ETV Bharat / state

লাইট-পাখা অকেজো, নেই খাবার-পানীয় জল; হাওড়া পৌঁছাল শ্রমিক স্পেশাল

author img

By

Published : May 28, 2020, 10:34 PM IST

Updated : Jun 28, 2022, 12:59 PM IST

আজ সন্ধ্যায় মুম্বই থেকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাল "শ্রমিক স্পেশাল" ট্রেন । সাংবাদিকদের দেখেই একটি কামরার আপৎকালীন জানালা দিয়ে মাথা বের করলেন এক শ্রমিক । জানালেন তিনদিনের ট্রেন অভিজ্ঞতার কথা ।

"শ্রমিক স্পেশাল" ট্রেন
"শ্রমিক স্পেশাল" ট্রেন

হাওড়া, 28 মে : ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাতটা । হাওড়া স্টেশনের 21 নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াল একটি ট্রেন । মুম্বই-হাওড়া "শ্রমিক স্পেশাল" । ট্রেনে উঁকি মারলে দেখা যায়, তিনজনের সিটে বসে রয়েছেন পাঁচ-ছ'জন করে যাত্রী । কোনও কোনও কামরায় আলো-পাখা কিছু নেই । দেওয়া হয়নি খাবারও । গতকালই গুজরাত থেকে বিহারে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয়েছে এক যুবতির । একরত্তি শিশুর মৃত মায়ের আঁচল ধরে জাগিয়ে তোলার চেষ্টার ভিডিয়োও রীতিমতো ভাইরাল । সেখানে আজ এভাবে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে ।

মুম্বই থেকে আসা "শ্রমিক স্পেশাল" ট্রেনটিতে যাত্রী সংখ্যা 1 হাজার 600 । কোনও কোনও কামরায় একবার ভাত পেলেও বেশিরভাগ কামরাতেই জোটেনি খাবার, পানীয় জল । তার উপর এই তীব্র গরমে কামরার লাইট-পাখাও অকেজো । সাংবাদিকদের দেখেই একটি কামরার আপৎকালীন জানালা দিয়ে মাথা বের করলেন এক শ্রমিক । জানালেন তিনদিনের ট্রেন অভিজ্ঞতার কথা । তিনি জানালেন, মুম্বই স্টেশনে থার্মাল স্ক্রিনিং করিয়ে ট্রেনে তুলে দেওয়া হয় । তারপর আর কোনও নিয়মবিধি মানা হয়নি । তাঁদের কামরায় তিনজনের সিটে পাঁচ-ছ'জন করে বসে এসেছেন । সামাজিক দূরত্বের কোনও নিয়মই মানা হয়নি । কামরায় লাইট-পাখাও অকেজো । তীব্র গরমে এভাবেই নাকি এতটা পথ আসতে হয়েছে তাঁদের । দেওয়া হয়নি কোনও খাবার বা পানীয় জলও ।

ট্রেনটিতে মূলত হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, নদিয়া, হুগলির বাসিন্দাদের নিয়ে আসা হয়েছে । ট্রেন থেকে নামার পর স্টেশন চত্বরে রাজ্য সরকারের তরফে মেডিকেল টিম তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করে । শরীরের তাপমাত্রা কম থাকলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় । স্টেশনের বাইরে পরিবহন দপ্তরের তরফে পর্যাপ্ত গাড়ি মজুত রাখা হয়েছিল । ওই গাড়ি করে আপাতত তাঁদের কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় । উত্তরবঙ্গের ও দক্ষিণবঙ্গের উত্তর প্রান্তের জেলার বাসিন্দাদের জন্য ওই ট্রেন ফের রওনা দেয় মালদার উদ্দেশে ।

এদিকে, আজই রাজ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার । পরিযায়ী শ্রমিকদের এভাবে ফিরে আসায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে । তাই নতুন এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে আসা পরিযায়ীদের কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা বাধ্যতামূলক । বাকি রাজ্যগুলি থেকে ফেরত পরিযায়ীরা হোম কোয়ারানটিনে থাকতে পারবে ।

অন্যদিকে, দেশজুড়ে পরিযায়ীদের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রকে একাধিক প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট । জানতে চাওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি আটকে পড়া পরিযায়ীদের জন্য ঠিক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে । পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে যাতায়াতের জন্য কোনও ভাড়া নেওয়া যাবে না । এই ভাড়া রাজ্যগুলিকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে । এছাড়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে যাত্রার সময় রাজ্যগুলিকে ও ভারতীয় রেলকে তাদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে । কোথাও কোনও পরিযায়ী শ্রমিক যেন এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় ।

হাওড়া, 28 মে : ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাতটা । হাওড়া স্টেশনের 21 নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াল একটি ট্রেন । মুম্বই-হাওড়া "শ্রমিক স্পেশাল" । ট্রেনে উঁকি মারলে দেখা যায়, তিনজনের সিটে বসে রয়েছেন পাঁচ-ছ'জন করে যাত্রী । কোনও কোনও কামরায় আলো-পাখা কিছু নেই । দেওয়া হয়নি খাবারও । গতকালই গুজরাত থেকে বিহারে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয়েছে এক যুবতির । একরত্তি শিশুর মৃত মায়ের আঁচল ধরে জাগিয়ে তোলার চেষ্টার ভিডিয়োও রীতিমতো ভাইরাল । সেখানে আজ এভাবে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে ।

মুম্বই থেকে আসা "শ্রমিক স্পেশাল" ট্রেনটিতে যাত্রী সংখ্যা 1 হাজার 600 । কোনও কোনও কামরায় একবার ভাত পেলেও বেশিরভাগ কামরাতেই জোটেনি খাবার, পানীয় জল । তার উপর এই তীব্র গরমে কামরার লাইট-পাখাও অকেজো । সাংবাদিকদের দেখেই একটি কামরার আপৎকালীন জানালা দিয়ে মাথা বের করলেন এক শ্রমিক । জানালেন তিনদিনের ট্রেন অভিজ্ঞতার কথা । তিনি জানালেন, মুম্বই স্টেশনে থার্মাল স্ক্রিনিং করিয়ে ট্রেনে তুলে দেওয়া হয় । তারপর আর কোনও নিয়মবিধি মানা হয়নি । তাঁদের কামরায় তিনজনের সিটে পাঁচ-ছ'জন করে বসে এসেছেন । সামাজিক দূরত্বের কোনও নিয়মই মানা হয়নি । কামরায় লাইট-পাখাও অকেজো । তীব্র গরমে এভাবেই নাকি এতটা পথ আসতে হয়েছে তাঁদের । দেওয়া হয়নি কোনও খাবার বা পানীয় জলও ।

ট্রেনটিতে মূলত হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, নদিয়া, হুগলির বাসিন্দাদের নিয়ে আসা হয়েছে । ট্রেন থেকে নামার পর স্টেশন চত্বরে রাজ্য সরকারের তরফে মেডিকেল টিম তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করে । শরীরের তাপমাত্রা কম থাকলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় । স্টেশনের বাইরে পরিবহন দপ্তরের তরফে পর্যাপ্ত গাড়ি মজুত রাখা হয়েছিল । ওই গাড়ি করে আপাতত তাঁদের কোয়ারানটিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় । উত্তরবঙ্গের ও দক্ষিণবঙ্গের উত্তর প্রান্তের জেলার বাসিন্দাদের জন্য ওই ট্রেন ফের রওনা দেয় মালদার উদ্দেশে ।

এদিকে, আজই রাজ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার । পরিযায়ী শ্রমিকদের এভাবে ফিরে আসায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে । তাই নতুন এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে আসা পরিযায়ীদের কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা বাধ্যতামূলক । বাকি রাজ্যগুলি থেকে ফেরত পরিযায়ীরা হোম কোয়ারানটিনে থাকতে পারবে ।

অন্যদিকে, দেশজুড়ে পরিযায়ীদের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রকে একাধিক প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট । জানতে চাওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি আটকে পড়া পরিযায়ীদের জন্য ঠিক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে । পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে যাতায়াতের জন্য কোনও ভাড়া নেওয়া যাবে না । এই ভাড়া রাজ্যগুলিকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে । এছাড়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে যাত্রার সময় রাজ্যগুলিকে ও ভারতীয় রেলকে তাদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে । কোথাও কোনও পরিযায়ী শ্রমিক যেন এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় ।

Last Updated : Jun 28, 2022, 12:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.