কলকাতা, 30 ডিসেম্বর : রেস্তোরাঁ থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি ফিরছিল তিন যুবক । ফেরার পথে দেখেন একটি এটিএম কাউন্টার মধ্যে এক মহিলা নগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন । তাঁকে দেখতে ভিড় করেছেন বহু মানুষ । তড়িঘড়ি ওই মহিলার সাহায্যে এগিয়ে গিয়ে আবিষ্কার করেন মহিলা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন । নেশায় বুঁদ হয়ে এটিএমে ভাঙচুর চালিয়েছেন তিনি, যার জেরে কাঁচ ছিটকে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ।
এরপরই সাঁকরাইল থানায় খবর দেন যুবকরা । ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে, নেশার ঘোরে তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তেড়ে যান ওই মহিলা । মহিলা পুলিশকর্মী না থাকায় যথেষ্ট বেগ পেতে হয় । ইতিমধ্যেই কিছুদূরে পাওয়া যায় ওই মহিলার জামাকাপড় । কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় মহিলা পুলিশকর্মী । তাঁরাই ওই মহিলাকে বাগে আনেন (Police struggles to bring Drunken Woman under control in Howrah) ৷
হাওড়া সাঁকরাইল গ্রামীণ হাসপাতালে মহিলার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় ৷ এরপরই তাঁর সঙ্গে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সাহায্যকারী যুবকদেরও ৷ সাঁকরাইল থানার বড়বাবুর নির্দেশে ওই যুবকদের রাতভর বসিয়ে রাখা হয় থানার আইওর ঘরে । সাঁকরাইল থানার তরফে দাবি করা হয় ওই তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন । পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের পুলিশকর্মী বলে দাবি করেছিলেন । তাঁদের গাড়িতে পুলিশের ভুয়ো স্টিকারও উদ্ধার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ । ফলে ওই মহিলার পাশাপাশি তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : সংশোধনাগারে মহিলা পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য কাঁথিতে
ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ মদ্যপ মহিলাকে সাহায্য করতে এসে তিন যুবকের হেনস্থা হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷