হাওড়া, 10 এপ্রিল: হাওড়া হাসপাতালের সুপার কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। এবার হাওড়া হাসপাতাল সংলগ্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাইরের লোক যাতে ঢুকতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হল। এক্ষেত্রে রীতিমতো কড়া পদক্ষেপ করছে হাওড়া পুলিশ।
শহরের দুটি মূল রাস্তা ফোরসর রোড ও GT রোডের বিভিন্ন মোড়ে নতুন করে ব্যারিকেড দেওয়া হয় আজ। পাশাপাশি রাস্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ কর্মীর সংখ্যাও। একইসঙ্গে শহরের একাধিক রাস্তায় চলছে নাকা চেকিং। জরুরি দরকার ছাড়া রাস্তায় বেরোনো গাড়িগুলিকে বড় রাস্তায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আটকানো হচ্ছে প্রাইভেট গাড়ি ও বাইক। রাস্তায় গাড়ি বেরোনো কমাতে ট্রাফিক আইন মেনেই কেস দেওয়া হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
শুরুতে কড়াকড়ি থাকলেও মাঝে লকডাউনে কিছুটা শিথিল মনোভাব দেখিয়েছিল হাওড়া পুলিশ। সেই সুযোগে হাওড়া শহরের রাস্তায় মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু, সম্প্রতি রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ার পর, তার উপর হাওড়া হাসপাতালের সুপারেরও কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ার পর নড়েচড়ে বসল জেলা পুলিশ-প্রশাসন। রাস্তায় অকারণে গাড়ি বেরোনো বন্ধ করতে যেমন পুলিশি টহল চলছে, তেমনই পাড়ার মোড়ের জটলা হটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পুলিশের তরফে মাইকিং করে কোরোনা প্রতিরোধে লকডাউনে মানতে অনুরোধ করা হচ্ছে হাওড়ার বাসিন্দাদের।