হাওড়া, 20 জুন: মঙ্গলবার রথের দিনে হাওড়া থেকে কলকাতার আর্মেনিয়াম ঘাট, বাগবাজার-সহ অন্যান্য রুটে লঞ্চ পরিষেবা আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজ্য পরিবহণ দফতরের অধীনে থাকা ভূতল পরিবহণ নিগম ও হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির অধীনে থাকা এই পরিষেবারে উপর ভরসা করে থাকেন কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী। স্বভাবতই এদিন পরিষেবা বন্ধ থাকার দরুণ সমস্যা ও হয়রানির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ আড়াই মাস পর কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। যদিও সেই বেতনে কর্মীদের ওভারটাইম থেকে শুরু করে ইনসেনটিভের প্রাপ্য অর্থ কেটে নেওয়া হয়েছে। আর এরই প্রতিবাদে কর্মীরা মঙ্গলবার ওই রুটে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান কর্মীরা। মঙ্গলবার আর্মেনিয়াম ঘাটে যাওয়ার জন্য হাওড়া লঞ্চ ঘাটে আসেন নিত্যযাত্রী বিশ্বনাথ দত্ত। তিনি জানান, এখানে এসে দেখতে পাচ্ছেন লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। টিকিট কাউন্টারও বন্ধ। আগে জানতেন না, এখন অনেক রাস্তা ঘুরে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্র্যাক মেরামতির কাজ শুধু রবিবার, রইল মেট্রোর নতুন সময়সূচি
কলকাতার হরিষা হাটের ব্যবসায়ী অশোক সাউ হাওড়ার মঙ্গলাহাটে ব্যবসার জন্য সকালে এসেছিলেন। বাড়ি থেকে জরুরি ডাক আসায় তিনি লঞ্চ ঘাটে এসে দেখেন লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ। এর আগেও এভাবে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর প্রশ্ন, আর কতদিন এভাবে তাঁদেরকে ভুগতে হবে? এখন এই গরমে রোদের মধ্যে হেঁটে গিয়ে বাসে করে বাড়ি ফিরতে হবে বলেও জানান তিনি। যদিও ঠিক কী কারণে পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে সেই প্রসঙ্গে লঞ্চের কর্মী স্বপন কুমার মণ্ডল জানান, গত 22 মে তাঁরা মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। যদিও এপ্রিল ও মে মাসের বেতন এখনও বাকি রয়েছে। তার মধ্যে মার্চ মাসে তাঁদের যে ওভারটাইম পাওয়ার কথা তা ওই বেতনে দেওয়া হয়নি।
এরই প্ৰতিবাদে লঞ্চচালক ও কর্মীরা মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেন বলে আরও জানান তিনি। এর দরুণ হাওড়ার দু'টি জেটি থেকে যে 10-12টি লঞ্চ চলাচল করে তার সমস্তটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর যাত্রী পারাপার না-হলে তাঁদের বিক্রিও বন্ধ রয়েছে বলেই জানান তিনি। যদিও বিনা নোটিশে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বড় সমস্যা ও হয়রানির মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মেকানিক অন কল ! দু'চাকা গাড়ি সারাতে এক ফোনেই 'মহিলা' মিস্ত্রি