ETV Bharat / state

গ্রামীণ হাওড়ায় নদীবাঁধে ফাটল, বিপদ আঁচ করে তৈরি প্রশাসন

হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় নদীবাঁধে ফাটলের ফলে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে জল ৷ মন্ত্রী এবং উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায় জানান, যশের প্রভাবে কোটাল ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ৷ এর মধ্যেই পরিস্থিতি এতটা খারাপ ভাব যায়নি ৷ জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর ৷ তাঁরা সজাগ আছেন ৷

গ্রামীণ হাওড়ায় নদীবাঁধে ফাটল
গ্রামীণ হাওড়ায় নদীবাঁধে ফাটল
author img

By

Published : May 26, 2021, 6:34 PM IST

হাওড়া (গ্রামীণ), 26 মে : এখনও অবধি শহর এলাকায় কোনও প্রভাব না পড়লেও হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব পড়ল ঘূর্ণিঝড় যশে । বুধবার পূর্ণিমা ৷ তার উপর আবার ভরা কোটাল । এরই প্রভাবে ইতিমধ্যে জলমগ্ন হয়েছে উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি ও উলুবেড়িয়া থানা । এদিন সকাল ন'টা থেকেই উলুবেড়িয়া পুরাতন বাজার এলাকায় হুগলি নদী থেকে জল ঢুকতে শুরু করে । বেলা 12টা নাগাদ কার্যত জলের নিচে চলে যায় কয়েকশো দোকান । এভাবে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়াতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দাদের কপালে । তাঁদের আশঙ্কা, এরপর যদি ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয় তাহলে উলুবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হবে । ঘরছাড়া হতে হবে বহু মানুষকে ।

এরই পাশাপাশি হাওড়ার গাদিয়াড়ায় ভরা কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে দু’-একটি জায়গায় ফাটল দেখা দিল নদীবাঁধে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই ফাটলের মেরামতির কাজ শুরু করেছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন । তবে পূর্ণিমার ভরা কোটাল থাকায় নদীর জল ফুঁসছে ৷ তাতে যেকোনও মুহূর্তে তা বিপদসীমার উপর থেকে বয়ে চলতে পারে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর । ইতিমধ্যেই বাঁধের ফাটল দিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে । তাই তড়িঘড়ি ফাটল ঠিক করে নদী বাঁধ মজবুত করার চেষ্টা শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন ।

হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন ৷

জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী এবং উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায় বলেন, "যশের প্রভাবে কোটাল এমন ভয়ঙ্কর অবস্থায় দাঁড়াবে সেটা ভাবা যায়নি ৷ গাদিয়াড়া থেকে গঙ্গার ধার পর্যন্ত একশোটি বেশি জায়গায় জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ সামাল দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি ৷ জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে ৷ প্রকৃতি কখন কী করবে তা আমরা জানি না ৷ তবে আমরা সজাগ থাকছি, সচেতন থাকছি ৷"

আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যেহেতু ওড়িশা উপকূলে ধামরাতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ আরও একটু উত্তর ও উত্তর-পূর্বে সরে গিয়েছে । তাই রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বাত্মক তাণ্ডব দেখা যাবে । পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের লাগোয়া হাওড়া জেলার শ্যামপুর, উলুবেড়িয়া, বাগনান ও আমতায় ঝড়ের দাপট থাকবে উল্লেখযোগ্য । তাই এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ যখন সমগ্র ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করবে সেই সময় ঝড়ের প্রভাব আরও বাড়বে । সেই সঙ্গে হাওড়া জেলাজুড়ে হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত । তাই এই পরিস্থিতিতে নদীবাঁধে ফাটলে অশনি সংকেত দেখছে ব্লক প্রশাসন ।

আরও পড়ুন : পরিচিত দিঘাকে আজ চেনা দায় !

হাওড়া (গ্রামীণ), 26 মে : এখনও অবধি শহর এলাকায় কোনও প্রভাব না পড়লেও হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব পড়ল ঘূর্ণিঝড় যশে । বুধবার পূর্ণিমা ৷ তার উপর আবার ভরা কোটাল । এরই প্রভাবে ইতিমধ্যে জলমগ্ন হয়েছে উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি ও উলুবেড়িয়া থানা । এদিন সকাল ন'টা থেকেই উলুবেড়িয়া পুরাতন বাজার এলাকায় হুগলি নদী থেকে জল ঢুকতে শুরু করে । বেলা 12টা নাগাদ কার্যত জলের নিচে চলে যায় কয়েকশো দোকান । এভাবে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়াতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দাদের কপালে । তাঁদের আশঙ্কা, এরপর যদি ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয় তাহলে উলুবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হবে । ঘরছাড়া হতে হবে বহু মানুষকে ।

এরই পাশাপাশি হাওড়ার গাদিয়াড়ায় ভরা কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে দু’-একটি জায়গায় ফাটল দেখা দিল নদীবাঁধে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই ফাটলের মেরামতির কাজ শুরু করেছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন । তবে পূর্ণিমার ভরা কোটাল থাকায় নদীর জল ফুঁসছে ৷ তাতে যেকোনও মুহূর্তে তা বিপদসীমার উপর থেকে বয়ে চলতে পারে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর । ইতিমধ্যেই বাঁধের ফাটল দিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে । তাই তড়িঘড়ি ফাটল ঠিক করে নদী বাঁধ মজবুত করার চেষ্টা শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন ।

হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন ৷

জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী এবং উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায় বলেন, "যশের প্রভাবে কোটাল এমন ভয়ঙ্কর অবস্থায় দাঁড়াবে সেটা ভাবা যায়নি ৷ গাদিয়াড়া থেকে গঙ্গার ধার পর্যন্ত একশোটি বেশি জায়গায় জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ সামাল দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি ৷ জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে ৷ প্রকৃতি কখন কী করবে তা আমরা জানি না ৷ তবে আমরা সজাগ থাকছি, সচেতন থাকছি ৷"

আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যেহেতু ওড়িশা উপকূলে ধামরাতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ আরও একটু উত্তর ও উত্তর-পূর্বে সরে গিয়েছে । তাই রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বাত্মক তাণ্ডব দেখা যাবে । পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের লাগোয়া হাওড়া জেলার শ্যামপুর, উলুবেড়িয়া, বাগনান ও আমতায় ঝড়ের দাপট থাকবে উল্লেখযোগ্য । তাই এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ যখন সমগ্র ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করবে সেই সময় ঝড়ের প্রভাব আরও বাড়বে । সেই সঙ্গে হাওড়া জেলাজুড়ে হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত । তাই এই পরিস্থিতিতে নদীবাঁধে ফাটলে অশনি সংকেত দেখছে ব্লক প্রশাসন ।

আরও পড়ুন : পরিচিত দিঘাকে আজ চেনা দায় !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.