস টাইমে শহর কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্টি হল তীব্র যানজটের ৷ ব্যস্ততম সময়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং মধ্য কলকাতা ট্রাফিক ব্যবস্থা শ্লথ হয়ে পড়ে । শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে হাওড়া ব্রিজের উপর হাঁটতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা । ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাওড়া ব্রিজ ৷ তার জের এসে পড়ে কলকাতায়।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে নিত্যযাত্রীরা হাওড়া ব্রিজের উপর থেকে বাস থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন ৷ উদ্দেশ্য একটাই যত দ্রুত সম্ভব অফিসে পৌঁছে যাওয়া। আবার কেউ কেউ হাওড়া ফেরি ঘাটের দিকেও পাড়ি দেন ৷ অন্যত্রও পাড়ি দেন অনেকে। আন্দোলনের ফলে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে চাঁদনী চক, মহাত্মা গান্ধি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিরও ট্রাফিক ব্যবস্থা অবরুদ্ধ হয়ে যায় ।
একে কাজের দিন। তার উপর পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকদিন ৷ প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে ৷ তার মধ্যে এদিনের সকালের যানজট শহরবাসীকে সমস্যায় ফেলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ সকালের যানজটের রেশ যে বিকাল পর্যন্ত থাকতে পারে সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ৷ তবে সকালের এই কয়েকঘণ্টার যানজটে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে যায় ৷
আরও পড়ুন: 'কুড়মিদের রেল ও রাস্তা রোকো কর্মসূচি বেআইনি,' ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, নিজেদের স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠী ও আত্মপরিচয়ের দাবিতে লাগাতার আন্দলনে নেমেছে কুড়মি সম্প্রদায় ৷ নিজেদের দাবি আদায়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নবান্নে হেঁটে যান এই জনজাতির সদস্যরা ৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম এই আন্দোলনের কেন্দ্র ৷ নিজেদের দাবি আদায়ে এর আগেও রেল ও রাস্তা রোকো কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন কুড়মিরা ৷ অতীতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার অভিযোগেও একাধিক কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর ৷