হাওড়া, 24 অগাস্ট : বিয়ে হয়েছিল মাস ছয়েক আগে ৷ অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য মারধর করত স্বামী ৷ আর সেই টাকা না পেয়েই যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৷ মৃতের নাম অনন্যা কোলে ৷ ঘটনাটি হাওড়ার শিবপুর এলাকার বোষ্টমপাড়া লেনের ।
মাস ছয়েক আগে শিবপুরের বাসিন্দা সঞ্জু রায়ের সাথে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন সদ্য আঠারোর অনন্যা । অভিযোগ, বিয়ের এক মাস পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয় অনন্যার উপর । বাবারবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বলা হত । না দিলে চলত অকথ্য অত্যাচার ৷ মাস তিনেক আগে শ্বশুরবাড়ি দাবি মতো পঞ্চাশ হাজার টাকাও দেয় অনন্যার পরিবার । কিন্তু তাতেও অত্যাচার থামেনি। ফের টাকা দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ দিন সাতেক আগে ফের মারধর করা হয় ৷ কিন্তু, টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় অনন্যার বাবারবাড়ির লোকজন ৷
বৃহস্পতিবার রাতে অনন্যার বাবারবাড়িতে ফোন করে বলা হয়, গলায় দড়ি দিয়েছে অনন্যা ৷ বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ অনন্যার মা ও দাদা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, মর্গে রাখা রয়েছে অনন্যার দেহ ৷
অনন্যার বাবারবাড়ির লোকজন, শিবপুর থানায় মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মৃতের স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
অনন্যার বাবা কয়েকবছর আগে মারা গেছেন ৷ বাড়িতে শুধু অনন্যার মা ও দাদা রয়েছেন ৷ কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর মা তাপসী কোলে বলেন, "সঞ্জু কোনও কাজ করে না ৷ টাকার জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার করত ৷ কোনও মেয়েকে যেন এমন কষ্ট পেয়ে মরতে না হয় ৷ কোনও মায়ের যেন কোল উজাড় না হয় ৷"