হাওড়া, 2 নভেম্বর : 150টি ট্রেন ও 50টি স্টেশন বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের পর এবার ব্যয় সংকোচের নতুন ভাবনা ভারতীয় রেলের ৷ এই পদক্ষেপের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বেশ কিছু পদের বিলোপ ঘটাতে চলেছে রেল । এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, 1892 জনকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার হবে । এর মধ্যে রয়েছে শিয়ালদা, হাওড়া, মালদা টাউন এবং আসানসোল শাখাও ।
শুধুমাত্র শিয়ালদা ডিভিশন থেকে অন্যত্র সরানো হবে 399 জনকে । হাওড়া থেকে 466 জন কর্মীকে । মালদা ও আসানসোল ডিভিশনে যথাক্রমে 166 ও 306 জন কর্মীকে । তালিকায় রয়েছেন লিলুয়া, কাঁচরাপাড়া, জামালপুরের বেশ কয়েকজন কর্মী রয়েছেন । মূলত মেকানিকাল, ইলেকট্রিকাল ,ট্রান্সপোর্টেশন, কমার্শিয়াল ,সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সিগনাল এবং টেলিকম , মেডিকেল, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাউন্টস বিভাগের কর্মীরা রয়েছেন । যার মধ্যে সবথেকে বেশি হচ্ছে মেকানিকাল ডিভিশন থেকে । 1892 জন কর্মীর মধ্যে 562 জন মেকানিকাল বিভাগ থেকে ।
এ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের জেনেরাল সেক্রেটারি এস কে বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রেলকে ধীরে ধীরে বিক্রি করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেয়েছে । আমরা মনে করছি রেলের মতো একটি জাতীয় শিল্পকে শিল্পপতিদের কাছে বিক্রি করার জন্য তৎপর হয়েছে সরকার । দিরাই কমিটির সুপারিশ মতো রেল কাজ করা শুরু করেছে ।"
ইতিমধ্যে, যে তিন লাখ শূন্য পদ তৈরি হয়েছে সেখানে নতুন করে নিয়োগ শুরু হয়নি । খুব স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায় কর্মী সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিষেবার মান ধীরে ধীরে কমছে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে । একটি রেক মেইনটেন্যান্স করতে গেলে কমপক্ষে 20জন কর্মী লাগে । কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অর্ধেক কর্মী সেই কাজ করছেন ।