হাওড়া, 8 মার্চ : নারী দিবস যদি নারী ক্ষমতায়নকে স্বীকৃতি (celebration of women empowerment) দেওয়ার বিশেষ দিন হয়, তাহলে এরকম বহু মহিলার কথাই উঠে আসবে যাঁরা নিজের জেদে, নিজের লড়াইয়ে সব বাধা পেরিয়ে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন ৷ তাঁরা শুধু নিজেরাই প্রতিষ্ঠিত হননি, কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন আরও বহু মানুষকে ৷ এরকমই একজন নারী হলেন মুক্তা দে জানা ৷ যিনি জীবনে এগিয়ে চলার জন্য আমাদের পরিচত গতানুগতিক পথ বেছে না নিয়ে হেঁটেছেন অন্য পথে এবং সেই পথে হেঁটেই পেয়েছেন সাফল্যের স্বাদ ৷ কাদা, মাটি, সেরামিক দিয়েই তিনি তৈরি করে চলেছেন নানা শিল্পকলা, ভাস্কর্য ৷
মাটির টানে মাটির রূপকেই অনন্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন উনসানীর এই গৃহবধূ । মাটি দিয়ে বিভিন্ন নজরকাড়া ভাস্কর্য, ঘর সাজানোর বিভিন্ন ধরণের দ্রব্য তৈরি করেন তিনি ৷ তবে তাঁর বিশেষ টান রয়েছে সেরামিকসের কাজের প্রতি ৷ অসমে জন্ম হলেও নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি ৷ বৈবাহিক সূত্রে বর্তমানে হাওড়াতেই থাকেন মুক্তা দে জানা ৷ শিল্পী জানিয়েছেন তাঁর এই কাজে সাহায্য করতে তাঁর স্বামীও এগিয়ে এসেছেন ৷
আরও পড়ুন : রাজধানী এক্সপ্রেস চালানোর স্বপ্ন মালদার পিয়ালির
নিজের নেশাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মুক্তা ৷ শিল্পী জানিয়েছেন, বর্তমানে সেরামিকের তৈরি বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বাড়ছে ৷ অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই কাজ শিখতে ৷ এই কাজ নতুনদের শেখাতে নয়া প্রতিষ্ঠান তৈরির কথাও ভেবেছেন এই শিল্পী ৷ বহু মহিলা মুক্তাদেবীর কাছ থেকে এই কাজ শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন ৷ সেই সূত্রে স্বনির্ভর হওয়ার দিশাও খুঁজে পেয়েছেন বহু মহিলা ৷ নিজের ভাললাগাকে পাথেয় করেই আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চান এই শিল্পী ৷