ETV Bharat / state

লকডাউন ভাত কেড়েছে সস্তার ভাতের হোটেলগুলির - আর্থিক সমস্যায় হোটেল ব্যবসায়ীরা

ট্রেন না চলায়, যাত্রী না আসায় হাওড়া স্টেশন চত্বরের হোটেলগুলি কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে । অধিকাংশ দোকানই বন্ধ হয়ে গিয়েছে । যারা খোলা রেখেছে তাদের অবস্থা মোটেও ভালো নয় ৷ এভাবে চলতে থাকলে অনাহারে মরতে হবে, বলছে হোটেল মালিকরা ৷

Pice Hotels of Howrah Station
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া ভাতের হোটেল
author img

By

Published : Aug 14, 2020, 10:29 PM IST

হাওড়া, 14 অগাস্ট : ভোর হলেই লোকাল ট্রেনের আসা-যাওয়া । ব্যস্ততার জেরে দম ফেলার সময় নেই । ট্রেনের সময় হলেই হাঁকডাক পাড়া শুরু । কে কার হোটেলে ঢুকবে সেই নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা । কারও চেনা হোটেলেই রোজগার খাওয়া সেরে নেওয়া, কারও আবার নতুন নতুন হোটেলে ফুড টেস্টিং । কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি জীবনের অনেকটা সময়ই অনেকেরই হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এই খাবার হোটেলগুলিতে কেটেছে । প্রচণ্ড ভিড়ে কোনওমতে ভাত, মাছ, মাংস, চাইনিজ়, বা এগরোল খাওয়ার অপার তৃপ্তি । কোরোনার জেরে এসব এখন অতীত । লোকাল ট্রেন বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে এইসব দোকানগুলি । আনলকে দোকান খুললেও বিক্রি নেই কারও । ইতিমধ্যেই বন্ধ গেছে বেশ কয়েকটি দোকান । বাকিগুলোও বন্ধের পথে ।

তারকেশ্বর, ধনিয়াখালি, ব্যান্ডেল, হাসনাবাদ বা মেমারি । হাওড়া স্টেশনে সকাল থেকেই লোকাল ট্রেনের আনাগোনা । স্টেশন চত্বরে তিল ধারণের জায়গা নেই । এই ছিল হাওড়া স্টেশন । একের পর এক বাস থেকে নেমে টিকিট কেটেই ছুটে ট্রেন ধরা, মাঝে দুপুরে খাবার বা টিফিন সেরে নেওয়া । এগুলোই ছিল মার্চের আগে স্টেশন চত্বরের চেনা দৃশ্য । মার্চের শেষের দিকে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় এক ধাক্কায় পালটায় এই ছবিটা । যার ফলে একে একে বন্ধ করে দিতে হয় ভাতের হোটেল বা খাবার হোটেলগুলিকে । পরে খুললেও স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিক্রিবাট্টা আর সেভাবে হয়নি । ফলে ফের কবে তাদের ব্যবসা মাথা তুলে দাঁড়াবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না তাঁরা ।

শুধু ট্রেন বন্ধ থাকায়ই যে এই ক্ষতি হচ্ছে তা নয় । স্বাভাবিক লঞ্চ পরিষেবা বা বাস পরিষেবাও বন্ধ থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীদের । রিলমে রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়া স্টেশনে প্রত্যহ যাতায়াত করতেন প্রায় 10 লাখ মানুষ । ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষের খাওয়া দাওয়ার জন্য গঙ্গার ধার বরাবর সস্তার হোটেলগুলি ছিল অপরিহার্য ।

লকডাউন ভাত কেড়েছে সস্তার ভাতের হোটেলগুলির

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, যখন সবকিছু স্বাভাবিক ছিল তখন দিনে প্রায় 60 থেকে 70 কেজি চালের ভাত বিক্রি হত । লোকাল ট্রেন, মেইল এক্সপ্রেস, বাস এবং লঞ্চের সমস্ত যাত্রীরা খাবার জন্য আসতেন গঙ্গাপাড়ের এই হোটেলগুলিতে । কিন্তু এখন হাওড়া স্টেশন চত্বর কার্যত থমথমে । হাওড়া ডিভিশনে সবমিলিয়ে মাত্র 11 টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে । যাত্রীও থাকছে হাতে গোনা । ফলে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছি আমরা ।

প্রায় 14 থেকে 15 টি হোটেল রয়েছে একটি লাইনে । যার মধ্যে অধিকাংশই কম বিক্রি হওয়ার কারণে এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই । মাত্র তিনটি দোকান খোলা রয়েছে বর্তমানে । সেখানেও পর্যাপ্ত খদ্দের মিলছে না বলে জানাচ্ছেন হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজারেরা । তাঁদের বক্তব্য, সমস্ত কিছু স্বাভাবিক থাকলে যেখানে 25 থেকে 30 হাজার টাকা আয় হত প্রত্যেকদিন, সেখানে 5 হাজার টাকারও বিক্রি হচ্ছে না । এর জেরে সব কর্মীদের রাখা বা যাঁরা আছেন, তাঁদের বেতনও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । সারাদিনে 10 কেজি চালের ভাত বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । এভাবে চলতে থাকলে বেঁচে থাকা তিনটি হোটেলও দ্রুতই বন্ধ করে দিতে হবে বলে দাবি হোটেল মালিকদের ।

হাওড়া, 14 অগাস্ট : ভোর হলেই লোকাল ট্রেনের আসা-যাওয়া । ব্যস্ততার জেরে দম ফেলার সময় নেই । ট্রেনের সময় হলেই হাঁকডাক পাড়া শুরু । কে কার হোটেলে ঢুকবে সেই নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা । কারও চেনা হোটেলেই রোজগার খাওয়া সেরে নেওয়া, কারও আবার নতুন নতুন হোটেলে ফুড টেস্টিং । কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরি জীবনের অনেকটা সময়ই অনেকেরই হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এই খাবার হোটেলগুলিতে কেটেছে । প্রচণ্ড ভিড়ে কোনওমতে ভাত, মাছ, মাংস, চাইনিজ়, বা এগরোল খাওয়ার অপার তৃপ্তি । কোরোনার জেরে এসব এখন অতীত । লোকাল ট্রেন বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে এইসব দোকানগুলি । আনলকে দোকান খুললেও বিক্রি নেই কারও । ইতিমধ্যেই বন্ধ গেছে বেশ কয়েকটি দোকান । বাকিগুলোও বন্ধের পথে ।

তারকেশ্বর, ধনিয়াখালি, ব্যান্ডেল, হাসনাবাদ বা মেমারি । হাওড়া স্টেশনে সকাল থেকেই লোকাল ট্রেনের আনাগোনা । স্টেশন চত্বরে তিল ধারণের জায়গা নেই । এই ছিল হাওড়া স্টেশন । একের পর এক বাস থেকে নেমে টিকিট কেটেই ছুটে ট্রেন ধরা, মাঝে দুপুরে খাবার বা টিফিন সেরে নেওয়া । এগুলোই ছিল মার্চের আগে স্টেশন চত্বরের চেনা দৃশ্য । মার্চের শেষের দিকে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় এক ধাক্কায় পালটায় এই ছবিটা । যার ফলে একে একে বন্ধ করে দিতে হয় ভাতের হোটেল বা খাবার হোটেলগুলিকে । পরে খুললেও স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিক্রিবাট্টা আর সেভাবে হয়নি । ফলে ফের কবে তাদের ব্যবসা মাথা তুলে দাঁড়াবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না তাঁরা ।

শুধু ট্রেন বন্ধ থাকায়ই যে এই ক্ষতি হচ্ছে তা নয় । স্বাভাবিক লঞ্চ পরিষেবা বা বাস পরিষেবাও বন্ধ থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীদের । রিলমে রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়া স্টেশনে প্রত্যহ যাতায়াত করতেন প্রায় 10 লাখ মানুষ । ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষের খাওয়া দাওয়ার জন্য গঙ্গার ধার বরাবর সস্তার হোটেলগুলি ছিল অপরিহার্য ।

লকডাউন ভাত কেড়েছে সস্তার ভাতের হোটেলগুলির

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, যখন সবকিছু স্বাভাবিক ছিল তখন দিনে প্রায় 60 থেকে 70 কেজি চালের ভাত বিক্রি হত । লোকাল ট্রেন, মেইল এক্সপ্রেস, বাস এবং লঞ্চের সমস্ত যাত্রীরা খাবার জন্য আসতেন গঙ্গাপাড়ের এই হোটেলগুলিতে । কিন্তু এখন হাওড়া স্টেশন চত্বর কার্যত থমথমে । হাওড়া ডিভিশনে সবমিলিয়ে মাত্র 11 টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে । যাত্রীও থাকছে হাতে গোনা । ফলে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছি আমরা ।

প্রায় 14 থেকে 15 টি হোটেল রয়েছে একটি লাইনে । যার মধ্যে অধিকাংশই কম বিক্রি হওয়ার কারণে এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই । মাত্র তিনটি দোকান খোলা রয়েছে বর্তমানে । সেখানেও পর্যাপ্ত খদ্দের মিলছে না বলে জানাচ্ছেন হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজারেরা । তাঁদের বক্তব্য, সমস্ত কিছু স্বাভাবিক থাকলে যেখানে 25 থেকে 30 হাজার টাকা আয় হত প্রত্যেকদিন, সেখানে 5 হাজার টাকারও বিক্রি হচ্ছে না । এর জেরে সব কর্মীদের রাখা বা যাঁরা আছেন, তাঁদের বেতনও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । সারাদিনে 10 কেজি চালের ভাত বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । এভাবে চলতে থাকলে বেঁচে থাকা তিনটি হোটেলও দ্রুতই বন্ধ করে দিতে হবে বলে দাবি হোটেল মালিকদের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.