ETV Bharat / state

Notice of Income Tax Department: মাসিক আয় 15 হাজার, আয়কর বিভাগের করের নোটিশ সাড়ে 8 কোটি টাকার!

অন্যের নথি দিয়ে ভুয়ো কোম্পানি খোলার অভিযোগে গ্রেফতার হাওড়ার যুবক ৷ আয়কর বিভাগের সাড়ে আট কোটির বকেয়া করের নোটিশ গেল যুবকের বাড়িতে। যুবকের মাসিক আয় 15 হাজার টাকা।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 21, 2023, 11:03 PM IST

হাওড়া, 21 সেপ্টেম্বর: মাসিক আয় অন্যান্য ছাপোষা মধ্যবিত্তের মতোই হাজার পনেরো টাকা। যদিও সম্প্রতি তাঁকে সাড়ে আট কোটি টাকার আয়কর নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়কর সংস্থা। আর ওই নোটিশের পরই হাওড়ার ওই যুবক জানতে পারেন কলকাতার আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে তাঁর নামে রয়েছে একটি কোম্পানি। সেই কোম্পানির ঠিকানার সূত্র ধরে খোঁজখবর নিয়ে কোম্পানিটি ভুয়ো বলেই অবশ্য জানা যায়।


অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার চামরাইল দক্ষিণ পাড়ার এক বাসিন্দা শৌভিক ঘোষ (29)-এর সঙ্গে। পেশায় একটি অনলাইন বিপণন সংস্থার ডেলিভারি বয় ওই যুবক। যুবকের মাসিক আয় 15 হাজার টাকা। যদিও তাঁকে আয়কর বিভাগের নোটিশে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে জানানো হয়, তাঁর একটি কোম্পানির বার্ষিক লেনদেন সাড়ে আট কোটি টাকারও বেশি। মুনাফার অঙ্ক প্রায় 14 লক্ষ টাকা। আয়কর বিভাগের নথিতে ওই কোম্পানির দফতরের ঠিকানা কলকাতার আর্মেনিয়ান স্ট্রিট বলেই উল্লেখ করা ছিল। নোটিশ পাওয়ার পরে শৌভিক খোঁজখবর করে জানতে পারেন সেই কোম্পানি ভুয়ো।

এরপরে আয়কর বিভাগ, বিক্রয়কর বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় লিলুয়া থানাতেও অভিযোগ জানান তিনি। আর সেই তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে এক অভিনব জালিয়াতির সন্ধান মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। ঘটনার জেরে বুধবার রাতে সুরজিৎ দত্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রেক্ষিতে শৌভিকের দাবি, মাস কয়েক ভোলা ঘোষ নামে এক পরিচিত ব্যক্তিকে ‘ট্রেড লাইসেন্স’ করানোর কথা বলেছিলেন। ভোলা ঘোষের মাধ্যমে লাইসেন্সের জন্য নিজের আধার, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের কাগজপত্র-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথিও জমা দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর অজান্তে সেই নথি ব্যবহার করে অভিযুক্ত ব্যক্তি দুটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে।

লিলুয়া থানাতে এই মর্মে লিখিত অভিযোগপত্রে শৌভিক লিখেছেন, ‘‘আমার নথি ব্যবহার করে ‘শিব ট্রেডিং কোম্পানি’ নামে একটি সংস্থা খোলা হয়েছিল। ট্রেড লাইসেন্স করানোর জন্য আমি অনিমেষ বাঙাল নামে এক অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাহায্য নিতে গিয়েছিলাম। তিনিই এ বিষয়ে আমাকে বিস্তারিত বিবরণ দেন।’’ ঘটনার প্রেক্ষিতে হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক ব্যক্তি লিলুয়া থানায় অভিযোগ করেন। তিনি জানান, নতুন একটি কোম্পানি খোলার জন্য বৈধ কাগজপত্র বানাতে গিয়ে দেখেন যে তাঁর প্যান কার্ড, আধার কার্ড ব্যবহার করে তাঁর অপরিচিত এক ব্যক্তি অন্য একটি কোম্পানি খুলেছেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কোনও পরিচয় নেই। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সুরজিৎ দত্ত। তিনি নিজেকে ‘চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট’ পরিচয় দিয়ে কোম্পানি খুলেছেন। সেই কোম্পানি আদতে ভুয়ো।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখলের অভিযোগ মন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরীর

বুধবার রাতে লিলুয়া থানার পুলিশ সুরজিৎকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে অন্যের পরিচয়পত্র দিয়ে ভুয়ো কোম্পানি এবং অ্যাকাউন্ট খোলা হল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ আধিকারিকরা। এই অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং কেন হয়েছে, কোথায় কোথায় লেনদেন হয়েছে , কী উদ্দেশ্য রয়েছে, সব কিছু তদন্ত করে দেখছে পুলিশ এমনটাই সূত্রের খবর। এছাড়াও এই চক্রের সঙ্গে অন্য কেউ বা কারা জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই লিলুয়া থানা সূত্রে খবর। ঘটনার কথা চাউর হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে চামরাইল এলাকাতে।

হাওড়া, 21 সেপ্টেম্বর: মাসিক আয় অন্যান্য ছাপোষা মধ্যবিত্তের মতোই হাজার পনেরো টাকা। যদিও সম্প্রতি তাঁকে সাড়ে আট কোটি টাকার আয়কর নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়কর সংস্থা। আর ওই নোটিশের পরই হাওড়ার ওই যুবক জানতে পারেন কলকাতার আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে তাঁর নামে রয়েছে একটি কোম্পানি। সেই কোম্পানির ঠিকানার সূত্র ধরে খোঁজখবর নিয়ে কোম্পানিটি ভুয়ো বলেই অবশ্য জানা যায়।


অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার চামরাইল দক্ষিণ পাড়ার এক বাসিন্দা শৌভিক ঘোষ (29)-এর সঙ্গে। পেশায় একটি অনলাইন বিপণন সংস্থার ডেলিভারি বয় ওই যুবক। যুবকের মাসিক আয় 15 হাজার টাকা। যদিও তাঁকে আয়কর বিভাগের নোটিশে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে জানানো হয়, তাঁর একটি কোম্পানির বার্ষিক লেনদেন সাড়ে আট কোটি টাকারও বেশি। মুনাফার অঙ্ক প্রায় 14 লক্ষ টাকা। আয়কর বিভাগের নথিতে ওই কোম্পানির দফতরের ঠিকানা কলকাতার আর্মেনিয়ান স্ট্রিট বলেই উল্লেখ করা ছিল। নোটিশ পাওয়ার পরে শৌভিক খোঁজখবর করে জানতে পারেন সেই কোম্পানি ভুয়ো।

এরপরে আয়কর বিভাগ, বিক্রয়কর বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় লিলুয়া থানাতেও অভিযোগ জানান তিনি। আর সেই তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে এক অভিনব জালিয়াতির সন্ধান মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। ঘটনার জেরে বুধবার রাতে সুরজিৎ দত্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রেক্ষিতে শৌভিকের দাবি, মাস কয়েক ভোলা ঘোষ নামে এক পরিচিত ব্যক্তিকে ‘ট্রেড লাইসেন্স’ করানোর কথা বলেছিলেন। ভোলা ঘোষের মাধ্যমে লাইসেন্সের জন্য নিজের আধার, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের কাগজপত্র-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথিও জমা দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর অজান্তে সেই নথি ব্যবহার করে অভিযুক্ত ব্যক্তি দুটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে।

লিলুয়া থানাতে এই মর্মে লিখিত অভিযোগপত্রে শৌভিক লিখেছেন, ‘‘আমার নথি ব্যবহার করে ‘শিব ট্রেডিং কোম্পানি’ নামে একটি সংস্থা খোলা হয়েছিল। ট্রেড লাইসেন্স করানোর জন্য আমি অনিমেষ বাঙাল নামে এক অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাহায্য নিতে গিয়েছিলাম। তিনিই এ বিষয়ে আমাকে বিস্তারিত বিবরণ দেন।’’ ঘটনার প্রেক্ষিতে হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক ব্যক্তি লিলুয়া থানায় অভিযোগ করেন। তিনি জানান, নতুন একটি কোম্পানি খোলার জন্য বৈধ কাগজপত্র বানাতে গিয়ে দেখেন যে তাঁর প্যান কার্ড, আধার কার্ড ব্যবহার করে তাঁর অপরিচিত এক ব্যক্তি অন্য একটি কোম্পানি খুলেছেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কোনও পরিচয় নেই। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সুরজিৎ দত্ত। তিনি নিজেকে ‘চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট’ পরিচয় দিয়ে কোম্পানি খুলেছেন। সেই কোম্পানি আদতে ভুয়ো।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখলের অভিযোগ মন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরীর

বুধবার রাতে লিলুয়া থানার পুলিশ সুরজিৎকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে অন্যের পরিচয়পত্র দিয়ে ভুয়ো কোম্পানি এবং অ্যাকাউন্ট খোলা হল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ আধিকারিকরা। এই অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং কেন হয়েছে, কোথায় কোথায় লেনদেন হয়েছে , কী উদ্দেশ্য রয়েছে, সব কিছু তদন্ত করে দেখছে পুলিশ এমনটাই সূত্রের খবর। এছাড়াও এই চক্রের সঙ্গে অন্য কেউ বা কারা জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই লিলুয়া থানা সূত্রে খবর। ঘটনার কথা চাউর হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে চামরাইল এলাকাতে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.